উঁহু, আপনি গর্ভবতী নন! শরীরের খামখেয়ালিপনায় মাসিকে দেরি হতেই পারে। জেনে নিন বিশদে!

উঁহু, আপনি গর্ভবতী নন! শরীরের খামখেয়ালিপনায় মাসিকে দেরি হতেই পারে। জেনে নিন বিশদে!

আমাদের, অর্থাৎ মেয়েদের শরীরে অনেককিছুই নিয়ম মেনে হয় জানি, কিন্তু এটা তো আর কাঁটায় ভর দিয়ে চলা ‘ঘড়ি’ নয়। তাই, শরীর বিশেষে নিয়ম বা সময় দুটোই যেন আপেক্ষিক। আর সবার আগে শরীরের এই খামখেয়ালীপনার প্রভাব পড়ে আমাদের পিরিয়ডস বা মাসিকের ওপর। (How Late Can a Period be? Reasons & Treatment)

কারও যদি মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয় তো কারও সেটা হয় ৩২ দিনের। আবার কারও পিরিয়ডস ৩ দিন থাকে, কারও থাকে ৭ দিন। শরীরের ভিতরে কোনও অসুবিধা দেখা দিলে তো বটেই, অত্যধিক শরীরচর্চার মতো বাহ্যিক কাজকর্মও মহানন্দে প্রভাব ফেলে আমাদের পিরিয়ডসের সময় ও স্থিতিকালের ওপর।

আমাদের মধ্যে একটা সাধারণ প্রবণতা আছে (বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে বেশি); কোনও মাসে পিরিয়ডস যদি কয়েকদিন পিছিয়ে যায়, তা হলেই আমরা দোকানে ছুটি প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে (How Late Can a Period Be Without Being Pregnant?)। শুনতে খারাপ লাগতে পারে কিন্তু অনেক সময়ই আশাহত হতে হয় আমাদের এজন্যই। (Masik Na Hola Ki Korbo)

শুধু প্রেগন্যান্সিই যে পিরিয়ডসের ওপর প্রভাব ফেলে, এমনটা একেবারেই নয়। (Bangla Health Tips) বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত; মহিলা বা মেয়েদের শরীরের অন্দরে ঘটা ক্রিয়াকলাপ বা কোনও ওষুধের প্রভাব বা শারীরবৃত্তীয় কাজে অসাম্যের সৃষ্টি হলেও পিরিয়ডস প্রভাবিত হয়।

পিরিয়ড মিস হলে বা অনেক দিন পিছিয়ে গেলেই যে কনসিভ করেছেন, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। হতে পারে আপনি কনসিভ করেছেন, হতে পারে আপনার শরীর অন্যকিছুর সিগন্যাল দিচ্ছে ‘লেট পিরিয়ড’ –এর মাধ্যমে। মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড নির্দিষ্ট সময় থেকে কতটা পিছিয়ে যেতে পারে বা তার কারণ কী, কতটা প্রভাবশালী শরীরের এই অস্বাভাবিক আচরণ? (Why Is My Period Late?) এই নিয়েই আমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণের ফলাফল আজকের এই প্রতিবেদন। নিজের শরীর নিয়ে সতর্ক থাকতে পড়ে ফেলুন এখনই।

 

 

সুস্থ স্বাভাবিক মাসিক চক্র কী এবং কত দিনের হয়?
(Period Cycle: Everything to know about)

 

  • পিরিয়ডস কেন হয়? -> প্রত্যেক মাসে, ওভ্যুলেশনের আগে থেকে শরীর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে অনাগত ভ্রূণের সুবিধার কথা ভেবে। শরীরের হরমোনের দল জরায়ুর দেওয়াল বা লাইনিং মোটা করতে শুরু করে। যদি ওভাম নিষিক্ত হয় এবং ভ্রূণ তৈরি হয়, সে এই জরায়ুর দেওয়ালেই স্থাপিত হয় যদি কোনও নিষেক সম্পন্ন না হয়, তা হলে, মোটামুটি ১৪-১৫ দিনের পরে এই জরায়ুর লাইনিং ছিঁড়ে রক্তের সাথে বাইরে বেরিয়ে আসে। (Sastho Tips) এইটাকেই মেয়েদের পিরিয়ডস বা মাসিক বলা হয়।

 

  • মাসিক চক্র কতদিনের হয়?-> একটি আদর্শ মাসিক চক্র বা দুটি পিরিয়ডসের মধ্যবর্তী ব্যবধান হওয়া উচিত ২৮ দিনের। বলাই বাহুল্য, হাতে গোনা কয়েকজন ভাগ্যবতী মহিলারই এই সময় বা গ্যাপ নির্দিষ্ট থাকে। (Masik Keno Hoy) এমনকি, পরপর দুটো মাসিক চক্রের সময়ের ব্যবধানও সমান হয় না প্রায়ক্ষেত্রেই। সাধারণভাবে বলা যায়, একটি সুস্থ স্বাভাবিক নিয়মিত মাসিক চক্র ২১ থেকে ৩৫ দিনের হয়ে থাকে। মাস এবং শরীর বিশেষে কিন্তু এই সময়েরও এদিক ওদিক হতে পারে।

 

 

পিরিয়ডস বা মাসিক পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলি কী কী?
(Reasons for delayed period/menstrual cycle)

 

  • পিরিয়ডস পিছিয়ে যাওয়া বা ‘লেট পিরিয়ড’ কী? কনসিভ না করলেও কারও কারও ক্ষেত্রে এই পিরিয়ডস হওয়ার সময় কোনও মাসে পিছিয়ে যেতে পারে। আর সেটা হওয়া ভয়ানক অস্বাভাবিক কিছু নয়। (Can You Miss a Period and Not Be Pregnant?) তবে মেয়েদের শরীর বড়ই জটিল কি না, তাই শরীরের কোনও অস্বাভাবিক সিগন্যালই উপেক্ষা করা ঠিক নয়।কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকুক বা না থাকুক, পিরিয়ডসের গোলমাল হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
    পিরিয়ডস বা মাসিক যেদিনে হওয়ার কথা ছিল, তার থেকে যদি ৭ দিনের মধ্যেও না হয়, তা হলে আমরা ধরে নিতে পারি পিরিয়ড পিছিয়ে গিয়েছে।

 

  • কখন ডাক্তার দেখাবেন? আপনি যদি প্ল্যানিং-এর পর্যায়ে আছেন, তা হলে প্রেগন্যান্সি কিট এনে পরীক্ষা করে ফেলুন। যদি ফলাফল ইতিবাচক হয়, তা হলে সবার আগে ছুটুন ডাক্তারের কাছে। এ আর নতুন কথা কি! কিন্তু কিটে ফলাফল অন্যরকম অথচ আপনার মর্নিং সিকনেসের মতো অনুভুতি হচ্ছে, এক্ষেত্রেও ডাক্তার দেখানো আবশ্যক। (Irregular Menstruation)

আপনি যদি অবিবাহিত হন, এবং আপনার ক্ষেত্রে এই লেট পিরিয়ডের ঘটনা ঘটে, তা হলে সত্বর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সাতদিন পেরিয়ে গেলেই। শরীরের ভিতর কী অসুবিধা হচ্ছে বা কোনও ওষুধের প্রভাব কি না, নিশ্চিত করে বলতে পারবেন ডাক্তারই।

 

 

প্রেগন্যান্সি ছাড়া পিরিয়ডস পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য প্রধান কারণগুলি কী কী? (How Late Can a Period Be Without Being Pregnant?)

 

#1. ওষুধের প্রভাব: গর্ভনিরোধক ওষুধের প্রভাবে অনেকসময় পিরিয়ড পিছিয়ে যেতে পারে। আবার হয়তো আপনি এমন কোনও ওষুধ খাওয়া শুরু করলেন, যা আপনার শরীরে প্রোল্যাকটিনের মাত্রার হেরফের ঘটিয়ে দিল। সেক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে পিরিয়ডের ওপর। (How Late Can a Period Be Before You Should Worry?)

 

#2. মানসিক উদ্বেগ: কমবেশি উদ্বেগে আমরা সকলেই ভুগি। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত টেনশন করা বা স্ট্রেস নেওয়া শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। অতিরিক্ত স্ট্রেস বা উদ্বেগের প্রভাবে শরীরে কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। শরীরের ভিতরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় ও পিরিয়ড না হওয়া বা অ্যামেনরিয়া (Amenorrhea) দেখা দিতে পারে।

 

#3. থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিকতা: শারীরিক কাজকর্ম ঠিক রাখতে যেসব হরমোন প্রয়োজন, তারা নিয়ন্ত্রিত হয় থাইরয়েড গ্রন্থির মাধ্যমে। তাই, থাইরয়েড গ্রন্থি যদি ঠিকভাবে কাজ না করে, সেক্ষেত্রে পিরিয়ড পিছিয়ে যেতে পারে বা পিরিয়ডের চক্র এদিক ওদিক হয়ে যেতে পারে।

 

#4. অতিরিক্ত পরিশ্রম বা শরীরচর্চা: কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়, আর এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং শরীরচর্চার ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এই হরমোনই মহিলাদের জননতন্ত্রের কাজকর্মের দেখভাল করে। শরীরে এই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে প্রভাব পড়ে পিরিয়ডসেও। যে অ্যাথলিটদের প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, তাদের অনেক সময় ৪/৫ মাস পিরিয়ডসই হয় না।

 

#5.পলিসিস্টিক ওভারি: পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (Polycystic ovary syndrome) –এর কারণে শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে এবং ওভারিতে ছোট ছোট সিস্ট থাকার কারণে ওভারির এগ রিলিজে বা ওভ্যুলেশনে সমস্যা হয়।এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়। (Late Period? Here are Some Reasons Why) আবার শরীরে এন্ডোমেট্রিয়াম যখন জরায়ুর ভিতরে ছাড়াও জরায়ুর বাইরে, ওভারি, ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং মলাশয়ের দেওয়ালেও আবরণ তৈরি করে, তখন তাকে এন্ডোমেট্রিওসিস বলা হয়। এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত মহিলাদের পিরিয়ডসের সময় ও স্থিতিকাল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বিগড়ে যায়।

 

#6.ব্রেস্ট ফিডিং করালে: যেসব মায়েরা ব্রেস্ট ফিডিং করান , তাদের ক্ষেত্রেও অনেকসময় পিরিয়ড মিস হয়ে যায়। একে ডাক্তারি ভাষায় ল্যাকটেশন অ্যামেনরিয়া (Lactational Amenorrhea) বলে। কয়েক মাস পরেই সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

 

#7.ওজনে তারতম্য: ওজন কম হোক বা বেশি, স্বাভাবিকের থেকে খুব বেশি তারতম্য হলেই কিন্তু সমস্যা। আমাদের হরমোন বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা প্রচুর। (Masik Problem) কোনও কারণে হঠাৎ রোগা বা মোটা হয়ে গেলে তা আমাদের হাইপোথ্যালামাসকে প্রভাবিত করে। এই হাইপোথ্যালামাসই স্ত্রী হরমোন ইস্ট্রোজেন নিঃসরণে সহয়তা করে।পরোক্ষ প্রভাব পরে পিরিয়ডের ওপর।

 

#8. মেনোপজের আগে: মেনোপজের ঠিক আগের পর্যায়ে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। পিরিয়ডসও অনিয়মিত হয়ে যায়। (Menstrual Period- Missed or Late) কোনও এক মাস হয়, ২-৩ মাস বন্ধ থেকে আবার হয়। কখনও অনেক মাস হয় না আবার হলে কোনও সময়ও মানে না।

 

আরও পড়ুন: যন্ত্রণাদায়ক মাসিকের কারণ ও ঘরোয়া টোটকায় প্রতিকার

 

 

ঘরোয়া ভাবে অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ডের প্রতিকার
(Irregular Periods: Home Remedies to Regulate Your Cycle)

 

#1. পার্সলে পাতা: স্যালাডে হয়তো রোজই খাচ্ছেন, কিন্তু জানেন কি, এই পার্সলেতেই রয়েছে অ্যাপিওল এবং মাইরিসটিসিন যা আপনার মাসিক চক্রকে (Period Cycle) স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

 

#2. জিরে: পার্সলে এবং জিরের প্রায় একই ধরনের উপকারিতা। আপনার পিরিয়ড সাইকেল ঠিকঠাক রাখতে, নিয়ম মেনে মাসিক শুরু হওয়া নিশ্চিত করতে রোজের রান্নাবান্নায় তাই অবশ্য থাকুক জিরে। (Period Problems)

 

#3. জোয়ান: শুধু যে মাসিক-চক্রই ঠিকঠাক রাখবে তাই নয়, জোয়ান আপনাকে মুক্তি দেবে ওই সময় হওয়া পেটে ব্যথা থেকেও। রোজ সকালে এক গেলাস জলে এক চা-চামচ জোয়ান ফুটিয়ে, অল্প গুড় দিয়ে খেতে থাকুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

 

#4. পেঁপে: কোনও কারণে যদি নির্দিষ্ট তারিখের আগেই আপনি পিরিয়ড হওয়াতে চান, ওষুধ বাদ দিলে পেঁপেই তখন একমাত্র সমাধান। তা বাদে আপনার রোজের খাবারে যদি পেঁপে থাকে, সুস্থ-স্বাভাবিক মাসিক চক্রে কোনও অসুবিধাই হয় না তখন। (Irregular Period Treatment)

 

#5. আদা: আদায় আছে রয়েছে এমেইনাগোগ নামক একটি উপাদান। যা রজঃস্রাব হওয়ার ক্ষেত্রে জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে। ফলে অনিয়মিত মাসিকের মতো সমস্যায় ভোগার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

 

#6. ধনেগুঁড়ো: এরই ভেতর যাঁরা দেরিতে পিরিয়ড হওয়ার সমস্যায় জর্জরিত, তাঁদের বলছি, সাহায্য নিন ধনেগুঁড়োর! আদার মতোই ধনেগুঁড়োতও আপনি পেয়ে যাবেন এমেইনাগোগ। পিরিয়ড নিয়মিত রাখতে এই উপাদানের ভূমিকা অপরিসীম। দু’কাপ জলে এক চা-চামচ ধনেগুঁড়ো ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে এক কাপ হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। পিরিয়ডের সময় এগিয়ে এলে, দিনে ৩বার করে এই জলটা খান। (Home Remedies to Treat Irregular Period)

 

#7. মৌরি: অনিয়মিত মাসিকের হাত থেকে রেহাই দিতে পারে মৌরিও। জলে ফুটিয়ে মৌরির চা বানিয়ে নিন। রাতভর ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন। এক গেলাস জলে ২ চা-চামচ মৌরি দিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে ছেঁকে ওই জলটা খান।

 

# 8. অ্যালোভেরার শরবত: পেটের যে কোনও সমস্যার উপশমেই অ্যালোভেরা বেশ কার্যকরী। একই ভাবে অনিয়মিত পিরিয়ডের ঘরোয়া চিকিৎসায় এর ব্যবহার হতে পারে। ১ টেবিল-চামচ মধুর সাথে অ্যালোভেরার রস মিলিয়ে জলখাবারের আগে খেয়ে ফেলুন। এক মাস টানা খেলে উপকার পাবেন হাতেনাতে। (Menstrual Period- Missed or Late)

 

 

অনিয়মিত মাসিকের চিকিৎসায় আরও প্রয়োজনীয় তথ্য
(Some More to Remember about Treatments for Menstrual Irregularities?)

  • সুস্থ ও নিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক মহিলাদের শরীরের সুস্থতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর নিজের শরীর সবথেকে ভালো বুঝবেন আপনি। কাজেই, বারবার যদি পিরিয়ড অনিয়মিত হতে থাকে তা হলে তার কারণ জানতে ডাক্তারের কাছে যান।

 

  • শরীরের কোনও সমস্যার জন্য পিরিয়ড অনিয়মিত হচ্ছে বা দেরিতে হচ্ছে, তা ডাক্তারই নিশ্চিত করে বলতে পারবেন। নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য সমাধান অর্থাৎ ওষুধও নির্দিষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেলে পিরিয়ডস আবার নিয়মিত হয়ে যাবে। (Irregular periods treatment)

 

 

  • সঠিক ডায়েট ও সুস্থ জীবনযাত্রা অনেক রোগকেই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। সেইরকমই পিরিয়ড নিয়মিত করতেও এগুলি প্রয়োজন।

 

  • ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিয়মিত ভিটামিন ট্যাবলেট খান। নিজে নিজে কোনও ওষুধ খাবেন না।

 

  • প্রত্যেকদিন খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান জলে মিশিয়ে। এতে পিরিয়ডস নিয়মিত হয়।

 

  • থাইরয়েড, পলিসিস্ট বা ডায়াবেটিসের কারণে পিরিয়ডস প্রভাবিত হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় সঠিক কারণ জানুন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করান।

 

  • উদ্বেগমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন, ভালো থাকুন। (How Late Can a Period be? Reasons & Treatment)

 

আরও পড়ুন: মাসিকের ওই দিনগুলোয় নারীর মন ভালো-খারাপ হওয়ার পিছনে থাকতে পারে হরমোনের ভূমিকাও

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

null

null