শারীরিক কোনও জটিলতা না থাকলে গর্ভাবস্থায় ভ্রমণে তেমন কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে গর্ভাবস্থায় দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ সময় হলো দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার। কারণ এসময় গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও এ সময় মর্নিং সিকনেসের উপসর্গও কমে আসে।
তবে কোথাও যাওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনি আরামদায়ক অবস্থায় জার্নি করতে পারেন। যদি সম্ভব হয় সাথে ছোট বালিশ নিতে পারেন যাতে আরামদায়কভাবে বসতে পারেন। সাথে অবশ্যই জল এবং হালকা খাবার নেবেন। যদি অনেক দূরের কোনও রাস্তায় যান তা হলে বিরতি নিন মাঝে মাঝে, নেমে অল্প হাঁটাচলা করে নিন। গর্ভকালে ভ্রমণের সতর্কতা হিসেবে এখানে আরও কিছু সহজ টিপস দিয়ে দিলাম আমরা।
#1. হেলথ রিপোর্ট সঙ্গে রাখা
ভ্রমণের সময় সবসময় হেলথ রিপোর্টের এক-দুটো কপি সঙ্গে রাখুন। যাত্রাপথে কোনও জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হলে সঙ্গে থাকা রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।
#2. শুকনো খাবার সঙ্গে রাখা
ভ্রমণের সময় বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তা বাদে এই সময়টায় ঘনঘন খিদেও পায় গর্ভবতীর। ঘরে তৈরি খাবার তাই সঙ্গে নিন। রাখতে পারেন কিছু শুকনো খাবারও। বিশুদ্ধ জল নিতে ভুলবেন না যেন!
#3. যথাযথ পোশাক ও জুতো
গর্ভকালে শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে। এসময়ে তাই ঢিলেঢালা-হালকা সুতির পোশাকই পরা ভালো। হিল জুতো একেবারেই নয়, বেছে নিন আরামদায়ক স্লিপার। সাথে রাখুন নরম রুমাল, তোয়ালে।
#4. মাঝেমধ্যে যাত্রা বিরতি
একাধারে অনেকটা পথ যেতে হলে গর্ভবতীর জন্য তা কষ্টদায়ক হতে পারে। অনেকক্ষণ বসে থাকলে পায়ে জল জমে অসাড় হয়ে আসে। মাঝে মাঝে তাই বিরতি নিয়ে অল্প হাঁটাচলা করে নিন। আরাম পাবেন এতে।
#5.প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখা
ভ্রমণকালীন প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে রাখুন। যে কদিন বাইরে থাকা হবে তার বাইরেও অতিরিক্ত ওষুধ সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। কেন না কিছু কিছু ওষুধ আছে যা সব জায়গায় পাওয়াও যায় না।