বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যটি নেচেখেলে বেড়াবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কোন মা সেটা চায় না বলুন তো? সন্তানের সুস্থতায় যেন তাঁরও সুস্থতা। বাচ্চাটির এদিক থেকে ওদিক হল তো ঘুম ছুটল মায়েরও। কিন্তু এই এদিক-ওদিক হতে দেবেন কেন? যদি আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়, তা হলে অনায়াসেই এড়ানো যায় এসব বিপত্তি। ঋতুবদলের সময়, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাচ্চা যেন কাবু না হয়ে পড়ে তার জন্যই ওকে দিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার-দাবার। আজ সেগুলি নিয়েই আলোচনা করলাম আমরা। (How To Strengthen Your Baby’s Immunity in bengali.)
#1. খাদ্য শস্য (Whole grains): খাদ্য শস্য থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেমন ভিটামিন এ, সি, ই, সেলেনিয়াম, জিংক পাওয়া যায়। ওটস, ভুট্টা, ব্রাউন রাইস, হোল হুইট ব্রেড- এসব তাই শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন।
#2. ফল (Fruits): আপনার বাচ্চাটি দিনে যাতে অন্তত একটি ফল খায়, তা নিশ্চিত করুন। স্ট্রবেরী, কমলালেবু, কিউই, পেয়ারা- এসব ফলে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। ভিটামিন-সি শ্বেত রক্তকণিকা ও অ্যান্টিবডির উৎপাদন বাড়িয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
#3. রঙিন সবজি (Colourful vegetables): হরেক রঙের সবজি থেকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম, সবুজ শাক-সবজি, ব্রোকলি- ইত্যাদি শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন। রং-বেরঙের বলে এর প্রতি শিশুর আগ্রহও থাকে বেশি।
#4. বাদাম ও দানা (Nuts and seeds): প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম থাকে। শিশুর খাদ্য তালিকায় তাই বাদাম ও দানা জাতীয় খাবার যেমন আমন্ড, কাঠবাদাম, কিশমিশ, তিল, কুমড়োর দানা, তরমুজের দানা ইত্যাদি রাখুন।
#5. প্রোবায়োটিক (Probiotic): শিশুর জন্য অসাধারণ রোগ-প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রোবায়োটিক হল এক ধরনের উপকারি ব্যাকটেরিয়া যা রেচন, হজম ও প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। শিশুকে তাই দই, বাটারমিল্ক, লস্যি এসব দিন।
#6. প্রোটিন (Protein): বাকি সব তো গেল, তবে প্রোটিনটা যেন মিস না হয়ে যায়। শিশুর খাবার তালিকায় রাখুন ডিম, চর্বিহীন মাংস, চারামাছ, সয়াবিন, দুধ ইত্যাদি। ছোট থেকেই সুনির্দিষ্ট খাবারের তালিকা মানলে রোগভোগ এড়ানো যায় অনেকটাই।উপরের এই খাবারগুলির পাশাপাশি শিশুর মধ্যে কিছু সু-অভ্যাসও গড়ে তুলুন। যেমন, খাবার খাওয়ার আগে, খেলে এসে, পোষ্যকে আদর করার পরে কিংবা ওয়াশরুম থেকে বেরনোর আগে হাত ধোওয়ার অভ্যাস। পরিষ্কার হাত সংক্রমণের প্রবণতা রোধ করে। এরই সঙ্গে জরুরি পর্যাপ্ত ঘুম। শিশুর ঘুমানোর সময়, ঘুম থেকে ওঠার সময় বেঁধে দিন। আর থাকুক আপনার ভালোবাসা! শিশু যত হাসিখুশি থাকবে, চনমনে থাকবে ততই ভিতর থেকে রোগ-প্রতিরোধে সক্ষম হবে ও।