সুন্দর, দাগহীন ও উজ্জ্বল ত্বক কে না চায় বলুন তো? টানটান পরিষ্কার ত্বকই যেন মুখের সাথে সাথে মনের বয়সটাও অনেকটা কমিয়ে দেয়। সংসার, কর্মক্ষেত্র আর কর্তব্যের জাঁতাকলে সারাদিন পিষ্ট হয়ে রাতে শুতে যাওয়ার আগে যখন আয়নায় নিজের ক্লান্ত মুখটা দেখেন, কেমন লাগে বলুন তো? আবার আপনার বাড়িতে যদি একটি ছোট্ট একরত্তি আছে, তা হলে তো রাতের ঘুমও মাটি প্রায়দিনই। দিনের পর দিন অযত্নের ফলে মুখের লাবণ্য যেন কোথায় হারিয়ে যায়, চোখের কোণে গামলা গামলা কালি জমে, অকালেই উঁকি দেয় বলিরেখা বা নরম গালে রাজত্ব করে ব্রণের দল।
জানি, আপনি দম ফেলার সময় পান না, তাই কম সময়ে কী করে নিজের ত্বকের যত্ন নিতে হয় সেটাই বলবো আজ।
#1. মেকআপ তুলে ফেলুন (No Makeup, Please)
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ঘুমানো উচিত। হাজার আলসেমি লাগলেও কখনই মেকআপ-সমেত ঘুমাবেন না। মেকআপে থাকা রাসায়নিকগুলির প্রভাবে ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়!
#2. এক্সফলিয়েটর ও পিউরিফাইং মাস্ক (Toner Is A Double Must)
দূষণ ও সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মির প্রভাবে রোজই একটু একটু করে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের ত্বকের। সতর্ক থাকতে ঘুমানোর আগে এক্সফলিয়েটর দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর পিউরিফাইং মাস্ক লাগিয়ে শুতে যান।
#3. দু’টি বালিশ ব্যবহার করুন (Start Using Silk Pillowcases)
উঁচু বালিশে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। না থাকলে কমপক্ষে দু’টি বালিশ মাথায় নিয়ে ঘুমান। উঁচু বালিশে ঘুমালে ঘুম থেকে ওঠার পরের চোখের নীচের ও মুখের ফোলা ভাব থাকে না। চুলের স্বার্থে সিল্কের বালিশ-কভার ব্যবহার করুন।
#4. হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন (Hand Cream Is A Must)
সারাদিনের বার বার সাবান ব্যবহার এবং ধুলো-ময়লায় হাত রুক্ষ হয়ে যায় এবং আমাদের নখগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়। রাতে তাই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পড়ে হাত ও নখগুলো থাকবে সুন্দর।
#5. চুল বেঁধে ঘুমান (Tie Your Hair)
রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের চুলের তেল, ময়লা ও নানা জীবাণুর কারণে ত্বকে ব্রণের আক্রমণ হতে পারে। ত্বক ব্রণের আক্রমণ থেকে বাঁচতে চাইলে চুল বেণি করে অথবা বেঁধে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে চুলের আগা ফাটবে না, যত্নে থাকবে এবং আপনার ত্বকও ভালো থাকবে অনেক!
#6. আট ঘণ্টা ঘুমান (Get A Good Night’s Sleep)
যত্ন, পুষ্টিকর খাবারের সাথে সুন্দর ত্বকের জন্য চাই পরিমিত ঘুম। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য রোজ কমপক্ষে আট ঘন্টা গভীর ঘুম খুব প্রয়োজন। দিনভর যত ব্যস্ততা থাক, রাতের ঘুমটা যাতে ভালো হয়, তার জন্য সচেষ্ট হোন আজই!