কিছু সময় পরপরই শুধু ‘প্যাঁ’। মা যেই একটু আরাম করে পা ছড়িয়ে বসেছে, অমনি দস্যি ছানার ইচ্ছে হল, ‘অনেকক্ষণ চুপচাপ আছি, এবার একটু কেঁদে নেওয়া যাক ’। একরত্তি ছোট্ট শিশুরা এই কান্নার মাধ্যমেই বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগ করে। তার সব অনুভূতি, সব চাহিদা, ভালোবাসা, মন্দবাসার একটাই বাহ্যিক প্রকাশ; কান্না। তাই কচি শিশুর কান্না নিছক চ্যাঁ-প্যাঁ নয়, তার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক কথা। আর সেটা বুঝে নিতে হয় মা – বাবাকেই। যারা সদ্য মা-বাবা হয়েছেন, বাচ্চা সম্বন্ধে তাদের কোনও অভিজ্ঞতা স্বাভাবিক ভাবেই থাকে না। অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চার কান্নার মানে উদ্ধার করতে ব্যর্থ মা নিজেও কাঁদতে বসে পড়েছেন। আপনার ছোট্ট বাচ্চাটির কান্না বোঝা একেবারেই এতটা কঠিন কাজ নয়। প্রথম প্রথম অসুবিধে হবে; তারপর দেখবেন বাচ্চা কান্নার জন্য তৈরি হওয়ার আগেই, আপনি তৈরি কান্নার দাওয়াই নিয়ে।
#1. মায়ের গলার মিঠে আওয়াজ (Sing a Song)
বাচ্চা যখন কেঁদেই চলেছে, আদর করে ওর নাম ডেকে তখন নিজের উপস্থিতির জানান দিন আপনি। তা হলেই ও নিশ্চিত হবে যে আপনি তাকে ছেড়ে দূরে যাননি, সে একা নয়! ওকে শুনিয়ে গানও ধরতে পারেন।
#2. মায়ের হাতের নরম স্পর্শ (Rock in a Chair or Glider)
ডাকে, গানেও যদি কান্না না থামে আলতো করে চাপড় দিয়ে তখন বাচ্চাকে আশ্বস্ত করতে পারেন আপনি। কাজের ফাঁকেই ওকে কোলে নিয়ে রকিং চেয়ারে বসে খানিক দোল খেতে পারেন। বাচ্চার ঘুম আসতে বাধ্য!
#3. মায়ের হাতের আরাম-মালিশ (Give a Massage)
বাচ্চারা এমনি খুব সুখী হয়, মালিশ ওদের বেজায় পছন্দ। কান্না থামাতে তাই নরম সুরের কোনও গান গুনগুনিয়ে ওকে হালকা মালিশ করে দিতে পারেন। ছোট্ট সোনা মালিশ উপভোগ করছে কি না, বোঝা যাবে মুখ দেখলেই।
#4. মায়ের কোলে গুটিসুটি (Swaddle your Baby)
গান-মালিশেও যদি কাজ না হয় এবার তবে বাচ্চাকে জড়িয়ে নেওয়ার পালা। নরম কাপড় পেঁচিয়ে আপনার কোলে নিন ওকে। মায়ের নরম স্পর্শ, উষ্ণতায়, মায়ের গন্ধে নিশ্চিত বোধ করবে ও, থেমে যাবে কান্না।
#5. গল্প শোনার পালা এবার (Entertain)
এত কিছুতেও যদি কাজ না হয়, সাহায্য নিন তবে গল্পের। বাচ্চা বোঝদার হোক কি না হোক, একটু অভিনয় করে গপ্পো বললে ওর মনোযোগ আপনার দিকে আসতে বাধ্য। সেই সাথে পালাতে বাধ্য পাড়া-কাঁপানো কান্নাও!