বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

এই ভ্যাপসা গরম, ঘাম তো আবার বিকেলে হঠাৎ একটু বৃষ্টির জলো হাওয়া। প্যাচপ্যাচে গরমের সময় পেরিয়ে আসতে চলেছে বৃষ্টির মরসুমও। আবহাওয়ার পরিবর্তনে আমরা বড়রাই মাঝে মাঝে কাবু হয়ে পড়ি, হাঁচি-কাশি, গা ব্যথা হয়েই থাকে। সেখানে, বাচ্চাগুলোর বিপদ ভাবুন দেখি! ওইটুকু শরীর বাইরের পরিবেশটার সাথে মানাতে মানাতেই যেন অস্থির হয়ে যায়। মরসুম বদলের এই সময়টায় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার দলও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ; বাচ্চাগুলোর রোগভোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বাচ্চাদের যে অসুখ-বিসুখ একবারেই হবে না এমনটা নয়; তবে একটু সতর্ক থাকলে আর কিছু ভালো অভ্যাস মেনে চললে টুকটাক অসুখ বাচ্চার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। উঁকি দিয়েই পালিয়ে যাবে। তাই শক্তিশালী করুন আপনার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস বুকের দুধ থেকেই ও পাবে সার্বিক পুষ্টি, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

#1. আক্রান্তের থেকে দূরে রাখুন
(Keep baby away from a sick person)

পরিবারের কারও সর্দি-কাশি হলে বাচ্চাকে তার থেকে দূরে রাখুন। সংক্রমিতের সংস্পর্শ থেকেই বাচ্চার শরীরে হানা দিতে পারে জীবাণু।

বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

#2. পরিচ্ছন্নতাই বাঁচাবে বাচ্চাকে
(Cleanliness is the key)

  • ডায়াপার বদলে দিন সময়মতো
  • ঘেমে গেলে জামা বদলে দিন
  • নিয়মিত বদলে ফেলুন বাচ্চার বিছানার চাদর
  • বাইরে থেকে এসে হাত ধুয়ে তবেই কোলে নিন

বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

#3. টিকা দিতে দেরি নয়
(Don’t delay or skip baby’s vaccines)
নিয়ম মেনে টিকা দিন ছোট্ট শিশুকে। বয়স অনুযায়ী চার্ট মেনে টিকাকরণ শুধু বড় রোগই আটকাবে না, কমিয়ে দেবে সর্দি-কাশির প্রকোপ।

বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

#4. ব্রেস্টমিল্কই শিশুর প্রধান খাবার
(Breast Milk is the main food)

৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র ব্রেস্টমিল্কই খাওয়ান শিশুকে। ছোট্ট বাচ্চার সার্বিক পুষ্টি সম্পূর্ণ হবে মায়ের দুধেই, বাড়বে সোনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

বদলাচ্ছে মরসুম, সর্দি-কাশি থেকে ছানাকে রাখুন সাবধানে

#5. পথ্যে থাকুক প্রিবায়োটিকস
    (Prebiotics)

বুকের দুধে পাওয়া অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত উপাদান হলো প্রিবায়োটিকস; যা বাচ্চার শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এইভাবে;

  • অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে
  • ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমিয়ে
  • ঘন ঘন জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়া কম করে
  • প্রিবায়োটিকসের প্রাকৃতিক উৎসগুলি হলো কলা, পেঁয়াজ, রসুন, বিনস, গোটা শস্য-যুক্ত খাবার।