মায়ের বুকের দুধের জোগান কম হোক বা অন্য কোনও কারণ, না জেনে বুঝে অনেক-সময়ই একদম কচি বয়সেই বাচ্চাকে গোরুর দুধ খাওয়াতে শুরু করে দিই আমরা। কিন্তু জানেন কি, এতে অজান্তেই কত বড় বিপদ হয়ে যাচ্ছে আপনার বাচ্চার? গোরুর দুধ দেবেন না তা বলছি না। একটা বয়সের পর গোরুর দুধই আপনার বাচ্চার পুষ্টির অন্যতম উৎস হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই বয়সটা চিনুন! বাচ্চা মোটামুটি বছর খানেকের না হলে কোনও ভাবেই গোরুর দুধ দেবেন না তাকে। গোরুর দুধের জটিল গঠন/কম্পোজিশন বাচ্চার খুদে পেটের জন্য এক্কেবারে মানানসই নয়। গোরুর দুধ ও হজম তো করতে পারেই না, উল্টে পুষ্টির খোঁজ করতে গিয়ে অজান্তেই আরও নানা বিপদ ডেকে আনি আমরা, মায়েরা। দেখে নিন সেগুলো!
#1. হজম হয় না (Digestion problems):
গোরুর দুধের হাই প্রোটিন, স্নেহজাতীয় ও খনিজ উপাদান ছোট্ট শিশু হজমই করতে পারে না। বছর খানেকের না হলে তাই গোরুর দুধ থেকে দূরেই রাখুন ওকে। ভালো থাকবে পেট-পটি!
#2. পেট ব্য়থা-পটিতে রক্ত (Gastrointestinal irritation):
গোরুর দুধের জটিল গঠন শিশুর পেটে-ব্য়থার কারণ হয়ে উঠতে পারে! এরই জেরে পটির সাথে রক্তক্ষরণও হতে পারে ওর। শেষমেশ রক্তাল্পতা, বমি, ডায়ারিয়ার আক্রমণ হওয়াও অসম্ভব নয়!
#3. দুধে অ্যালার্জি (Milk allergies):
ছোট্ট বয়সেই যদি গোরুর দুধ দিতে শুরু করেন তবে ছোট থেকেই দুধ ও দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারে অ্যালার্জির প্রবণতা তৈরি হতে পারে শিশুর। আগামীতে যার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর!
#4. বিচ্ছিরি কোষ্ঠকাঠিন্য (Childhood Constipation):
গোরুর দুধের ভারী ভারী সব উপাদান ছেলেবেলাতেই আপনার ছানাকে কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো বিচ্ছিরি রোগের প্রকোপে ফেলতে পারে। এ-রোগের যন্ত্রণার কথা নতুন করে নাই বা বললাম!
#5. ক্ষতিকর উপাদান (Harmful elements):
গোরুর দুধের কিছু উপাদান যেমন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ইত্য়াদি খুবই ক্ষতিকর আপনার সদ্যোজাত শিশুর জন্য! এগুলোই ওর কচি কিডনি-জোড়ার স্থায়ী ক্ষতি করে দিতে পারে।