গর্ভকালে যা করতে মানা!

গর্ভকালে যা করতে মানা!

সন্তানের মা হতে চলেছেন? আর কয়েকটা মাস পরেই ছোট্ট ছোট্ট হাত পা নেড়ে আপনাকে আদরে ভরিয়ে রাখবে সে, ভেবেই যেন গায়ে কাঁটা দিচ্ছে তাই না? কিন্তু অবাক ব্যাপার, পুঁচকের চিন্তার পাশাপাশি আপনার মাথায় নিত্য নতুন খাবারের কথা ঘুরছে কেন? খালি মনে হচ্ছে, আজ এটা খাই, কাল ওটা আনবো, পরশু সেটা বানাবো। সত্যি বলতে অবাক হওয়ার কিছু নেই এতে। গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের শরীরে হরমোনের যে নাচানাচি চলে, তার কারণে নানারকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছে, তরিবত করে রান্না করে আঙুল চাটার ইচ্ছে আপনার হতেই পারে। ইচ্ছে হলেই যে উপায় হয়, এমনটাও বোধ করি সবসময় হয় না। বাড়ির গুরুজনেরা রে রে করে তেড়ে এসে অনেক কিছু খাবার খেতে বারণ করতে পারেন। এ ব্যাপারে কম যান না ডাক্তাররাও। মন খারাপ করবেন না; এঁরা প্রত্যেকেই আপনার ও আপনার ভাবী সন্তানের শুভাকাঙ্ক্ষী। গর্ভাবস্থার দশটা মাস কোন, কোন খাবার না খাওয়াই ভালো, কী কী করলে ক্ষতি পারে সন্তানের, কীসের থেকে দূরে থাকবেন আর কোন নিয়ম মেনে চলবেন, তারই চেকলিস্ট থাকল এখানে।

গর্ভকালে যা করতে মানা!

#1. কোন কোন খাবারে মানা
আধ-সেদ্ধ চিংড়ি-মাংস-সামুদ্রিক মাছ, কাঁচা ডিম (মেয়োনিজ, কাস্টার্ডে থাকে), সফট চিজ, পাস্তুরাইজড নয় এমন দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো খাবার এড়িয়ে চলুন গর্ভাকালীন দিনগুলোয়। এসব খাবারে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি!

গর্ভকালে যা করতে মানা!

#2. কফি নয়, মদ্যপানও নয়
কাপের পর কাপ কফিই দুম করে রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার। আর অ্যালকোহল? গর্ভকালে সে সব তো নৈব নৈব চ। জানেন কি, মদ্যপানই গর্ভপাত, ভ্রুণের মস্তিষ্ক, শরীরের পাকাপাকি ক্ষতি করে দিতে পারে!

গর্ভকালে যা করতে মানা!

#3. হিল তোলা জুতোয় মানা
গর্ভকালের এই দশটা মাস ৩ ইঞ্চি বা তারও কম হিলের জুতোই সঙ্গী হোক আপনার। পেট যত বড় হবে ততই গোলযোগ হবে শরীরের ভারসাম্য রক্ষায়। বিপদ এড়াতে তাই হিল তোলা জুতোগুলো আজই তুলে দিন তাকে।

গর্ভকালে যা করতে মানা!

#4. পরোক্ষ ধূমপানে মানা
সিগারেটের ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে আপনার ও গর্ভস্থ শিশুর। নিজে হয়তো খাচ্ছেন না, কিন্তু যে খাচ্ছে বারণ করুন তাঁকেও। ধূমপানের ধোঁয়ায় প্রায় ৪০০০ রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢোকে শরীরে। সতর্ক হোন আজই।

গর্ভকালে যা করতে মানা!

#5. বসে-দাঁড়িয়ে বেশিক্ষণ নয়
একটানা বেশ কিছুক্ষণ একভাবে বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকাও বিপদ ঘটাতে পারে। মাঝে মাঝে এদিক-ওদিক ঘুরে আবার বসুন, দাঁড়িয়ে থাকলে পা ওঠান-নামান। নয়তো গোড়ালি ফোলা, শিরার সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার!