থালা হাতে, ঘর্মাক্ত হয়ে সারাঘর দৌড়ে বেড়াচ্ছেন না। সামনে কে? কে আবার! এই কিছুদিন আগে টলমল পায়ে হাঁটতে শেখা দস্যি ছানাটা!
যাঁদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে, তাঁদের সবার কাছেই বড় চেনা দৃশ্য এটা। সব মায়েরই একটাই অভিযোগ—বাচ্চা তার কিছুই খেতে চায় না!
কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগের কারণে শিশুর রুচি কমে যেতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। শিশুর আসলে কোনও রোগই থাকে না, সমস্যাটা থাকে তার মনে। তাই বলছি, বয়স মাফিক আপনার শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অন্য বাচ্চাদের মতো হলে অযথা দুশ্চিন্তা করবে না। এখানে কিছু টিপস রইল, যাতে শিশুকে খাওয়ানোর এপিসোডটা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হয় আপনার জন্য!
#1. খাবারে ভিন্নতা আনুন (Give some choices)
রোজ এক ধরনের খাবার না দিয়ে খাবারে ভিন্নতা আনুন। যদি শিশু মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, তবে সে যা খেতে চায় তা জেনে নিন। তার পছন্দমতো খাবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি করে খেতে দিন।
#2. খাবারের স্বাদ (Alternatives to some foods)
শিশুর পছন্দসই খাবার রান্না করুন। একটা নির্দিষ্ট কোনও খাবার নিয়েই ওকে জোর করতে থাকলে সেটার প্রতি ওর বিরক্তি তৈরি হতে পারে। তাই যেটা ভালোবাসে, সেটাই দিন।
#3. রুটিন মেনে চলুন (Maintain a routine)
বয়সভেদে শিশুর খিদে পাওয়ার সময়েরও পার্থক্য হয়। আপনার শিশুকে নিয়ম বা সময়সূচি মেনে খাবার খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। কী খাওয়াচ্ছেন, তার চেয়েও বড় কথা হলো কখন সেটা খাওয়াচ্ছেন!
#4. খাবারের বিরতি (Time gap between meals)
সাধারণত দুই থেকে তিন বছরের বাচ্চাদের দুই-তিন ঘণ্টার ফারাকে খাওয়ানো উচিত। তিন-চার বয়স হলে তিন-চার ঘণ্টার বিরতি দিন। এভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের মাঝে সময়ের ফারাকও বাড়াতে থাকুন!
#5. অযথা জোর নয় (Don’t force your child)
শিশুকে কখনও জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। তাকে একবার জোর করে খাওয়ালে পরে যখনই খাওয়াতে চাইবেন, তখনই সে ভয় পাবে। খাবারের প্রতি তার আগ্রহই কমে যাবে।
#6. বাইরের খাবার (Offer healthy snacks)
বাইরের খাবার যে একেবারেই দেবেন না, তা নয়। যখন বড়দের সঙ্গে কোথাও যাবে, নিশ্চয়ই বাইরের খাবার সে খেতে পারবে। তবে শুধুই শিশুর জেদ রাখতে আলাদা করে রোজ বাইরের খাবার ঘরে আনবেন না।
#7. খাওয়ার সময় টিভি নয় (No TV/ mobile during meals)
শিশুদের টিভি বা কার্টুন দেখিয়ে খাবার খাওয়ালে এগুলোতেই সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এমনিতেই বেশি সময় টিভি দেখা শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এতে শিশুর বদহজম হওয়ার আশঙ্কাও থাকে বেশ!