পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

ছোট্ট বাচ্চার খাবার-দাবার রান্না করতে গিয়ে স্নেহের বশেই ভুরি ভুরি লবণ-চিনি মিশিয়ে দিই আমরা। ভাবি হয়তো, স্বাদে-রঙে চটকদার হলে বাচ্চা খেয়ে নেবে রসেবশে। কিন্তু জানেন কি, অজান্তেই এভাবে কত্ত বড় ভুল করছি আমরা? বিশেষজ্ঞদের মতে দিনপ্রতি বাচ্চাকে ১ গ্রাম লবণ, ১ গ্রাম চিনির বেশি খাওয়ানোই উচিত নয়। এমনকী বছর দুয়েক অবধিও খানিক অনুশাসন মানা প্রয়োজন! বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের স্বার্থে তাই সচেতন হতে হবে আপনাকেই। মিষ্টি খেতে কার না ভালো লাগে, বাচ্চারও যে দারুণ আকর্ষণ তৈরি হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভালো লাগাটাকেই দমন করতে হবে আপনাকে। খেয়াল রাখুন, আপনার সন্তান যাতে মিষ্টির-প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়ে। চিনির সংস্পর্শ থেকে তাই যতটা পারেন দূরে রাখুন ওকে। এতে শরীর-মন দুয়েরই যত্ন হবে ওর!

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

#1. আগে ছাড়ুন আপনি (Lead by example)
পাতের শেষে বা টুকটাক খিদেয় টপাটপ মুখে পুরছেন মিষ্টি? এই অভ্যাস ছাড়ুন আজই। বাচ্চার ভেতর স্বাস্থ্য়কর অভ্যাস গঠনের কাজ শুরু হোক আপনাকে দিয়েই। আপনি যেমন গড়বেন, তেমনটাই তৈরি হবে ও!

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

#2. ছোট বলে ছাড় নয় (Start early)
বায়না রাখতে গিয়ে বাচ্চার সমস্ত দাবি মেটাবেন না যেন! লজেন্স, আইসক্রিম, কেক এসব ভুরি ভুরি খেলেই যে দারুণ ছেলেবেলা কাটবে এমন নয়। ছোট থেকেই মিষ্টি-জাতীয় খাবারে ওর আকর্ষণ কমানোয় নজর দিন।

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

#3. নজর থাকুক স্বাস্থ্যে (Focus on health)
‘মোটা হয়ে যাচ্ছিস’, ‘মিষ্টি খাওয়া কমা’- রেগেমেগে এসব বলতে যাবেন না যেন। বাচ্চাকে বোঝান, যা করছেন সেটা ওর স্বাস্থ্যের জন্য। ছোট থেকেই মোটাত্ব নিয়ে ভয় গেঁথে গেলে ওর ‘ইটিং ডিসঅর্ডার’-এ ভোগার আশঙ্কা তৈরি হয়!

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

#4. বাছাইয়ের স্বাধীনতা (Allow freedom of choice)
ঠিকঠাক ভাবে যদি গাইড করতে পারেন, ছোট্ট বেলা থেকেই তবে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় বাচ্চার। কোন খাবারটা ভালো, কোনটা খারাপ শিখিয়ে দিন। তারপর খাবার বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দিন ওকেই!

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

#5. শুনি শরীরের কথা (Teach them to listen to their bodies)
একটু বড় হলেই আপনার বাচ্চা বুঝতে শিখবে কী খেলে ওর শরীর ভালো থাকছে, কী খেলে বিগড়ে যাচ্ছে! ছোট থেকেই তাই ওকে নিজের শরীর বুঝে চলার শিক্ষা দিন। কুকি ছেড়ে নিজেই যখন আপেল খাবে, চমকে যাবেন আপনি!

পুঁচকের মিষ্টি-অন্ত প্রাণ? ছাড়াবেন যেভাবে!

#6. একই খাবার খাইব সুখে (Prepare meals as a family)
পরিবারের সক্কলের জন্য যা রান্না হচ্ছে, গলিয়ে-চটকে তা-ই খাওয়ান বাচ্চাকে। ও খাবে না, বা খাচ্ছে না বলে আলাদা করে মিষ্টির জোগান রাখবেন না। সবাইকে একসাথে, এক খাবার খেতে দেখলে আর বায়না করবে না ও।