বাচ্চাদের ত্বকের ধরনটাই আলাদা। বড়দের চেয়ে অনেক বেশি নরম আর স্পর্শকাতর। যার জন্যই ঋতুবদলের সময় ওদের ত্বকজনিত রোগভোগের আশঙ্কাও থাকে বেশি। বাতাসে আর্দ্রতা বা তাপমাত্রার হেরফের হলেই অ্য়ালার্জি, সংক্রমণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্য়ায় জেরবার হয় ওরা। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কীভাবে শীতকালে বাচ্চার ত্বকের যত্ন নেবেন, দেখে নিন এখানে।(6 natural ways to keep your baby’s skin soft and hydrated this winter)
#1.স্নান করানো (Giving bath)ত্বক আর্দ্র রাখতে স্নান করানো দরকার। তবে রোজ স্নান করালে উল্টো বিপদ হতে পারে। শরীর শুষ্ক হয়ে গিয়ে তখন অন্য় সমস্যা। শীতকালে তাই সপ্তাহে তিন-চারবার স্নান করানোই ভালো। বাচ্চাদের জন্যই তৈরি সাবান আর হালকা গরম জল ব্য়বহার করুন। স্নানের পর নরম, সুতির তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে নিন। যে ঘরে ওকে শোওয়াবেন সেই জায়গাটাও যেন গরম থাকে। নয়তো ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
#2.ময়েসচারাইজার (Moisturiser)শীতে আপনার বাচ্চার ত্বকের যত্নের জন্যে সব থেকে জরুরি হল ময়েসচারাইজার। তবে ময়েসচারাইজার ব্যবহার করার আগে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন অ্যালকোহল বা অন্য রাসায়নিক ছাড়া হয়। স্নানের পর বাচ্চার শরীরে রোজ ময়সচারাইজার প্রয়োগ করুন, এতে ওর ত্বক আর্দ্র আর নরম থাকবে।
#3.তেল (Almond Oil, Olive Oil)শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে শীতকালে অলিভ অয়েল, অ্য়ামন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। হালকা তেল সহজেই আপনার শিশুর ত্বকে মিলিয়ে যায় এবং আপনার শিশুর ত্বক হয়ে ওঠে নরম ও উজ্জ্বল।
#4.অ্যালোভেরা জেল (Aloevera gel)শিশুর ত্বককে শীতে সুরক্ষা দিতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালভেরার কান্ড ভেঙে সেখান থেকে জেল নিয়ে ত্বকের শুষ্ক জায়গায় লাগিয়ে দেখুন ত্বক নরম ও কোমল থাকবে।
#5.সুতির কাপড় (Cotton clothings)সিন্থেটিক জামাকাপড় থেকে বাচ্চার অ্যালার্জি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। শিশুর ত্বকের ভেতরে যাতে স্বাভাবিক হাওয়া চলাচল করে তাই সুতির কাপড়ই ব্যবহার করুন। এমনকী শিশুর ত্বক নরম রাখতেও সুতি কাপড় খুব কাজের।
#6.ডাইপার পরিবর্তন (Change diapers)শীতের আর্দ্রতা থেকে আপনার শিশুর ত্বক বাঁচাতে ঘন ঘন ডাইপার পরিবর্তন করুন। ভেজা ডাইপার যত বেশি শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে থাকবে ত্বকে তত বেশি ফুসকুড়ি হবে। ডাইপার খুব আঁটোসাঁটো হলে অথবা নির্দিষ্ট কোনও ব্র্যান্ডের ডাইপারে আপনার বাচ্চার অ্যালার্জি থাকলেই মূলত এই সমস্যা হয়। ঘরোয়া এই পদ্ধতিতেও কাজ না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন অবশ্য়ই।