২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

ছোট্ট বাচ্চার খাবার-দাবার রান্না করতে গিয়ে স্নেহের বশেই ভুরি ভুরি লবণ-চিনি মিশিয়ে দিই আমরা। ভাবি হয়তো, স্বাদে-রঙে চটকদার হলে বাচ্চা খেয়ে নেবে রসেবশে। কিন্তু জানেন কি, অজান্তেই এভাবে কত্ত বড় ভুল করছি আমরা? বিশেষজ্ঞদের মতে দিনপ্রতি বাচ্চাকে ১ গ্রাম লবণ, ১ গ্রাম চিনির বেশি খাওয়ানোই উচিত নয়। এমনকী বছর দুয়েক অবধিও খানিক অনুশাসন মানা প্রয়োজন! বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের স্বার্থে তাই সচেতন হতে হবে আপনাকেই। মিষ্টি খেতে কার না ভালো লাগে, বাচ্চারও যে দারুণ আকর্ষণ তৈরি হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভালো লাগাটাকেই দমন করতে হবে আপনাকে। খেয়াল রাখুন, আপনার সন্তান যাতে মিষ্টির-প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়ে। চিনির সংস্পর্শ থেকে তাই যতটা পারেন দূরে রাখুন ওকে। এতে শরীর-মন দুয়েরই যত্ন হবে ওর!

২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

#1. খাবারে বদ অভ্যাস (Poor Dietary Habits)
কচি বয়স থেকেই যদি এত্ত এত্ত চিনি খাওয়ান, মিষ্টির প্রতিই বেশি ঝোঁক তৈরি হবে শিশুর। মিষ্টি ছাড়া কিছুই আর মুখে রুচবে না, বায়না করবে অযথা!

২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

#2. বুকের দুধে অনীহা (May Avoid Breast Milk)
একবার মিঠে স্বাদ পেয়ে গেলে মায়ের বুকের দুধ আর খেতেই চাইবে না শিশু। আর এরকম করলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ওর সার্বিক বৃদ্ধি-বিকাশের প্রক্রিয়া।

২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

#3. মধুমেহর শঙ্কা বাড়ে (Increases The Risk Of Diabetes)
ছোট্ট থেকেই মিষ্টিতে আসক্তি পুষ্টিকর খাবার-দাবার থেকে দূরে রাখবে শিশুকে। যার জেরে পরবর্তীতে মধুমেহ বা ডায়াবেটিসের মতো রোগ হতে পারে ওর।

২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

#4. দাঁতের ক্ষতি (Tooth Decay)
খাবারে থাকা চিনির সাথে হাত মিলিয়েই অ্যাসিড তৈরি করে মুখে থাকা জীবাণুরা। যার জেরে কচি বয়সেই ক্যাভিটি, দাঁতের ক্ষয়ের মতো সমস্যা হতে পারে শিশুর।

২ বছরের আগেই এত্ত চিনি! কী কী ক্ষতি হতে পারে শিশুর?

#5. মোটাভাব (Obesity)
বাড়তি চিনিই ছোট্ট শরীরে মেদের কারণ হতে পারে। চিনির বদলি হিসেবে দিতে পারেন মিষ্টি ফল (৬+), খেজুরের পিউরি (৮+), মধু (১২+)। চলতে পারে খাঁটি গুড়ও।