স্কুলে গিয়েই ঘুমিয়ে পড়ছে আপনার বাচ্চা? শিক্ষক-শিক্ষিকার অভিযোগের ভিড়ে আপনি ক্লান্ত? ভাবছেন বাচ্চা বড়ই বেগতিক বেয়াদপ, পড়াশোনায় মনই নেই ওর? ভুলটা তো এখানেই করি আমরা মায়েরা। বাচ্চার মনের হদিস খুঁজি না, তার আগেই দোষের ভাগীদার বানিয়ে ফেলি কচি কচি মনগুলোকে। এই যে ও স্কুলে গিয়ে ঢুলছে, এর পিছনে আপনার গাফিলতিটা ঠিক কোথায় বোঝার চেষ্টা করেছেন কখনও? সর্বপ্রথম এটাই বলব, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই দিনভর এমন ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত থাকে বাচ্চার দল। আরও কিছু কারণ আছে, যেগুলোর দিকে এখনই নজর না দিলেই নয়। জেনে নিন, অসময়ে বাচ্চার ঘুমের কারণগুলো ঠিক কী কী!
#1. পর্যাপ্ত বিশ্রাম আর পুষ্টির ঘাটতি (Inadequate Rest or Nutrition)
সঠিক পুষ্টি আর প্রয়োজনমতো বিশ্রাম না পেলে স্কুলে গিয়ে আপনার বাচ্চা মনোযোগ দেবে কী করে! পর্যাপ্ত পুষ্টি-ঘুমের অভাবে যে ওর শরীর-মন জুড়ে থাকে শুধুই ক্লান্তি। আজ থেকেই তাই ওর ডায়েট বদলান, নজর দিন ঘুমের দিকে!
#2. নিষ্ক্রিয়, নিরুত্তাপ মনোভাব (Low Levels of Mental Stimulation)
খেলা-পড়াশোনা, গান-বাগান; কোনও কিছুতেই আগ্রহী নয় আপনার বাচ্চা? এবার তবে ভাবার সময় হয়েছে বই কি। এই নিষ্ক্রিয়, নিরুত্তাপ মনোভাব থেকেই স্কুলে গিয়েও ঘুমিয়ে পড়ছে ও। বাচ্চার মনের হদিস পেতে ওর সাথে কথা বলুন আজই!
#3. সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ (Lack of Choice or Control Over Daily Activities)
যতই ছোট হোক, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে দেওয়া উচিত বাচ্চাদের। সবেতেই আপনার হস্তক্ষেপে গুঁড়িয়ে যেতে পারে ওর আত্মবিশ্বাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা! আর তা থেকেই জন্ম নেয় একঘেয়েমি, শরীর-মনের ক্লান্তি।
#4. বিনোদনমূল কাজে অনীহা (Lack of Diversified Recreational Interests)
ছোট্ট থেকেই নানা বিনোদনমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে ফেলুন আপনার বাচ্চাকে। সে ব্লক সাজিয়ে ঘর বানানো হোক বা বেলুন নিয়ে মজার লড়াই। এর থেকেই নতুন কোনও কাজে আগ্রহ পাবে কচি-মন। স্কুল, স্কুলের পড়াও আর বিরক্তির ঠেকবে না!
#5. দুর্বল সময়জ্ঞান (Poor Perception of Time)
বাচ্চা মোটমুটি বোঝদার হলেই ওর জীবন রুটিনে বেঁধে দেওয়া উচিত। রুটিনটা ওর মনে গেঁথে গেলে খাওয়া, ঘুম, পড়া, খেলার সময়ের সাথে সয়ে যায় শরীরও। এমনটা না হলে স্কুলের ওই একটানা ক্লাসের মাঝে ওর ঘুমিয়ে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়!