কিছুতেই ল্যাচ করতে পারছে না সদ্যোজাত; ব্রেস্টফিডিং সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধানে রইল টিপস!

কিছুতেই ল্যাচ করতে পারছে না সদ্যোজাত; ব্রেস্টফিডিং সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধানে রইল টিপস!

সদ্য মা হয়েছে ঋতু। সি সেকশনের মাধ্যমেই জন্ম নিয়েছে তার এইটুকু পুঁচকে ছানাটি। তাকে কীভাবে কোলে নেবে, ওইটুকু হাতটা কীভাবে ছোঁবে বা কুট্টুস পা দুটো কীভাবে ধরলে ওর ব্যথা লাগবে না, এই ভয়েই অস্থির ঋতু। (Tips for Getting Baby Latched Onto the Breast)

ওইটুকু একটা মানুষ, যে কিনা ঋতুর একহাতের থেকেও হয়তো ছোট্ট, তাকে এবার দুধ খাওয়ানোর পালা। মাতৃত্বের অনুভূতি প্রাণ ভরে উপভোগ করতে গিয়েও মনে সংশয়। কীভাবে কী হবে?

নার্স যখন ঋতুর ছেলেকে ওর কোলে দিতে এলেন ব্রেস্টফিড করানোর জন্য, তখন ছেলেকে কোলে নেবে কি, ঋতু ভয়ে কেঁদেই অস্থির। একে তো পেট কাটার যন্ত্রণায় সে উঠতেই পারছে না। এর মধ্যে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়ানোর ইচ্ছেও তার ভয়ানক। এখন উপায়?মুশকিল আসানে এগিয়ে এলেন নার্সিং স্পেস্যালিস্ট এবং ডাক্তারবাবু।(Nursing Positions to Get a Baby Latched) তারাই খুদেকে “ফুটবল হোল্ড” পজিশনে ধরে থাকলেন, একটু এদিক ওদিক চেষ্টার পরেই খুদে দিব্ব্যি চুকচুক করে খেতে লাগলো মায়ের দুধ।

ঋতুর মতো ভয় অনেক নতুন মা’ই পেয়ে থাকেন। নিজের শরীরের যন্ত্রণার কথা ছেড়েই দিলাম, বাচ্চাকে ঠিকভাবে ধরতে না পারা বা বাচ্চা যদি ল্যাচ না করতে পারে; তা হলেও বাচ্চাকে ঠিকভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানো যায় না। (Best Positions for Breastfeeding) ল্যাচ করতে সমস্যা হলে শিশু অনেক সময় বাতাস গিলে নিতে থাকে, ফলে উৎপত্তি হয় কলিকের।

আজকের প্রতিবেদন সমস্ত নতুন মায়ের জন্য। নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করবেন ব্রেস্টফিড করানোর আগে, কোন কোন পজিশনে বাচ্চাকে রাখলে সে ঠিকমতো ল্যাচ করতে পারবে বা ল্যাচিং-এ সমস্যা হলে বুঝবেন কীভাবে? (Which Breastfeeding Position is Best for You and Your Newborn) এইসব কিছুর বিস্তারিত আলোচনা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। হবু মায়েরা, নতুন মায়েরা, পড়ে ফেলুন আর শেয়ার করে আরও মায়েদের সাহায্য করুন।

 

নিজেকে কীভাবে ব্রেস্টফিড করানোর জন্য প্রস্তুত করবেন? (How to Prepare Yourself for Breastfeeding)

ব্রেস্টফিড করা বাচ্চার জন্য যতটা উপকারী, ব্রেস্টফিড করানোটাও কিন্তু একজন মায়ের কাছে ঠিক ততটাই আরামদায়ক এবং শান্তির (The Signs of a Good Breastfeeding Latch) হওয়া উচিত। ব্রেস্টফিড করানোর আগে তাই নিজেও একটু প্রস্তুত হয়ে নিন। বাচ্চা একদম ছোট থাকলে আর নতুন মায়ের জন্য এই টিপসগুলো বিশেষ কাজে লাগবে।

  • আরামদায়ক কোনও চেয়ারে বসুন। পিঠের পিছনে একটা বালিশ রেখে দিন এবং পা তুলে রাখুন একটা ছোট্ট টুলে। ব্যবহার করতে পারেন ভালো একখানা ব্রেস্টফিডিং পিলো। এতে মায়ের ঘাড়ে, পিঠে বা কোমরে ব্যথা হবে না আবার বাচ্চার পজিশন নাড়াচাড়া হবে না বলে ও ঠিকভাবে ল্যাচ করতে পারবে (Buker Dudh Khaoano)। যদি হাতের কাছে ব্রেস্টফিডিং পিলো না থাকে, তা হলে আপাতত ব্যবহার করুন যে কোনও নরম বালিশ।
  • খাওয়ানোর সময় বাচ্চাকে নিজের দিকে নিয়ে আসবেন। নিজে বাচ্চার দিকে ঝুঁকবেন না। বাচ্চার দিকে ঝুঁকে থাকলে কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আপনার চারদিকে টান পড়তে শুরু করবে। আর যেসব মায়ের সি সেকশন ডেলিভারি হয়েছে, তাদের জন্য তো এই ঝুঁকে দুধ (Buker Dudh)খাওয়ানো একদমই উচিত নয়।
  • বাচ্চার পেট যেন আপনার পেটের দিকে থাকে আর ওর ছোট্ট নাকখানি থাকবে আপনার নিপলের ঠিক সোজাসুজি।
  • বাচ্চার ওপরের ঠোঁটে আলতো করে নিপল ছোঁয়ান বা হাল্কা করে ঘষে দিন। এতে সহজাত প্রবৃত্তি থেকে বাচ্চা মুখ খুলবে দুধ খাওয়ার জন্য। (How to Latch Your Baby onto Your Breast)
  • বাচ্চাকে বড় হাঁ করে মুখ খুলতে দিন। ওর মুখে জোর করে নিপল ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে আলতো করে ওর দুই ঠোঁট আঙুল দিয়ে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করুন।(How to Get A Baby to Latch Wider)
  • নিপলের চারপাশের অংশ, অর্থাৎ এরিওলার নীচের দিকের বেশিরভাগটাই যাতে বাচ্চার মুখে ঢোকে, সেদিকে নজর রাখুন। শুধু নিপল মুখে নিয়ে কিন্তু কোনও ভাবেই সঠিক ল্যাচ হয় না।
  • বাচ্চার চিবুক যেন ওর বুকের দিকে বেশি ঝুঁকে না থাকে। ছোট্ট চোয়ালদুটো নাড়তে ওর যেন কোনও কষ্ট না হয়। আপনার ব্রেস্ট-এর নীচের দিকেই ওর চিবুক সাপোর্ট পাবে।

 

বাচ্চা ল্যাচ করতে পারছে না, সেটা বুঝবেন কীভাবে? (Common Latch Problems With Breastfeeding)

  • বাচ্চা দুধ খাওয়ার সময় যদি আপনার নিপলে ব্যথা হয়, তা হলে সেটা কিন্তু ল্যাচিং-এর সমস্যা। বাচ্চা হয়তো এরিওলাতে মাড়ির সেই সাপোর্ট পায়নি এবং দুধ খাওয়ার জন্য নিপলই চিবোচ্ছে। (Getting The Baby Comfortably Latched) এরকম হলে, বাচ্চাকে আরেকবার ল্যাচ করানোর চেষ্টা করুন।
  • অনেক সময় এমন হতে পারে যে বাচ্চার প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে এবং দুধ না পাওয়া সত্ত্বেও বাচ্চা ল্যাচ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মায়ের ব্রেস্ট স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং ব্যথাও হতে পারে। প্রয়োজনে অন্য দিকের ব্রেস্ট-এ ল্যাচ করানোর চেষ্টা করুন বা পজিশন বদলে নিন।
  • বাচ্চা খাওয়ার সময় যদি মুখে আওয়াজ করে, বারবার ধরা-ছাড়া করে বা নিপলে কামড় দেয়; হতে পারে খুদে হয়তো ঠিক করে ল্যাচ করতেই পারছে না। (Right Positions to Get a Good Latch) দুধের বদলে হাওয়া গিলে নিচ্ছে। বাচ্চা এরকম করলে ওর পজিশন বদলে বা ওভাবেই আবার ল্যাচ করান ঠিকভাবে।

 

সঠিক ল্যাচিং-এর জন্য পজিশন বিশেষ জরুরি অবশ্যই, কিন্তু মায়ের শরীরে যাতে পর্যাপ্ত ব্রেস্টমিল্ক তৈরি হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চাকে কীভাবে ধরলে বাচ্চা ঠিকভাবে বুকের দুধ টানতে পারবে সেটা তো আমরা বলেই দিচ্ছি, কিন্তু তার আগে আরেকটা প্রয়োজনীয় টিপস দিয়ে দিই ছবির মাধ্যমে। ব্রেস্টমিল্কের পরিমাণ বাড়াতে এই খাবারগুলো রেখেছেন তো নিজের ডায়েটে?

 

Foods to increase breast milk

 

আরও পড়ুন: বড়দের পরামর্শে দুধ বাড়াতে অনেক কিছুই তো খাচ্ছেন। এই রেসিপিগুলো ট্রাই করেছেন কি?

 

যে যে পজিশনে বাচ্চা সঠিক ভাবে ল্যাচ করতে বা দুধ খেতে পারে? (Breastfeeding Positions and Tips)

মা ও বাচ্চা যে পজিশনে আরাম পাবে, সেভাবেই ল্যাচ করানো উচিত। তবে যারা নতুন মা হয়েছেন, তাদের এই আরামটা খুঁজে নিতে এবং বাচ্চাকেও এতে অভ্যস্ত করাতে একটু সময় প্রয়োজন হয়। (How to Hold Your Baby for Breastfeeding) নতুন মায়েদের সাহায্যার্থে নার্সিং স্পেস্যালিস্টরা কয়েকটি বিশেষ পজিশনের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলি হল;

#1. ক্রস -ক্র্যাডল হোল্ড: নাম শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার একেবারেই প্রয়োজন নেই। খুবই পরিচিত ও প্রচলিত পজিশন এইটি। ডেলিভারির ঠিক পরে পরে বা সি সেকশন হয়েছে যেসব মায়েদের, তাদের জন্য খুবই কার্যকরী এই ব্রেস্টফিডিং পজিশন (Cross-cradle hold)।

  • এই পজিশনে মায়ের দুই হাতই ব্যবহার করতে হবে।
  • যে দিকে আপনি ব্রেস্টফিডিং করাবেন, তার উল্টো দিকের হাত দিয়ে বাচ্চাকে সাপোর্ট দিন।
  • বাচ্চা যদি বামদিকের ব্রেস্ট থেকে ল্যাচ করে, তা হলে আপনার ডান হাত দিয়ে বাচ্চার পিঠ ও মাথাকে সাপোর্ট দিন।
  • বাচ্চার পেট আপনার পেটের দিকেই থাকবে।
  • অন্য হাত, অর্থাৎ বাম হাত দিয়ে সাপোর্ট দিন আপনার ব্রেস্টকে।
  • নতুন মায়েরা যারা ব্রেস্টফিডিং করানোতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি, তাদের প্রথমে এই পজিশনই মেনে চলতে বলেন স্পেস্যালিস্টরা।মা এতে নিজের ব্রেস্টকেও প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে পারেন এবং ছোট্ট বাচ্চা যাতে এরিওলা সহ নিপল মুখে নিয়ে ল্যাচ করে, সেদিকে লক্ষ্য দিতে পারেন।

 

#2. ক্র্যাডল হোল্ড: বাচ্চার বয়স কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলে এবং আপনি যখন ব্রেস্টফিডিং করানোতে মোটামুটি সড়গড় হয়ে গেছেন, তখন এই ক্র্যাডল হোল্ড (Cradle hold) পজিশনে বাচ্চা ল্যাচ করতেই পারে।
বাচ্চার পেট থাকবে আপনার বুকের দিকে।

  • বাচ্চাকে যে দিকের ব্রেস্ট থেকে দুধ খাওয়াবেন, সেদিকের কনুই ভাঁজ করেই ওকে সাপোর্ট দিন।
  • প্রয়োজনে অন্য হাতে নিজের ব্রেস্টকে সাপোর্ট দিতে পারেন বা বাচ্চাকেও সাপোর্ট দিতে পারেন। (Tips for Getting Baby Latched On to the Breast)

 

#3. ফুটবল হোল্ড বা রাগবি বল হোল্ড: এই পজিশনটি সবথেকে ভালো কাজ করবে যদি আপনি কোনও ব্রেস্টফিডিং পিলো ব্যবহার করেন। (Best Position to Feed a Newborn)

  • বাচ্চা যেদিক থেকে খাবে, সেদিকে আপনার বগলের কিছু নীচে বাচ্চাকে শুইয়ে দিন। বাচ্চা একপাশ ফিরে শোবে এবং পিলোর ওপর শোবে।
  • আপনার যে হাতের নীচে বাচ্চা শুয়ে আছে, সেই হাত দিয়ে ওকে সাপোর্ট দিন।
  • বাচ্চার নাক থাকবে আপনার নিপলের দিকে।
  • বাচ্চার পা দুটো একটু আরামদায়ক ভাবে মুড়ে হাতে সাপোর্ট দিন। এতে ও খাওয়ার সময় পা ছুঁড়তে পারবে না। খুব ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে খাওয়ার সময় বারবার নাড়াচাড়া হলে ল্যাচ করতে সমস্যা হয়।
  • সি সেকশন হয়েছে যেসব মায়ের, তাদের জন্য এইভাবে (Football hold)
    দুধ খাওয়ানো বিশেষ কার্যকর।

 

#4. কোয়ালা হোল্ড: বাচ্চাকে যখন বসানোর মতো অবস্থায় রেখে দুধ খাওয়ানো হয়, তখন তাকে কোয়ালা হোল্ড (Koala Hold)বলে।

  • বাচ্চাকে কোনও ব্রেস্টফিডিং পিলোর ওপর সাপোর্ট দিয়ে এবং মায়ের একহাত বাচ্চার পিছনে দিয়ে বসা বা দাঁড়ানোর মতো ভঙ্গিমায় ব্রেস্টফিডিং করানো হয়।
  • একদম ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রেও কখনও কখনও এই পজিশনের সাহায্য নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাচ্চা যাতে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পায়, তার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়।
  • বাচ্চা একটু বড় হয়ে গেলে, ঘাড় শক্ত হয়ে গেলে বা বসতে শেখার পরেও দিব্যি এই পজিশনে ল্যাচ করতে পারে।

 

এছাড়া একপাশে শুয়েও বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার মাথা এবং বাচ্চার মাথা যেন একটু উঁচুভাবে থাকে। প্রয়োজনে হাত দিয়ে বাচ্চাকে সাপোর্ট দিন। এতে বাচ্চার ল্যাচ করতেও সুবিধে হবে এবং গলায় লাগবে না।

 

বাচ্চা যে ঠিকভাবে দুধ খাচ্ছে সেটা বুঝবেন কীভাবে? (Signs that confirm a good latch)

  • বাচ্চার নীচের ঠোঁট হাত দিয়ে অল্প টেনে দেখুন, ওর জিভটা দেখা যাবে। জিভ দিয়ে এরিওলা সাপোর্ট পাচ্ছে মানেই বাচ্চা ঠিক ল্যাচ করছে। (Breastfeeding Latch Tricks)
  • চোয়াল ও চিবুকের নাড়াচাড়া হবে একটা নিয়মিত ছন্দে।
  • বাচ্চা মুখে কোনও রকম আওয়াজ করবে না বা হাওয়া বার করবে না।
  • বাচ্চার ঢোক গেলার আওয়াজ পাবেন এবং গলার ওঠাপড়া বুঝতে পারবেন।
  • বাচ্চা যখন দুধ খাওয়া ছেড়ে দেবে, তখন নিপলের আকারে কোনও পরিবর্তন হবে না।
  • বাচ্চাকে দেখেই মনে হবে যে, ও আরামে আছে। খেতে খেতে হয়তো ঘুমিয়েও যেতে পারে বাচ্চা।
  • আপনার কোনও রকম অস্বস্তি বা নিপলে ব্যথা হবে না।(Pain During Breastfeeding)

 

বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় বিশেষ সতর্ক থাকুন। বাচ্চার নাকের ওপর যেন আপনার ব্রেস্ট চাপা না পড়ে। বাচ্চার নাকে, কানে যেন দুধ গড়িয়ে ঢুকে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

অনেক চেষ্টা করেও যদি বাচ্চা ঠিকভাবে ল্যাচ না করতে পারে, তা হলে একজন নার্সিং স্পেস্যালিস্ট-এর সাহায্য নিন। সাহায্য নিতে পারেন ভালো মানের ব্রেস্ট পাম্পের। এতে বাচ্চা ল্যাচ না করলেও বুকের দুধের পরিমাণ কমবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, সঠিক ডায়েট মেনে চলুন এবং মাতৃত্ব উপভোগ করুন।(Tips for Getting Baby Latched On to the Breast)

 

আরও পড়ুন: স্তন্যপান না করিয়ে কীভাবে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন, তারই কিছু উপায় বাতলে দিলাম আমরা

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

null

null