আতঙ্কে বা ভয় পেয়ে প্রায়ই রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে আপনার বাচ্চার? দেখে নিন কারণ ও সমাধান!

আতঙ্কে বা ভয় পেয়ে প্রায়ই রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে আপনার বাচ্চার? দেখে নিন কারণ ও সমাধান!

রূপসা ও নীলের একমাত্র মেয়ে জিনাই সবে চার বছরে পড়েছে। ফুটফুটে জিনাই স্কুলেও যায় এবং শান্তশিষ্ট, মেধাবী বলে ম্যাডামদের ভারি প্রিয়পাত্রী সে। রূপসা,নীল ও জিনাই; তিনজনের ছোট্ট নির্ঝঞ্ঝাট পরিবারে সমস্যার সূত্রপাত ৫-৬ দিন আগে থেকে। (Nightmares And Night Terrors In Toddlers)

একদিন রাতে জিনাইকে ঘুম পাড়িয়ে ওরা স্বামী-স্ত্রী একটু টিভিতে মন দিয়েছে। ২-৩ ঘণ্টা পরেই হঠাৎ জিনাই-এর আর্ত চিৎকার। পড়িমরি ওরা ছুটে গিয়ে দেখে, জিনাই বিছানার ওপর উঠে বসে আছে, ঘামছে গলগল করে, চোখের তারা যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। ছোট্ট মেয়েটা যেন ভীষণ ভয় পেয়েছে।

রূপসা ছুটে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কত জিজ্ঞাসা করছে, “কী হয়েছে? কীসের স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছে সে?” তাও মেয়ের কোনও সাড়া নেই। জিনাই যেন কেমন ঘুমের ঘোরেই আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার নিজে নিজেই ঘুমিয়ে পড়লো জিনাই।পরদিন সকালে যখন নীল মেয়েকে যখন গতরাতের ঘটনা জিজ্ঞাসা করছে, তখন জিনাই-এর কিছু মনেই নেই।

রূপসা,নীলও আর ওকে ঘাঁটায়নি। সারাদিন সব স্বাভাবিক। সেদিন রাতে মেয়ের কাছেই শুয়েছিল রূপসা। আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি (Night Terrors In Children)। আজ প্রায় ৫ দিন হল, জিনাই ঘুমের মাঝে ভীষণ ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠে বসে, আর পরের দিন সকালে ও কিছুই মনে করতে পারে না।

মা-বাবার মন কতদিন আর ‘ও কিছু না,মেয়ে স্বপ্ন দেখছে’, এই ভেবে কাটাতে পারে? জিনাইকে নিয়ে ওরা মামার বাড়ি বেড়াতে গেল। সৌভাগ্যক্রমে জিনাইয়ের মামা একজন মনোবিদ। আদরের ভাগ্নির সাথে ১/২ ঘণ্টা কাটিয়েই উনি বুঝে গেলেন গলদ কোথায়! রূপসা ও নীলকে নিয়ে বসলেন আলোচনায় (Toddler Nightmares and Night Terrors)।

ঘুমের মধ্যে বাচ্চাদের এই ধরনের আতঙ্ক কেন হয় বা বাচ্চা দুঃস্বপ্ন কেন দেখে, সবেরই চুলচেরা ব্যাখ্যা দিলেন উনি। পারিবারিক বন্ধু হিসেবে সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলাম আমিও। আপনাদের উপকারে লাগতে পারে, তাই পুরো আলোচনাটাই প্রতিবেদনে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তুলে ধরছি এখানে। কেন ঘুমের মধ্যে শিশু আতঙ্কিত হয় ও দুঃস্বপ্ন দেখে, এর সমাধানই বা করবেন কীভাবে? দেখে নিন একনজরে।

 

 

আপনার বাচ্চা কি দুঃস্বপ্ন দেখছে? দেখে নিন সমস্যা এবং সমাধান!  (Nightmares And Night Terrors In Toddlers: Reasons And Solutions)

 

#1.রাতের আতঙ্ক/ তিড়কে ওঠা এবং দুঃস্বপ্ন কী আলাদা?

হ্যাঁ, রাতে ঘুমের মধ্যে শিশুর আচমকা আতঙ্কিত হওয়া বা নাইট টেরর (Night Terror) এবং দুঃস্বপ্ন বা নাইট মেয়ার (Nightmare) দুটি সম্পূর্ণ আলাদা।

 

 

#2.ঘুমের মধ্যে আতঙ্ক আর দুঃস্বপ্নের মধ্যে পার্থক্য কী? 

 

  • শিশু ঘুমের মধ্যে আতঙ্কে মাঝে মাঝে চিৎকার করে উঠে বসে বা চলতি কথায় তিড়কে উঠে বসে। এইরকম আতঙ্ক শিশুরাই বেশি পেয়ে থাকে। ঘুম যখন গভীর হতে শুরু করে, অর্থাৎ মাঝরাতে ১-৩টার মধ্যে এই আতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
    কোনও খারাপ জিনিস নিয়ে স্বপ্ন দেখা বা কোনও কিছু ভয়ানক স্বপ্ন দেখা, একেই আমরা দুঃস্বপ্ন বলে থাকি (Night Terrors vs Nightmares)। বাচ্চারাও দুঃস্বপ্ন দেখে। ঘুম যখন  শেষের পর্যায়ে পৌঁছে যায়, অর্থাৎ ভোরের দিকে এই দুঃস্বপ্ন দেখে বাচ্চারা।

 

  • রাতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ ঘুম থেকে উঠে শিশু কিছুই মনে রাখতে পারে না বা রাতে ভয় পাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ ভুলে যায়।দুঃস্বপ্নের ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠে স্বপ্নের বিষয়বস্তু মোটামুটি বা পুরোটাই মনে করে বলতে পারে।

 

  • নাইট টেরর বা রাতের আতঙ্কে ভয় পেলে শিশু উঠে বসে কিন্তু তার ঘুম ভেঙে যায় না। আধো-ঘুমে থাকা অবস্থাতেই সে উঠে বসে থাকে। তাকে ওই অবস্থা থেকে জাগানোও কঠিন হয়। কিছুক্ষণ পরে সে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ে। এবং এই ঘুম খুব গভীর হয় (Bachhader Atonko)।
    দুঃস্বপ্নের ক্ষেত্রে ঘটে ঠিক উল্টোটা। বাচ্চা খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে উঠে বসে যায়। মা-বাবা কাছে থাকলে সে তার স্বপ্নের ব্যাপারে বোঝানোর চেষ্টা করে। পুরোটাই সজ্ঞানে। ঘুম ভেঙে উঠে পড়ে এবং ভয় পেয়ে থাকে বলে, দুঃস্বপ্ন দেখার পর আবার শিশুকে ঘুম পাড়াতে বেশি সময় লাগে।

 

  • রাতের আতঙ্কে জেগে ওঠা ও তার মধ্যেই থাকা ১০ মিনিট থেকে শুরু করে ৩০-৪০ মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে।
    দুঃস্বপ্ন দেখা বা উঠে পড়া পুরো ব্যাপারটা খুব কম সময়ে হয়। এই ধরুন, কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো ব্যাপারটার নিষ্পত্তি ঘটে।

 

  • আমাদের ঘুমের কতগুলো পর্যায় বা স্টেজ আছে। এবং এর ওপর নির্ভর করে ঘুমন্ত অবস্থায় চোখের নড়াচড়াও। একটু হাল্কা ঘুমে যখন আমাদের র‍্যাপিড আই মুভমেনট (Rapid eye movement) হয়, অর্থাৎ চোখের মণি দ্রুত নড়াচড়া করে; তখনই আমরা স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন দেখি। শিশুদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এরকমই (Baby Nightmares)।
    আবার, ঘুম যখন আরও গভীর অবস্থায়, চোখের মণি নড়াচড়া করে না এরকম অবস্থায় থাকে (Deep non-REM sleep); রাতের আতঙ্কজনিত উৎপাত সেই সময়েই থাবা বসায়। তাই, এই আতঙ্ককে কোনও ভাবেই স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন বলা যায় না।
    ঘুমের বিভিন্ন পর্যায়ে এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে যাওয়ার সময় কোনও কারণে ভয় পেয়ে শিশু যে প্রতিক্রিয়া দেয়; তাকে আমরা শিশুর ‘আতঙ্ক’ বলতে পারি।

 

  • দুঃস্বপ্ন দেখতে দেখতে বাচ্চা আস্তে আস্তে হাত-পা নাড়তে পারে, কিছু বলার চেষ্টা করতে পারে এবং শেষে উঠে পড়ে।
    রাতে আতঙ্কিত হয়ে ভয় পেলে বা নাইট টেররের শিকার হলে শিশু অত্যন্ত আক্রমনাত্বক ভঙ্গীতে হাত-পা ছুঁড়তে শুরু করে। যেন নিজেকে কিছুর থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ঘুমের মধ্যে থাকে বলে, বাস্তব জ্ঞান থাকে না এইসময়। বাচ্চা নিজেকে বা অন্য কাউকে আঘাত করে ফেলতে পারে অজান্তেই।

 

  • দুঃস্বপ্ন বা নাইট মেয়ারের ফলে বড়জোর শিশু ভয় পায় এবং কান্নাকাটি করে ঘুমিয়ে পড়ে (Night Terrors in Toddlers)।
    নাইট টেরর বা রাতের আতঙ্কের প্রভাব কিন্তু এর থেকে অনেকটাই ভয়ানক হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই বড়সড় স্লিপ ডিসটারবেন্স (sleep disturbance)-এর সমস্যা তৈরি হয় এর ফলে। যেসব বাচ্চার ওপর এই আতঙ্কের প্রভাব খুব গভীর হয়ে যায়, তারা ঘুমের মধ্যে হাঁটতে শুরু করে। আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হাঁটা যে কতটা বিপজ্জনক, তা আন্দাজ করতে পারছেন সহজেই।

 

 

আরও পড়ুনঃ শিশুকে ভালো করে ঘুমাতে দিন। ওর সুন্দর জীবনের চাবিকাঠি আছে এই ঘুমেই

 

 

#3. ঘুমের মধ্যে বাচ্চার আতঙ্কের কারণ কী?

  • কোনও কারণে বাচ্চা খুব ভয় পেয়েছে
  • অতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেস
  • কোনও ওষুধের প্রভাব
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি
  • পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
  • মূত্রথলি বা ব্লাডার বেশি ভর্তি হয়ে যাওয়া, শোওয়ার জায়গায় উপযুক্ত পরিবেশের অভাব বাচ্চাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতের আতঙ্কের পরোক্ষ কারণ হিসেবে দায়ী এটিও।

 

 

#4. রাতের আতঙ্ক বা নাইট টেররের উপসর্গ:

  • ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাৎ ছিটকে খাটের ওপর বসে যাওয়া
  • দ্রুতবেগে হাত-পা ছোঁড়া
  • ঘেমে যাওয়া
  • জোরে জোরে নিশ্বাস নেওয়া
  • হার্টবিট খুব দ্রুত হয়ে যাওয়া।
  • চোখ বড় বড় হয়ে যাওয়া। অথচ, বাচ্চা কিন্তু কিছু দেখতে পাবে না। এমনকি আপনাকেও না। পুরো ব্যাপারটাই ঘটবে আধো ঘুমের মধ্যে।

 

 

#5. বাচ্চারা দুঃস্বপ্ন কেন দেখে?

  • প্রত্যেকদিন চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রভাব
  • বাড়িতে সদস্যদের মধ্যে অশান্তি, বাবা-মায়ের মধ্যে উত্তপ্ত কথাবার্তা
  • কোনও কিছু দেখে ভয় পেয়ে থাকলে
  • মনের মধ্যে অজানা ভয় বাসা বাঁধলে (Night Terrors Causes)
  • রাতে খুব ভারী খাবার খেলে
  • ক্লান্তি ও উদ্বেগের প্রভাবে
  • পর্যাপ্ত ঘুম না হলে

 

 

#6. বাচ্চার দুঃস্বপ্ন দেখার লক্ষণগুলি কী কী?

  • ভয় পেয়ে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া
  • উঠেই নিজের মা বা কাউকে খোঁজা এবং সামনে না পেলে কান্না
  • একটু বড় বাচ্চার ক্ষেত্রে হয়তো বাচ্চা নিজেই আপনার কাছে উদ্ভ্রান্তের মতো দৌড়ে এলো। এতটাই ভয় পায় সে (Nightmares And Night Terrors In Toddlers)।
  • আবার ঘুমোতে না চাওয়া। ঘুমোতেও বাচ্চার ভয় লাগবে।

 

 

#7. বাচ্চার রাতের আতঙ্ক কাটাতে ও দুঃস্বপ্ন দেখা কম করতে কী করতে পারেন?

  • বাচ্চা ঘুমোতে যাওয়ার আগে ওকে বাথরুম করিয়ে দিন।
  • বাচ্চার শোওয়ার ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক রাখুন।
  • বাচ্চার সামনে যাতে কোনও উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • বাচ্চা সামনে থাকলে টিভিতে সিনেমা ও সিরিয়াল দেখুন বুঝেশুনে। মারদাঙ্গার সিনেমা বা ভূতের সিনেমা শিশুর সামনে দেখবেন না।
  • বাচ্চাকে সুন্দর সুন্দর গল্প শোনান। সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন।
  • বাচ্চা কী স্বপ্ন দেখেছে বা কেন ভয় পেয়েছে, এসব বারবার জিজ্ঞাসা করবেন না বা আলোচনা করবেন না (How to Stop Night Terros)।
  • প্রয়োজনে বাচ্চাকে নিজের কাছে নিয়ে ঘুমান।
  • বাচ্চা যদি কোনও কারণে ভয় পেয়ে থাকে বা উদ্বেগে থাকে, তার কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। বুঝিয়ে ভালোবেসে, বাচ্চার মতো করেই।
  • বাচ্চাকে রোজ একটু হলেও খেলাতে নিয়ে যান বা পার্কে ঘুরতে নিয়ে যান। রাতে বেশি মশলাদার খাবার ওকে খাওয়াবেন না।
  • বাচ্চাকে “জুজু আসছে”, “খাটের তলায় পেত্নি আছে” বা “না খেলে ডাকাত এসে ধরে নিয়ে যাবে”; এই জাতীয় কথা বলা দয়া করে বন্ধ করুন। এতে হয়তো সাময়িকভাবে আপনার কাজ সহজ হয়ে যায়, কিন্তু বাচ্চার মনে অজানা ভয় ঘাঁটি গেড়ে বসে। অদেখা কোনও কিছুর ভয় বাচ্চাকে দেখাবেন না।
  • বাচ্চাকে বেশি করে আদর করুন, ওকে বোঝান যে আপনি সবসময় তার পাশেই আছেন।

 

 

#8. জিনাই-এর কী অসুবিধা হয়েছিলো? 

জিনাই-এর মামা গল্পের ছলে যা জেনেছিলেন, জিনাই-এর মা তা পারেননি। কিছুদিন আগে স্কুলের সামনে ৩-৪ জন লোককে প্রচণ্ড হিংস্রভাবে হাতাহাতি করতে দেখেছিল জিনাই। ওই মারামারি, চিৎকার, রক্তপাত ছোট্ট মনে কোথাও ভয় লুকিয়ে দিয়েছিলো। সাধারণ সময়ে সেটা ভুলে গেলেও ঘুমের মাঝে সেই উদ্বেগ থেকেই সম্ভবত জিনাই ভয় পেয়েছে।

 

 

কিছু বিশেষ কথা 

  • বাচ্চা ভয় পেয়ে উঠে আধো ঘুমে থাকলে তাকে জোরে ঝাঁকিয়ে জাগাবেন না।
  • সাধারণত টিন এজ শুরু হলে অর্থাৎ সন্তান ১২-১৩ বছরের চৌহদ্দিতে ঢুকে গেলে এরকম আতঙ্ক পাওয়া বা দুঃস্বপ্ন দেখা চলে যায়। তখন বোধ-বুদ্ধি ও বিচারশক্তিও জন্ম নেয় তাই পরিস্থিতি বিচার করার ক্ষমতাও আসে।
  • রাতে আতঙ্কে উঠে পড়া বা ক্রমাগত দুঃস্বপ্ন দেখা কোনও রোগ নয়। মনের মধ্যে জমা উদ্বেগই এর প্রধান কারণ।
  • বাচ্চার মন থেকে ভয় দূর করার চেষ্টা করুন। কিন্তু যদি দেখেন, বাচ্চা বারবার ভয় পাচ্ছে, প্রায়ই রাতে ভয় পেয়ে কেঁদে উঠছে বা রাতের স্বপ্ন মনে করে সারাদিন মুষড়ে থাকছে, তা হলে ওকে একজন স্লিপ স্পেশ্যালিস্ট বা শিশু মনস্তত্ববিদকে দেখিয়ে নিন।
  • মনের স্বাস্থ্যর ওপরে কিন্তু শরীর অনেকটাই নির্ভর করে চলে (Nightmares And Night Terrors In Toddlers)। তাই, বাচ্চার কোনও অস্বাভাবিক আচরণই বেশিদিন অগ্রাহ্য করবেন না।

 

আরও পড়ুনঃ রাতভর শিশুর নিশ্চিন্ত ঘুমের ৭টি সহজ টিপস! সেই সাথে জেনে নিন, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি কেন?

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব। 

null

null