কত ধরনের হয় গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা? কীভাবে কাজ করে, তার গুরুত্বই বা কতখানি!

কত ধরনের হয় গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা? কীভাবে কাজ করে, তার গুরুত্বই বা কতখানি!

ভালোবাসার আবার সময়-সুযোগ কী, আর হিসেব-নিকেশই বা কী? হাজারবার মানছি আপনার কথা। কিন্তু জানেন কি, সুখের চেয়ে সোয়াস্তি ভালো। সাময়িক আবেগে ভেসে গিয়ে পরবর্তীতে যে মানসিক টানাপোড়েনে অস্থির হবেন! (Different Ways to Avoid Pregnancy, Birth Control Methods & Options)

যে দম্পতিরা একটি মিষ্টি সন্তানের আশায় দিন গুনছেন, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যারা এখনও অর্থনৈতিক বা মানসিক দিক দিয়ে একেবারেই তৈরি হননি, তাদের জীবনে হঠাৎ একটি সন্তানের আগমন কিন্তু সন্তান ও বাবা-মা উভয়ের জন্যই যন্ত্রণাদায়ক।

শুধু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করা নয়, সহবাস সংক্রান্ত অনেক গুরুতর অসুখ এবং সংক্রমণ এড়ানো যায় একটু সচেতন হলেই। আর সেখানেই গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা (Pregnancy Precautions) বা উপায়গুলির প্রয়োজনীয়তা।

প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখে এড়িয়ে চলে গেলে আখেরে ক্ষতি আপনার। নিজের মানসিক ও শারীরিক শান্তি বজায় রাখতে এসব কিছু নিয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা খুব প্রয়োজন। জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কত ধরনের হয় (Preventing an Unintended Pregnancy), কীভাবে কাজ করে তারা, তাদের গুরুত্বই বা কতখানি, এই সবকিছু নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। নিজের ভালোর জন্যই পড়ে নিন একনজরে।

 

গর্ভ নিরোধক হিসেবে যা যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন? (Birth Control Methods & Options)

  • হরমোনাল ওষুধ ও ইমপ্ল্যানটেশন পদ্ধতি।
  • ব্যারিয়ার মেথড বা বাধা সৃষ্টিকারী পদ্ধতি। কনডোম, ডায়াফ্রাম ইত্যাদি এর উদাহরণ।
  • শরীরে কিছু ডিভাইস ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যা গর্ভধারণের অনুপযোগী পরিবেশ তৈরি করে ও নিষেক হতে দেয় না।
  • স্থায়ী পদ্ধতি বা স্টেরিলাইজেশন ।
  • এছাড়াও হঠাৎ অসতর্ক সঙ্গম ঘটে গেলে গর্ভ নিরোধক এমারজেন্সি পিল সাহায্য করতে পারে আপনাকে। তবে এইসব পিল নিয়মিত খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

 

গর্ভ নিরোধক বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে?
(Birth Control Options; How They Work?)

  • স্পার্ম বা শুক্রাণুকে ওভাম পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না, ফলে নিষেক হয় না।
  • স্পার্মের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
  • হরমোনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে কাজ করে যেসব ব্যবস্থা, তাদের ব্যবহারে মহিলার শরীরে স্বাভাবিক ওভ্যুলেশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। প্রত্যেক মাসে ওভাম তৈরি হয় না।
  • কিছু ওষুধ বা হরমোনাল ইমপ্ল্যানটেশনের (Birth Control Implant) কারণে সারভিকাল মিউকাস ঘন হয়ে যায় এবং স্পার্ম এর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না ও ওভাম পর্যন্ত সহজে পৌঁছতে পারে না।
  • জরায়ুর লাইনিং-এও তারতম্য ঘটায় হরমোন। এর ফলে ওভাম নিষিক্ত হলেও ভ্রূণ তৈরি হয়ে জরায়ু গাত্রে প্রতিস্থাপিত হতে পারে না।

 

‘সুরক্ষিত সেক্স’-এর উপায় গুলি জেনে নিন (Types of Birth Control Options)

#1. কনডোম: জন্ম নিয়ন্ত্রণের এই ব্যবস্থাটাই মনে হয় সবথেকে পরিচিত ও প্রচলিত। শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রণ নয়, সহবাসের ফলে অনেকসময় যে সমস্ত যৌন রোগগুলি ছড়ায়, তার থেকেও রক্ষা করতে পারে এইটি।
ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারেন।

  • পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই কনডোম পাওয়া যায়।
  • পুরুষদের জন্য যে কনডোম পাওয়া যায়, তা মিলন চলাকালীন পুরুষাঙ্গকে ঢেকে রাখতে পারে এবং বীর্যকে মহিলার শরীরে প্রবেশ করতে দেয় না।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম (Birth Control Methods)। মহিলাদের জন্য যে কনডোম পাওয়া যায়, তা শারীরিক মিলনের আগেই ভ্যাজাইনাতে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করতে হয়।
  • ব্যবহারকারীদের মত অনুযায়ী, পুরুষদের কনডোম ব্যবহার করাই বেশি সহজ এবং কার্যকরী হয়ে থাকে। যদিও, ব্যক্তিবিশেষে মতামত ভিন্ন হতে পারে।

 

বিশেষ টিপস: গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা বা জন্ম নিয়ন্ত্রক হিসেবে কনডোম ব্যবহার করা সবসময়েই নিরাপদ। যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না আবার এতে হরমোনের কোনও প্রভাব নেই বলে ব্যবহারকারীর শরীরের কাজের কোনও তারতম্য ঘটে না। তবে, ব্যবহার করুন ভালো মানের কনডোম এবং সঠিক পদ্ধতিতে। অন্যথায় কনডোম ছিঁড়ে যেতে পারে। অনেকের ল্যাটেকস কনডোম থেকে এলারজি হয়; সেক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারেন অন্য পদ্ধতির।

 

#2. গর্ভ নিরোধক বড়ি বা পিল: আরও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি এটি। মহিলাদের এই পিল (Birth Control Pill) বা বড়ি রোজ একটি করে খেতে হয়।

  • বাজারে এই ধরনের পিল (Types of Birth Control Pills) অনেক প্রকারভেদে কিনতে পারবেন। আপনি কোনটা নিতে চান, সবথেকে বড় কথা আপনার ডাক্তারবাবু আপনার জন্য কোনটা প্রেসক্রাইব করেন; সেভাবেই কিনবেন।
  • কিছু কিছু পিল যেমন শুধু প্রজেসটিন হরমোনের ওপরই নির্ভরশীল, আবার কম্বাইন্ড পিলের কাজের শর্ত ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটিন দুই হরমোনকে নিয়েই।
  • পিল থেকে উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে পিল খেতে হবে।

 

বিশেষ টিপস: ডাক্তারের কথা মেনে এই গর্ভ নিরোধক পিল ব্যবহার করলে অতিরিক্ত উপকৃত হতে পারে আপনার শরীর। পিরিয়ডসের ব্যথা কম হয়, সহবাস আরামদায়ক হয় এবং মুখে ব্রণ হওয়াও কমে যায় অনেকের ক্ষেত্রেই। আবার যৌনরোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে কিন্তু ব্যর্থ এইসব পিল। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেই যে কোনও ওষুধ কিনবেন এবং একমাত্র মহিলারাই এই ওষুধ খেতে পারবেন।

 

#3. সারভিকাল ক্যাপ: এই সারভিকাল ক্যাপ একটা নরম টুপির মতো জিনিস যা মহিলাদের সারভিক্সে একটা আবরণ তৈরি করে (Birth Control Types)। এর ফলে স্পারম জরায়ুতে ঢুকতে পারে না।

  • ব্যবহার করার আগে এতে স্পারমিসাইড দিয়ে দেওয়া হয়। এই স্পারমিসাইড শুক্রাণু বা স্পার্ম নষ্ট করে দেয়।
  • যেসব মহিলারা কোনও হরমোনাল ওষুধ খেতে চান না, ইঞ্জেকশন বা শটস নিতে চান না আবার কনডোমেও আপত্তি, তাদের জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকরী হতে পারে।
  • সারভিক্সে ঢোকানোর পরে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি কাজ করতে পারে।
  • মিলনের পরে সঙ্গে সঙ্গে এটা খুলে নেওয়া উচিত নয়। অন্তত ৪ ঘণ্টা এটা পরেই থাকতে হয়।

 

বিশেষ টিপস: অনেকের এর থেকে এলারজি হতে পারে। আবার অনেকের এটা পরে থাকা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

 

#4. ভ্যাজাইনাল রিং বা কন্ট্রাসেপটিভ রিং: এই রিংটি এমনভাবে তৈরি যে এটি মহিলার শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটোজেন হরমোন নিঃসরণ করতে পারে।

  • মহিলার ভ্যাজাইনাতে এটি স্থাপন করতে হয়।
  • মহিলার শরীরে তিন সপ্তাহ এটি কার্যকর থাকে।
  • ভ্যাজাইনাল রিং থেকে যে হরমোনগুলি নিঃসৃত হয়, সেগুলিই গর্ভ নিরোধক কম্বাইনড পিলে থাকে; কিন্তু কম মাত্রায়।
  • মহিলা ব্যবহারকারী নিজেই এটা সময়মতো খোলা-পরা করতে পারেন।

 

বিশেষ টিপস: যেসব মহিলার শরীরে ইস্ট্রোজেন যুক্ত গর্ভ নিরোধক কোনও কিছু স্যুট করে না, তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন না। সঠিক সময়ের গ্যাপে এটা খুলে ফেলে নতুন না পরলে কর্মক্ষমতা থাকে না। কোনও যৌন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে না।

 

আরও পড়ুনঃ সতর্ক নন সঙ্গমে; কীভাবে আটকাবেন প্রেগন্যান্সি?

 

#5. ডায়াফ্রাম: এই ডায়াফ্রামকে মহিলাদের কনডোম বললে ভুল কিছু বলা হয় না। ছোট্ট, নরম টুপির মতো এই জিনিস ডায়াফ্রাম মহিলাদের ভ্যাজাইনার ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় (How to Avoid Pregnancy)।
ডায়াফ্রাম শুক্রাণুকে জরায়ু পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না।

  • স্পার্ম ও ওভামের মাঝে পাঁচিলের মতো কাজ করে এটি।
  • মিলনের অন্তত ৬ ঘণ্টা পরে ভ্যাজাইনা থেকে বের করা উচিত এই ডায়াফ্রাম ।
  • ডায়াফ্রাম বের করে পরিষ্কার করে রাখা উচিত।

 

বিশেষ টিপস: ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখলে ও সঠিকভাবে ব্যবহার করলে একই ডায়াফ্রাম একাধিকবার এবং বছরখানেক ব্যবহার করা যায়। যারা ডায়াফ্রাম ব্যবহার করেন, ডায়াফ্রাম শরীরের মধ্যে ঢোকানো ও বের করে নেওয়ার যে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান আছে, তা মেনে চলা অবশ্যই উচিত।

 

#6. কন্ট্রাসেপটিভ ইঞ্জেকশন: এই ইঞ্জেকশনে প্রজেসটোজেন হরমোনের সিন্থেটিক ভার্সন মহিলাদের শরীরে প্রবেশ করানো হয়।

  • মহিলার বাহুতে বা নিতম্বে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়ে থাকে।
  • পরবর্তী ১২ সপ্তাহ ধরে মহিলার রক্তে এই হরমোন মিশে যেতে থাকে।
  • হরমোনের প্রভাবেই মহিলার শরীরে গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

 

বিশেষ টিপস: একবার ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরে তিন মাস পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কাজ করে। সময়ের হিসেব রাখা এক্ষেত্রেও জরুরি। এই ইঞ্জেকশনের প্রভাবে অনেক মহিলার পিরিয়ডস অনিয়মিত হয়ে যায়।

 

#7. কন্ত্রাসেপটিভ ইমপ্ল্যানট: এই পদ্ধতিতে একটি ছোট্ট, নমনীয় রডের মতো জিনিস মহিলার বাহুর ত্বকের তলায় বসিয়ে দেওয়া হয় (What’s the Best Kind of Birth Control)। এটি প্রজেসটেরন হরমোন নিঃসরণ করে।

  • এর ফলে ওভ্যুলেশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
  • স্বাভাবিক নিষেকে বাধা সৃষ্টি করে শরীরে এই হরমোনের আধিক্য।
  • লোকাল অ্যানাস্থেশিয়ার মাধম্যে এই রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং মহিলার শরীরে ৩ বছর পর্যন্ত এটি কর্মক্ষম থাকে। তারপর এটি বের করে নেওয়া হয়।

 

বিশেষ টিপস: জন্ম নিয়ন্ত্রণের এই প্রক্রিয়া অন্যদের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদও বটে। তবে, যাই করুন, একজন দক্ষ চিকিৎসকের কাছেই এই ইমপ্ল্যানট করানো উচিত। ইমপ্লানটেশনের প্রথম দিকে পিরিয়ড বা মাসিক অনিয়মিত হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বা এস টি আই (STIs) থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না এই ব্যবস্থা।

 

#8. ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস (Intrauterine Device (IUD)): এটি একটি ছোট্ট, ইংরেজি “T” এর মতো দেখতে বস্তু। প্লাস্টিক ও কপার বা প্রজেসটেরন হরমোন এই ডিভাইসে মজুত থাকে। এই ডিভাইসটি ইচ্ছুক মহিলার জরায়ুতে স্থাপন করা হয় (Birth Control IUD)।

  • একমাত্র চিকিৎসক দ্বারাই এই ডিভাইস মহিলার শরীরে ইমপ্ল্যানট করা হয়।
  • শরীরে প্রজেসটেরন হরমোনের আধিক্য বাড়ায় এই ডিভাইস।
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণের এই প্রক্রিয়াটিও দীর্ঘস্থায়ী। মহিলার শরীরে প্রায় ১০ বছর কর্মক্ষম থাকে।
  • এই ধরনের ডিভাইস সাধারণত দুই প্রকার। এক প্রকার মহিলার শরীরে ইমপ্ল্যানট করা হয় এবং তা হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে গর্ভধারণের প্রতিকূল অবস্থা তৈরি করে। আবার অন্য ধরনের ডিভাইস অসতর্ক মিলনের ৫ দিনের মধ্যে ইমপ্ল্যানট করা হয় অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি রোধ করার জন্য।
  • প্রজেসটেরন হরমোন সমৃদ্ধ ডিভাইসটি ৯৯.৮% কার্যকর এবং কপার সমৃদ্ধ ডিভাইস ৯৯% কার্যকর।

 

বিশেষ টিপস: ইমপ্ল্যানটেশনের পরে প্রথম ৬ মাস অনিয়মিত মাসিক হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এছাড়াও স্পটিং লক্ষ্য করেন অনেকেই। এই ডিভাইস একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই ইমপ্ল্যানট করা উচিত।

 

#9. স্টেরিলাইজেশন: জন্ম নিয়ন্ত্রণের এই পদ্ধতিটি তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা আর কোনও দিনই সন্তান চাইবেন না। অপারেশনের সাহায্যে শরীরের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা বা প্রাণ সৃষ্টি করার ক্ষমতাই নষ্ট করে দেওয়া হয় এক্ষেত্রে। গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একে স্থায়ী সমাধানই বলা উচিত (How Can You Prevent a Future Unwanted Pregnancy)।

বিশেষ টিপস:  এই পদ্ধতি মহিলা ও পুরুষ দুইয়ের জন্যই প্রযোজ্য। যেসব দম্পতির ১/২ টি সন্তান হয়ে গেছে এবং যারা আর সন্তান চান না, তারা এই স্থায়ী সমধানের সাহায্য নিতে পারেন। (Types of Contraception to Prevent Pregnancy) তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া বাঞ্ছনীয় এবং প্রক্রিয়াটিও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই করানো উচিত।

 

এই স্টেরিলাইজেশন ছাড়া কিন্তু কোনও গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থাই ১০০% নিরাপদ নয়। ১% হলেও সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে যদি এখনই ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এ ইচ্ছুক না হন, বাকি ৯৯% এর ওপরই ভরসা করে দেখুন না। নিজের মাসিক চক্র ভালো করে বুঝুন, ওভ্যুলেশনের হাল-হকিকত সম্বন্ধে জেনে রাখুন। ভবিষ্যতে অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি আটকানোই হোক বা ফ্যামিলি প্ল্যানিং; সুবিধে হবে আপনারই। (Different Ways to Avoid Pregnancy)

 

আরও পড়ুনঃ অসতর্ক সঙ্গমও যখন পুরোপুরি নিরাপদ!

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

null

null