“ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসি মোদের বাড়ি এসো!”
প্রায় ১ ঘণ্টা হয়ে গেলো, আপনি খুদেকে পাশে শুইয়ে গান গেয়েই চলেছেন। ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসির দৌলতে আপনার সারা বাড়ি নাক ডেকে ঘুমিয়ে পড়েছে, আপনি হাই তুলে ক্লান্ত। অথচ, যার জন্য এতো গান গাওয়া, তার চোখে একফোঁটা ঘুম নেই। দিব্ব্যি প্যাটপেটিয়ে আপনার গলার হার ধরে নেড়েচেড়ে দেখছে সে! (Baby Dinner Food Recipes to Help the Baby Sleep through Night)
‘রাত হলেই বাচ্চা ঘুমতে চায় না’। সব মায়েদের এক সমস্যা। হবে নাই বা কেন! ওই রাতটুকুই তো মায়েদের একটু আরামের, বিশ্রামের, ঘুমের সময়। তার মাঝেও যদি পুঁচকে ঘুমতে না চায় বা ঘুমিয়ে গেলেও হাজারবার ওঠে, তা হলে মা বেচারি কী করে বলুন দেখি!
একদম ছোট্ট শিশুর কথা আলাদা। তাদের ঘুমের সময়, খাওয়ার সময় তাদের মতো করেই সাজিয়ে নিতে হয় মাকে। কিন্তু বাচ্চা খানিক বড় হয়ে যাওয়ার পরে, অন্তত ৫-৬ মাস হয়ে যাওয়ার পরেই কিন্তু বাচ্চাকে আমাদের অভ্যেসগুলো একটু করে ধরিয়ে দিতে হয়। যেমন ধরুন, রাতে ঘুমনো!
খাবার যে ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে এটা কিন্তু আমরা ভালোই জানি। বাচ্চাগুলোর কথা বাদ দিয়ে আমাদের বড়দের নিয়েই ভাবুন না, ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় (চা/কফি), বেশি মিষ্টি খাবার বা মাঝে মাঝে গুরুপাক হয়ে গেলেও আমাদের রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। শুনতে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু রাতের খাওয়ার ওপরে বাচ্চার ঘুম আসা বা ঘুমের গভীরতাও অনেকটাই নির্ভরশীল।
বাচ্চার ক্ষেত্রেও ঘটে এমনটাই। এমন অনেক খাবার আছে (Top Baby Dinner Food Recipes to Help Your Baby Sleep), যেগুলো রাতে খাওয়ালে বাচ্চার ঘুম খুব ভালো হয়। ঘুমের মাঝে বাচ্চা বারবার ওঠেও না। আজ প্রতিবেদনে রইলো বেশ কয়েকরকম ঘুমপাড়ানি রেসিপির হদিস, লেখায় ও ছবিতে। বাচ্চার নিশ্চিন্ত ঘুম আর আপনার পর্যাপ্ত বিশ্রামের কথা ভেবে দেখে নিন একনজরে।
খাবার কীভাবে বাচ্চার ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে? (How Food Helps in Promoting Sleep in Babies?)
এতদিনে তো জেনেই গেছেন যে, আমাদের শরীরে হরমোনের বংশ যেমন আচরণ করবে, আমাদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপও সেইভাবেই ঘটবে। ঘুম আসার পিছনেও আছে এই হরমোনের হাত। রাতের খাবার কীভাবে বাচ্চার ঘুমের সঙ্গে জড়িত, সহজ কথায় পয়েন্ট করে বলার চেষ্টা করলাম;
- কিছু কিছু খাবারের মধ্যে ট্রিপটোফান (Tryptophan) নামক একটি বিশেষ উপাদান থাকে।
- আসলে ট্রিপটোফান একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের শরীরকে প্রোটিন সংশ্লেষণে সাহায্য করে।
- এই ট্রিপটোফান আমাদের মস্তিষ্ককে সেরোটোনিন (Serotonin) নামক কেমিক্যাল তৈরিতে সাহায্য করে।
- এই সেরোটোনিন থেকেই আমাদের “স্লিপ হরমোন” বা “ঘুমপাড়ানি হরমোন” বা মেলাটোনিন (melatonin) তৈরি হয়।
- মেলাটোনিন নামের হরমোনটিই আমাদের ঘুম পাড়ানোর কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।
- এর সাথে সাথে বাচ্চাকে দিতে হবে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারও।
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার শরীরকে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। আর এই ইনসুলিন ট্রিপটোফানকে আমাদের মস্তিস্কে পৌঁছতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ ঘুমপাড়ানি হরমোন তৈরি হতে শুরু করে।
বাচ্চারা ব্রেস্ট মিল্ক খেতে খেতে প্রায়ই ঘুমিয়ে পড়ে দেখেছেন তো? এর পিছনে একটা বড় কারণ কিন্তু ব্রেস্ট মিল্কে থাকা ট্রিপটোফানের পরিমাণ। বাচ্চারা যেসব ফরমুলা খায়, তার থেকে অনেক বেশি ট্রিপটোফান থাকে মায়ের দুধে। ব্রেস্ট ফিড করার সময় মায়ের দুধের মাধ্যমে এই ট্রিপটোফান বাচ্চার শরীরে যায় ও মস্তিষ্ককে মেলাটোনিন বা ঘুমপাড়ানি হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। এজন্যই বেশিরভাগ সময় ছোট্ট শিশু মায়ের দুধ খেতে খেতেই ঘুমিয়ে পড়ে (Night Food for 7 Month Baby)।
কোন কোন খাবারে উচ্চমাত্রায় ট্রিপটোফান থাকে? (Food to Make Baby Sleep Through the Night)
ওপরের পয়েন্টগুলো পড়ার পরে আমরা বলতেই পারি যে, যেসব খাবারে ট্রিপটোফান নামের উপাদানটি ভরপুর মাত্রায় থাকবে, সেইসব খাবারই আমাদের মস্তিস্কে বেশি বেশি “স্লিপ হরমোন” তৈরি করতে পারবে।
আর এই তত্ত্ব বাচ্চার জন্যও এক্কেবারে আলাদা নয়। ৬ মাসের পরে শুধু ব্রেস্ট মিল্ক থেকে পুঁচকের পেটও ভরবে না আর পুষ্টিও সম্পূর্ণ হবে না। তাই, ধীরে ধীরে নানা সলিড খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে ওর। বয়সের সাথে সাথে বাড়বে খাবারের বৈচিত্র্য ও পরিমাণ।
বাচ্চার পেটও সারারাত ভরা থাকবে আবার ঘুমও হবে দারুণ (Foods that Help Toddlers Sleep Through the Night), এরকম কিছু রেসিপি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বানালে বাচ্চা আরামে ঘুমবে সারারাত, বলা বাহুল্য আপনিও। তবে, বাচ্চার ঘুম-স্পেশ্যাল রেসিপিগুলো জানার আগে জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবারে ট্রিপটোফান বা “ঘুমপাড়ানি হরমোনের বন্ধুটি” বেশ ভালো মাত্রায় আছে;
- ব্রেস্ট মিল্ক
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- গমের তৈরি খাবার
- বাদাম
- সবুজ শাকসবজি
- ওটমিল
- কলা
- ডিম
- মুরগির মাংস
রাতে একটানা ঘুম হওয়ার জন্য বাচ্চা-স্পেশ্যাল কিছু সহজ রেসিপি (Baby Dinner Food Recipes to Help the Baby Sleep through Night)
খাবারে উপাদান যাই থাকুক, সব খাবার তো বাচ্চাকে রাতে খাওয়ানো যায় না। আবার, সব বয়সের বাচ্চাকেও খাওয়ানো যায় না। তাই, সাধারণভাবে কয়েকটি সহজ রেসিপি (What Foods Could Help Baby Sleep Better at Night) বলে দিলাম এখানে। এতে বাচ্চার পেটও ভরা থাকবে সারারাত আবার তাড়াতাড়ি ঘুমও চলে আসবে। দেখে নিন স্বাদেভরা ঘুমপাড়ানি রেসিপি->
#1. গুডনাইট ওটমিল:
কী কী লাগবে?
- গ্লুটেন ফ্রি ওটস
- পাকা কলা
- ব্রেস্ট মিল্ক/ ফরমুলা মিল্ক/ জল
কেন খাওয়াবেন?
- ওটস শরীরকে ভালো মাত্রায় স্লিপ হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।
- কলায় উচ্চমাত্রায় ম্যাগ্নেশিয়াম আছে যা শরীরের পেশি রিল্যাক্স বা শিথিল করতে সাহায্য করে।ফলে, ঘুম তাড়াতাড়ি আসে। এছাড়াও কলায় ট্রিপটোফান আছে ভরপুর মাত্রায়।
কীভাবে খাওয়াবেন?
- জল ফুটিয়ে ওটমিল ভালো করে সেদ্ধ করে নিন।
- একটা পাকা কলা চটকে ওটসে মিশিয়ে দিন।
- স্বাদের জন্য মেলাতে পারেন ফরমুলা মিল্ক। কলার জন্য এমনিই মিষ্টি খেতে হবে। ফরমুলা দিতে না চাইলে দেবেন না।
- বাচ্চার প্রয়োজনমতো ব্রেস্ট মিল্ক মিশিয়েও খাওয়াতে পারেন।
#2. সাদা ভাত ও ডিমসেদ্ধ:
কী কী লাগবে?
- ভালো করে সেদ্ধ করা ডিম
- সাধারণ সাদা চালের ভাত
- খাঁটি ঘি
- সামান্য রক সল্ট
কেন খাওয়াবেন?
- ডিম ট্রিপটোফানের ভালো উৎস।
- সাদা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অন্যান্য চালের তুলনায় বেশি, এজন্যই সাদা চালের ভাত খেলে ঘুম ভালো হয়।
- বাচ্চারা ভাত তাড়াতাড়ি হজম করে নিতে পারে ফলে পেট ভারও হয় না।
কীভাবে খাওয়াবেন?
- বাচ্চার বয়স ৮ মাস হলে তবেই ওকে সেদ্ধ ডিমের কুসুম দেবেন। ডিমের সাদা আসবে ১১ মাসের পরে।
- নিজেরা যে ভাত খান সেই ভাতই একটু বেশি নরম করে বানান। ভাতের মাড়টা পুরো ফেলে দেবেন না। একটু সেমি সলিড দেখতে হবে এরকম ভাতের মাড় ও ভাত একটা পাত্রে তুলে নিন।
- বাড়িতে বানানো খাঁটি ঘি বা মাখন এবং সামান্য রক সল্ট দিন ওতে।
- এবার একটা সেদ্ধ ডিমের কুসুম হাতে নিয়ে ভেঙে ওই ভাতের সাথে চটকে মেখে দিন। মাখাটা হবে একদম পেস্টের মতো।
- বাচ্চার বয়স ১১ মাস পেরিয়ে গেলে ডিমের সাদা অংশ এবং একটু আলুসেদ্ধ চটকে দিতে পারেন নরম ভাতের সাথে।
ট্রিপটোফানের আরেক উৎস হল পালং শাক ও সবুজ তরিতরকারি। বাচ্চাকে খাওয়ানোর মতো পালং শাকের স্যুপের রেসিপি (Baby Night Food Recipe) দিলাম ছবিতে->
#3. আপেল-রাইস পুডিং:
কী কী লাগবে?
- ভাঙা চাল
- দুধ (১৮ মাসের পরে দেবেন খাঁটি গোরুর দুধ)
- খাঁটি গুড়/ মধু
কেন খাওয়াবেন?
- চাল কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস ও শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে।
- আপেল পুষ্টিগুণে ভরপুর ও স্বাদের জন্য শিশুদের প্রিয়।
কীভাবে খাওয়াবেন?
- চাল ভালো করে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা।
- ব্লেন্ডারে একবার চালটা দিয়ে দানা দানা হবে এরকম গুঁড়ো করে নিন।
- দুধ ভালো করে ফুটে এলে চালটা দিয়ে দিন এবং সেদ্ধ হতে দিন।
- চাল নরম হয়ে গেলে আপেলের পিউরি মিলিয়ে দিন ওতে।
- একটু রান্না হতে দিয়ে নামিয়ে নিন।
- বাচ্চা মিষ্টি খেতে চাইলে একটু খাঁটি গুড় বা মধু মিশিয়ে দিন।
যেসব বাচ্চার বয়স ১৮ মাসের কম, তাদের গোরুর দুধ দেওয়া যায় না। তাদের জন্য আরও দুটি রেসিপি দিলাম ছবিতে->
আরও পড়ুনঃ শিশুকে ভালো করে ঘুমাতে দিন। ওর সুন্দর জীবনের চাবিকাঠি আছে এই ঘুমেই
#4. মুরগির পাতলা স্যুপ:
কী কী লাগবে?
- কুমড়ো,গাজর, বিনস, আলু, পেঁপে ইত্যাদি সবজি (বাচ্চা যা খায়)
- খোসা ছাড়ানো টম্যাটো কুচি
- দুই টুকরো মুরগির মাংস
- অলিভ অয়েল
- অল্প পেঁয়াজ কুচি
- জিরে ও ধনে গুঁড়ো
- নুন অল্প
কেন খাওয়াবেন?
- মুরগির মাংসে উচ্চমাত্রায় ট্রিপটোফান আছে, যা স্লিপ হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।
- বাচ্চার শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ করে এই মুরগির মাংস।
কীভাবে খাওয়াবেন?
- কুকারে অলিভ অয়েল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।
- একটু নাড়াচাড়া করে টম্যাটো দিয়ে দিন।
- এবার সব সবজিগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
- এবার মুরগির মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
- জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও নুন দিয়ে দিন।
- ঢাকা দিয়ে একটু নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- হলুদ দিতেও পারেন আবার নাও পারেন।
- এবার পরিমাণমতো জল দিয়ে কুকারের ঢাকা লাগিয়ে দিয়ে ৪- টি সিটি হওয়া অব্দি অপেক্ষা করুন।
- ভাপ খুলে গেলে পুরোটা একটা পাত্রে ঢেলে নিন।
- বাচ্চা ৯ মাসের হলে ওর জন্য মুরগির স্টকটাই সবথেকে ভালো হবে।
- মাংসগুলো আলাদা করে তুলে রেখে দিন।
- সেদ্ধ সবজি আর মুরগির স্টকটা ব্লেন্ডারে নিয়ে একটা মিহি পেস্ট করে নিন।
- খাঁটি মাখন সামান্য ছড়িয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান।
- বাচ্চা ১ বছরের বেশি হয়ে গেলে এই স্যুপের সাথে ভাত চটকে মেখে দেবেন। দিতে পারেন সেদ্ধ মাংসটাও।
মুরগির ঝোলের আরও একটি রেসিপি (Night Food for 1 Year Baby) দিলাম ছবিতে->
#5. সুজির মিঠে ক্ষীর:
কী কী লাগবে?
- সুজি
- খাঁটি ঘি
- খাঁটি গুড়
- দুধ
কেন খাওয়াবেন?
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ বা দুধের তৈরি কোনও খাবার খেলে দারুণ ঘুম হয় বাচ্চাদের।
- ট্রিপটোফানের অন্যতম উৎস এই দুধ।
কীভাবে খাওয়াবেন?
- প্যানে ঘি গরম করে তাতে সুজি রোস্ট করে নিন।
- অন্য একটা পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিয়ে রোস্ট করা সুজির ওপর ঢালুন।
- থকথকে হওয়া অব্দি রান্না করুন।
- সামান্য গুড় মিলিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান।
বাচ্চার রাতভর ঘুমের জন্য আরও কিছু টিপস (Solutions to Get Your Baby to Sleep Through the Night )
- বিকেলের পর থেকে বাচ্চাকে ঘুমোতে দেবেন না।
- সারাদিন যেন বাচ্চা শুয়েবসে না কাটায়, সেদিকে নজর দিন। বাচ্চাকে নিয়ে খেলুন, অল্প ব্যায়াম করিয়ে দিন ওকে।
- রাতে যে ঘুমতে হয়, সেটা কচি মাথায় ঢুকিয়ে দিন। রাতে ঘুমনোর সময় হাল্কা আলো জ্বালিয়ে রাখুন এবং প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়ান।
- বাচ্চা (৬ মাসের পর) যদি মায়ের দুধ খেয়ে ঘুমতে চায়, তা হলে ওকে সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ রাতের সলিড খাবার খাইয়ে দিতে পারেন (Ways to help your baby sleep through the night)। ঘুমনোর আগে খাবার হিসেবে ও মায়ের দুধ খেয়ে ঘুমতে পারবে।
- বাচ্চার বয়স ২ বছর হয়ে গেলে, প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ গরম গোরুর দুধ এক গ্লাস করে খেতে দিন। শুধু বাচ্চা না, বড়রাও এভাবে রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে হাল্কা গরম দুধ খেলে ঘুম খুব ভালো হয়।
- রাতে তেল মশলাদার কোনও খাবার খাওয়াবেন না ওকে।
- সন্ধ্যের পর নাচ করানো, কোনও খেলনা দিয়ে উত্তেজিত করা, এই ধরনের কাজ এড়িয়ে চলুন (Tips to Get Your Baby to Sleep Through the Night)। সন্ধ্যের পর থেকে বাচ্চাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। বাচ্চার রাতভর ঘুমের জন্য আরও কিছু টিপস পেতে চাইলে পড়ুন এখানে-> সোনা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো
প্রতিবেদনে সাধারণভাবে সব বাচ্চার জন্য প্রযোজ্য এরকম রেসিপির কথা বলা হয়েছে। সব বাচ্চার শরীর ও হজমক্ষমতা আলাদা আলাদা। তাই বাচ্চাকে নতুন কোনও খাবার খাওয়ানোর আগে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বাচ্চা যেভাবে খেতে অভ্যস্ত সেভাবেই ওকে খেতে দিন। যেমন, বাচ্চার যদি রাতে ফল খেলে অসুবিধে হয়, তা হলে দেবেন না। বাচ্চার বয়স বুঝে ও শরীর বুঝে রেসিপি বানিয়ে দিন। (Baby Dinner Food Recipes to Help the Baby Sleep through Night)
আরও পড়ুনঃ রাতভর শিশুর নিশ্চিন্ত ঘুমের ৭টি সহজ টিপস! সেই সাথে জেনে নিন, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি কেন?
একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।
null
null