সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

মা হতে চলেছেন? সামনে প্রচুর দায়িত্ব, লড়াই আর অনেকটা ভালোলাগা অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য। মানসিক প্রস্তুতি তো নিতে শুরু করেছেন, শারীরিক দিক থেকেও আপনি প্রস্তুত তো? হ্যাঁ, একজন হবু মা কে শারীরিক এবং মানসিক দুই দিকেই প্রস্তুত হতে হয় নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য, যে অতিথিটি আসতে চলেছে তাকে মানুষ করার জন্য এবং সেই পুঁচকে অতিথির সুস্বাস্থ্যেরও জন্যও বটে! একজন হবু মায়ের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস যে মা ও গর্ভস্থ সন্তান, দুইয়ের জন্যই কতটা জরুরি,তা কারও অজানা নয়। এসময় মায়ের শরীর থেকেই শিশু পুষ্টি পায় ও ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। তাই গর্ভস্থ শিশুটিকে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতেও হবু মাকে বিশেষ নজর দিতে হয় খাদ্যচর্চায়।
আজ তাই আপনার ও আপনার গর্ভস্থ সন্তানের খাতিরে আরও এক সতর্কতামূলক পোস্ট থাকল। হবু মায়েরা শুধু নয়, পড়ে নিন নতুন মা-বাবা, একটু পুরনো মা-বাবা সকলেই। রোজের খাবারে যে ফল-সবজির জুস না রাখাই শ্রেয়, তারই একটা চেকলিস্ট ছকে দিলাম আমরা।

সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

#1. আনারস (Pineapple)
খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরা আনারস। তবে ভিটামিন-মিনারেলে ভরা আনারস খান কেটে, রস করে নয়! কেন না রস করলে এর পুষ্টি উপাদান থাকে না বললেই চলে। পড়ে থাকে কেবল এত্ত এত্ত শর্করা!

সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

#2. নাশপাতি (Pears)
ফ্রুকটোস জাতীয় খাবারে এলার্জি আছে যাঁদের, তাঁদের জন্য় এই সতর্কতা। নাশপাতিতে আছে সরবিটল (এক প্রকার কৃত্রিম মিষ্টিকারক), যা আপনার পেটে গেলে গ্যাস, ঘনঘন পায়খানা, পেটে ব্যথার মতো সমস্য়া হতে পারে।

সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

#3. ব্রকলি (broccoli)
ডিটক্স-জুসের উপাদান হিসেবে ব্রকলি অনেকেরই প্রথম পছন্দ। কিন্তু জানেন কি, নানা পুষ্টি-উপাদানে ভরা হলেও এ-সবজি হজমে বড়ই কঠিন। পেট ফাঁপা, পেট মোচড়ানোর মতো সমস্যা হতে পারে ব্রকলির জুস বানিয়ে খেলে।

সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

#4. আপেল (Apple)
শুনে চমকে গেলেন বুঝি? না, আপেল খেতে বারণ করছি না আমরা। খালি বলছি, জুস বানানোর আগে ফেলে দিন বীজগুলো। কেন না থেকে গেলে আপনার পাচন-পক্রিয়ায় মধ্যে পড়ে এই বীজই বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে!

সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ফল-সবজির জুস!

#5. পালং শাক (Spinach)
অল্প পরিমাণ ঠিক আছে, তবে পুষ্টিকর বলে পালং শাকের জুস নিয়মিত খাবেন না যেন! কেন না এতে থাকে বহুল পরিমাণ অক্সালেট। এই অক্সালেট অধিক পরিমাণে আপনার শরীরে গেলে তৈরি হয় কিডনি স্টোনের আশঙ্কা!