শিশুর প্রয়োজন বাড়তি যত্নর। ওর দেখভালে কেনাকাটির চেকলিস্ট থাকল এখানে!

শিশুর প্রয়োজন বাড়তি যত্নর। ওর দেখভালে কেনাকাটির চেকলিস্ট থাকল এখানে!

বাড়িতে খুদে এক ছানা থাকা মানে আমূল বদলে যাওয়া রোজের যাপনটাই। সে মুদির বাজার হোক, সবজির কেনাকাটি হোক, মাছ-মাংসের পছন্দ হোক কিংবা হোসিয়ারির ফর্দ! (Baby Comfort Products to Have)
আপনার বাড়িতেও বুঝি নতুন অতিথি এসেছে? আপনাকেও তবে এবার বদলে ফেলতে হবে হোসিয়ারি, মাসকাবারির তালিকা। তিলে তিলে রোজই একটু করে বড় হবে ছোট্ট সোনা, তাই প্রতি মাসেই নতুন নতুন জামা লাগবে ওর। তার ওপর ব্যাগ ব্যাগ ডায়াপার তো আছেই। নোংরা হোক কি না হোক, ৩-৪ ঘণ্টা পরপর বাচ্চার ডায়াপার বদলে দিতেই হবে আপনাকে। একদম সদ্যোজাত থেকে বছর দুয়েক অবধি মাসের বাজারে এভাবে গুচ্ছ ডায়াপার আসবে আপনার বাড়িতে।

মা যদি কর্মরতা হন তবে স্তন্যপান করানোর সরঞ্জামও থাকবে কেনাকাটির তালিকায়। সে ব্রেস্টপাম্প হোক, ফিডিং বোতল হোক বা অন্য কিছু (Sisur Jotno)। থাকবে ক্য়ান ক্য়ান ফরমুলা দুধও। এ ছাড়াও লাগবে ঘুমপাড়ানি দোলনা, জড়িয়ে নেওয়ার তোয়ালে, স্নানের টাব, মন ভোলানো খেলনা, সুরক্ষার সরঞ্জাম, স্বাস্থ্য রক্ষায় হরেক হোসিয়ারি আরও কত কী!

ভূমিকা পড়ে ঘাবড়ে যাওয়ার কিচ্ছু নেই। আপনার খাতিরেই লিস্টি করে দরকারি সব জিনিসেরই ফর্দ (Newborn Baby Products Shopping Checklist) বানিয়ে দিলাম আমরা। অনলাইন হোক বা পায়ে হেঁটে, বাজার করার আগে চোখ বুলিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!

 

#1. সুতির-ঢিলেঢালা জামা-কাপড়

  • বয়স হিসেবেই বিক্রি বাটা হয় বাচ্চার জামা-কাপড়ের (Baby Cloths)। কিন্তু সমস্যা হল এই যে সব ব্র্য়ান্ডের সাইজ এক হয় না। এ ক্ষেত্রে মুসকিল আসান করতে পারে ওজন আর দৈর্ঘ্য়ের গাইডলাইন দেওয়া জামাগুলি।
  • কোনও কোনও বাচ্চা সরাসরি ৩ মাসের বাচ্চার জামা দিয়ে শুরু করে। সদ্যোজাত বাচ্চার জামার দরকারই পড়ে না তাদের। কিন্তু সেটা বুঝবেন কীভাবে? (Baby Shopping Guide) ভাবী সন্তান কতটা বড় হবে, এটা বোঝার সত্যিই কোনও উপায় থাকে না। তাই বলব, সদ্যোজাত সেই সাথে এক সাইজ বড় জামাও কিনে রাখুন বাড়িতে। বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়, কোনও কিছুই তাই ফেলা যাবে না।
  • শিশুকে আরাম-স্বস্তি দিতেই যেহেতু এই কেনাকাটি, সর্বদা তাই সুতির, ঢিলেঢেলা পোশাকে নজর দিন। নরম, তুলতুলে, টেকসই (বারবার কাচলেও থাকবে নরম) জামাগুলোই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চার জন্য আদর্শ। দেখে ভালো লাগলেও ঝকমারি, রিবন-বোতামওয়ালা জামাগুলো কিনবেন না। শখ মেটাতে গিয়ে অজান্তেই আঘাত লাগতে পারে ছোট্ট সোনার।

 

#2. ভালো মানের গুচ্ছ ডায়াপার

  • ডায়াপার যেমনই হোক না কেন, শুরু শুরুতে দিনে ৮-৯টা ডায়াপার (Diapering) লেগেই যাবে আপনার শিশুর। হিসেবটা মাথায় রেখেই তাই কেনাকাটি করুন। একদম সদ্য়োজাত বাচ্চার জন্য কিনতে হলে নানান ব্র্য়ান্ডের নানান ধরনের ছোট প্যাকেট কিনুন। পাল্টে পাল্টে ব্যবহার করুন, কোনটায় আপনার সোনা আরাম পাচ্ছে বুঝে যাবেন ওর হাবেভাবে। পরবর্তীতে সেই ব্র্য়ান্ডের ডায়াপারই কিনুন গুচ্ছ ধরে।
  • এর সাথেই দরকার ব্যবহৃত ডায়পার ফেলার আঁটোসাঁটো এক বালতি। সবসময় হয়তো বাইরে গিয়ে ফেলার ফুরসত পাবেন না আপনি, গন্ধ যাতে না ছড়ায় সেই মতো চাপা দেওয়া একটা বালতি বাথরুমের কোণায় রেখে দেওয়া তাই খুব জরুরি।
  • জরুরি ওয়াইপস আর ডায়াপার ক্রিমও। সেটাও শিশুর স্বস্তির খাতিরেই। যতবারই আপনি ওর ডায়পার বদলাবেন, জায়গাটা কুসুম গরম জলে ওয়াইপস দিয়ে পরিষ্কার করে, আলতো হাতে মুছিয়ে নিন। চেষ্টা করুন গন্ধবিহীন ওয়াইপস কেনার। গন্ধওয়ালা ওয়াইপসগুলো শিশুর ত্বকে অস্বস্তি তৈরি করে। ওয়াইপস দিয়ে মুছিয়ে নিয়ে ডায়পার ক্রিম লাগিয়ে তবেই নতুন ডায়াপার পরান। জানেনই তো, ছোট্ট বলে সবেতেই বাড়তি নজর চাই ওর!

 

#3. স্বস্তি চাই যাতায়াত, ঘোরাফেরায়

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর বাচ্চাকে নিয়ে প্রথম বাইরে যাওয়া মানে সেই হাসপাতালেই যাওয়া! না, আমরা কোনও অসুখ-বিসুখের কথা বলছি না। বলছি, নিয়মমাফিক টিকাকরণের কথা। ছোট্ট শিশুকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও যাওয়া সহজ কথা নয় মোটেই। একে তো ওকে সামলানো, তার চেয়েও বড় ভাবনা বাচ্চার বেড়ানোও (Baby Gear) যাতে হয় আরাম ও স্ফূর্তির।

  • সব দিক মাথায় রেখে তাই একটা বেবি কেরিয়ার (Baby carrier) কিনে ফেলতে পারেন আপনি। যতই ছোট, হালকা হোক বাচ্চাকে সবসময় কোলে রাখা সত্যিই সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে বেবি কেরিয়ারই সবচেয়ে সেরা পছন্দ হতে পারে। বাচ্চা আপনার কোলের কাছেই থাকল, মায়ের গন্ধ পেল, আরাম পেল। এদিকে আরাম পেল আপনার হাত দু’খানিও। কেনার আগে দেখে নিন কেরিয়ারের স্ট্র্য়াপগুলি ভালো মতো কাজ করছে কি না। এমন বেবি কেরিয়ারই বেছে নিন, যেটা সহজে পরিষ্কার করা যায় বা ধোওয়া যায়।
  • কোলে নেওয়ার ঝক্কি এড়াতে আরও এক বদলি উপায় আছে (List of Essential & Must-Have Baby Items), তা হল স্ট্রলার (Stroller)। এতে আপনার সোনা মায়ের গন্ধ পাবে না ঠিকই, কিন্তু আরাম পাবে মায়ের কোলের মতোই। বাচ্চাকে নিয়েই হয়তো বাজারে গেলেন আপনি, হাতে থাকল না ঝোলা; কিংবা হয়তো কোথাও গিয়ে চড়তে হল অনেকগুলো সিঁড়ি; অথবা ছানাকে সাথে নিয়েই মর্নিং ওয়াক সারতে মন গেল আপনার- এসব চাহিদা মেটাতে পছন্দসই একটা স্ট্রলার থাকা খুবই জরুরি।
  • যদি গাড়ি থাকে বাড়িতে, তবে যাতায়াতে সোনাকে স্বস্তি দিতে লাগবে বাচ্চা-স্পেশাল একটা গাড়ির সিটও (Car seat)।
  • বাচ্চার স্বস্তির প্রশ্নে এই তালিকাটা দিলাম ঠিকই, কিন্তু এটা কখনওই আপনার মাসের হিসেবে ঢুকবে না। একবাট্টি কিনে নিলে চলবে সোনার শৈশব-ভর।

 

#4. ঘুমের দেশে, নিশ্চিন্তে-নির্বিঘ্নে

ছানার ঘুম (Sleeping) যদি হয় নির্বিঘ্ন, মায়ের ঘুমও হবে নিশ্চিন্ত-নির্বিঘ্ন। ঘুম-স্পেশাল কেনাকাটিও তাই সেরে নিন এই বেলা।

  • ছোট্ট তো, তাই সোনার শোওয়ার খাটটাও হবে ছোট্ট, উঁচু দেওয়াল ঘেরা। ঠিকই ধরেছেন বেবি কট (Baby Cot)-এর কথাই বলছি আমরা। শুধু শিশুর স্বস্তির জন্য নয়, বেবি কট প্রয়োজন ওর সুরক্ষার জন্য। তিনদিক খোলা খাটে শোওয়ালে, যে কোনও সময় বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়। খাটের পাশেই রাখুন বেবি কট আর তাতে নরম তুলতুলে গদি।
  • এর সাথেই লাগবে খুদে-স্পেশাল সুতির, নরম চাদর। হাত বলতে অন্তত ৩-৫টা চাদর তো রাখতেই হবে আপনাকে। সেই সাথে কয়েক জোড়া ম্যাটরেস প্যাড। গোদা বাংলায় যাকে তোষক বলি আমরা। বেডিং সেটের সাথেই আসবে বালিশ, পাশবালিশ, কাঁথা, নরম কম্বল (Must Have Baby Items)। তবে এগুলো সব একসাথে বেবি কটে রেখে দেবেন না। বাচ্চার প্রয়োজন বুঝে দেবেন। বাড়তি বালিশ-কম্বলে আচমকা দমবন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • মুখে-নাকে কম্বলের চাপায় এমন দুর্ঘটনা এড়াতেই ইদানীং পাওয়া যাচ্ছে ওয়্যারেবল ব্ল্যাঙ্কেট বা গায়ে পরার কম্বল (Wearable Blankets)। চিন্তামুক্ত থাকতে, সেই সাথে বাচ্চাকে আরাম দিতে এই ধরনের গায়ে পরার কম্বল ২-৩টে কিনতে পারেন আপনি। মরসুম বুঝে বাচ্চাকে পরিয়ে দিলেই হল!
  • একই ভাবে কিনে রাখুন ৫-৬টি সোয়াডলিং ব্ল্যাঙ্কেট বা জড়িয়ে রাখার কম্বলও (Swaddling Blankets)। পুঁচকে বাচ্চারা এমনিই গুটিমুটি হয়ে কোলে থাকতে ভালোবাসে। এই ধরনের কম্বল ওকে সেই আরাম দেবে, সেই সাথে স্তন্যপান করানোর সময় আবরণ পাবেন আপনিও!

 

আরও পড়ুননেল কাটার থেকে থার্মোমিটার; একরত্তিকে ঘরে আনার আগে কেনাকাটির চেকলিস্ট!

 

#5. দুধও খাব আরামে, জিরিয়ে

৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চা তো শুধু মায়ের বুকের দুধটুকুই খাবে সোনামণি। সেই খাওয়াটাও যদি স্বস্তির না হয়, কেমন লাগে বলুন তো? আমরা তো তরিবৎ করে, পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে মন ভরে, তৃপ্তি করে খাই। ছোট্ট শিশুর কিন্তু অত কিছুর দরকার পড়ে না, আরাম করে খাওয়াতেই তৃপ্তি পায় ও।

  • নতুন মায়েরা, তাই বলি নার্সিং বা ফিডিং পিলো (দুধ খাওয়ানোর বালিশ) একটা কিনে নিন আপনি (Top Baby Items for New Moms)। বুকের দুধই খাওয়ান বা বোতল (Breastfeeding and Bottle-Feeding) থেকে, এই ফিডিং পিলোই (Nursing or Feeding Pillow) দারুণ স্বস্তি দিতে পারে আপনার বাচ্চাকে। আর ঠায় বসে দুধ খাওয়ানোর জেরে ঘাড়ে-পিঠে ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে পারেন আপনি।
  • সাথে লাগবে ঢেকুর তোলানোর নরম-হালকা কিছু কাপড় বা বার্প ক্লোথ (Burp Cloths)। আপাতত ডজন খানেক কিনলেই চলে যাবে। আর কিনুন ৮-১০টি ওয়াটার প্রুফ বিব (খাওয়ানোর সময় গলায় ঝোলানোর কাপড়)। আপনার বাচ্চাটি হয়তো এখনও সলিড খেতে শুরুই করেনি, তা-ও বলব বিব কেনা অত্যন্ত জরুরি। এতে খাওয়ার সময় বাচ্চার জামা হয় না নোংরা, বারবার বদলের প্রয়োজন পড়ে না। অনেক স্বস্তিতে, মন ভরে দুধ খেতে পারে সোনা।
  • সলিড খেতে শুরু করলে কেনার তালিকায় জুড়ে নিন একখান হাইচেয়ার (Highchair)। এতদিনে সার্পোট নিয়ে বসতে শিখেছে আপনার বাচ্চাটি। খাটের ওপর হোক এমনিই বসানো হোক কিংবা ডাইনিং টেবিলের চেয়ারের ওপর শক্ত করে বেঁধে দেওয়া- হাইচেয়ারে আরাম করে বসে বসে গপগপিয়ে খাবে ছোট্ট সোনা।

 

#6. খাওয়ার পরে দরকারে প্যাসিফায়ার

প্যাসিফায়ার (Baby Soothers) হলো মায়েদের স্তনবৃন্তের আকারেই তৈরি এমন এক জিনিস যা শিশুদের আরাম দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। অনেকে একে চুষিকাঠিও বলে থাকেন। এই প্যাসিফায়ার এমন আকারেরই হয় যাতে শিশু কখনই সেটা পুরোটা মুখে ঢুকিয়ে নিতে না পারে। এইগুলো সুদারস (Soothers) নামেও পরিচিত।
কিন্তু বাবা-মায়েদের মধ্যে সবসময় একটা উদ্বেগ কাজ করে, যে বাচ্চাদের জন্য প্যাসিফায়ার ব্যবহার করা উচিত, না উচিত নয়!
তাই বলে রাখি, যেখানে কিছু বাচ্চা আদর করলে, দোল খাওয়ানো হলে বা স্তন্যপানের সময়ই বেশ আরাম পায়, অনেক বাচ্চা সেই আরাম নিতে পারে না। যদি আপনার ছোট্ট সোনাটি খাওয়ানোর পর পরই ঢেকুর তোলে, দোল খাওয়ানো বা আদর করার পরও ছটফট করতে থাকে, প্যাসিফায়ারই এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে আপনাকে। মোটের ওপর ৩-৫টি চুষিকাঠি বা প্যাসিফায়ার কিনে রাখলেই আপাতত চলে যাবে আপনার (Best Baby Products for Newborns)।

 

#7. পুঁচকে-স্পেশাল স্নানের টাব

ছোট্ট শিশুকে স্নান (Bathing) করানোর সময় হাত-কোল থেকে পিছলে যাওয়ার বড্ড প্রবণতা থাকে খুব, সে আপনি যতই সতর্ক থাকুন না কেন। বিপদ এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় শিশুর স্নানের জন্য রঙিন একটা টাব কিনে নেওয়া। এতে স্নানের সময়টা আপনার ও আপনার ছানা, দু’জনের কাছেই হবে আনন্দ আর স্ফূর্তির (Baby Bath Time Safety Tips)। টাব কেনার আগে মিলিয়ে নিন কিছু টিপস>

  • ভিতরে-বাইরে দুদিক থেকেই যেন নন-স্কিড হয় শিশুর স্নানের টাব। পিছল হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে এই দিকটা খেয়াল রাখা।
  • গোলাকার হলেই সবচেয়ে ভালো। জল ঢালার পরিমাপ বুঝতে ধারে দাগ কাটা থাকলে তো কথাই নেই।
  • টাবটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটাও যেন সহজ হয়। জল নিকাশের বন্দোবস্ত যেন ভালো হয়।
  • টাবটি একটু বড় দেখেই কিনতে হবে। অন্তত শিশুর ৪-৫ মাস অবধি যেন সেটি ব্যবহার করা যায়।
  • স্নানের সময় পুঁচকের মাথা, কাঁধ যেন একটা সাপোর্ট পায়, কেনার আগে সেদিকটাও যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
  • সেই সাথেই দেখে নিন, টাবটি নিয়ে সহজে বহন করা যায়।

 

#8. টুকটাক অসুখে অনেকটা স্বস্তি

শিশুর আরাম, স্বস্তির প্রশ্নেই যখন এত আলোচনা, তখন ওর শরীর খারাপে (Health) আরামের কথাটা ভুলে যাই কী করে! তাই এমনই কিছু জিনিসপত্তরের কথা দিয়ে শেষ করব, অসুখ-বিসুখেও যা খানিক আরাম দেবে আপনার সোনাকে।

  • প্রথমেই আসি নেজাল অ্যাসপিরেটর (Nasol Aspirator)-এর কথায়। এটা আর কিছুই নয়, নাক পরিষ্কার করার কায়দা মাত্র। সর্দি-কাশি হলে নিজেই নাক ঝেড়ে, নাক মুছে স্বস্তি পাওয়ার জো নেই ছোট্ট ছোট্ট ছানাগুলোর। তা-ই সাহায্য প্রয়োজন আপনার। বন্ধ নাকের সমস্যা থেকে শিশুকে স্বস্তি দিতে ভালো মানের একটা নেজাল অ্যাসপিরেটরই এ ক্ষেত্রে বন্ধু হতে পারে আপনার (Baby Care Tips)।
  • আরও একটা দরকারি জিনিস হল হিটিং প্যাড (Heating Pad)। কম-বেশি কলিক পেইনের সমস্যা প্রায় সব বাচ্চারই হয় (Colic in Babies)। সে ক্ষেত্রে ঘরে আপনি মজুত রাখতেই পারো ভালো দেখে একটা হিটিং প্যাড। কেনার আগে একটু খেয়াল করে কিনুন। অনেক হিটিং প্যাড আছে, যেগুলো চট করে খুব গরম হয়ে যায়। শিশুর শরীরের খাতিরে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • এর সাথেই ব্যান্ডেজ, গজ প্যাড (Baby Care Products to Buy) এসব মজুত রাখার পরামর্শ দেব আমরা। নানা আকারের, নানা সাইজের বেশ ক’টি কিনে রাখুন। বলা তো যায় না, কখন কী বিপদ হয়!
  • ওহো, ভুলেই গেছিলাম আরেকটা জিনিসের কথা (List of Baby Products)। যেটা না কিনলে সত্যিই নয়! চোকলা বা কিছু ঢুকলে আলতো করে শিশুর শরীর থেকে সেটা বের করে নিতে একটা টুইজারের দরকার পড়তেই পারে আপনার। সব সেরে বাড়ি ফেরার আগে ঝোলায় ঢুকিয়ে নিন এটাও! (Baby Comfort Products to Have)

 

আরও পড়ুন: ক’দিন পরেই ডেলিভারি? প্রস্তুতি নিন আজ থেকেই, মিলিয়ে নিন কেনাকাটির চেকলিস্ট!

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

null

null