শিশুর জন্য তার মায়ের দুধ অমৃতের মতো। পৃথিবীর আলো দেখার পর প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সবথেকে ভালো। বুকের দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শিশুর ঘ্রাণশক্তি বাড়ায় ও স্বাদ বিচারের ক্ষমতাও তৈরি করে। মায়ের খাদ্যাভ্যাসে রদবদলের সাথে সাথে বুকের দুধের স্বাদের পরিবর্তন ঘটে, তাই শিশু একটু একটু করে নানারকম স্বাদের সাথে পরিচিত হতে পারে। মায়ের সাথে শিশুর সম্পর্ক নিবিড় করে এই স্তন্যপান করানো। মায়ের দেহের সংস্পর্শে এসে, মায়ের আদর ও নিজের পুষ্টি দুইই গ্রহণ করে শিশু, আর নিজের পরম নির্ভরতার জায়গাটি খুঁজে পায়। সময়ের সাথে সাথে এই দুধই আবার শিশুর শরীরের স্বার্থে নিজের ধরন-ধারণও বদলে ফেলে। কীভাবে? দেখে নিন এখানে!(How Breastmilk changes according to your child’s needs in Bengali.6 Ways Breastmilk changes according to your child’s needs in Bangla.)
#1.শালদুধ(The first milk):
শিশুর জন্মের কিছুক্ষণ পরই মায়ের যে দুধ আসে তাই হল শালদুধ। এর পরিমাণ কম, কিন্তু শিশুর জন্য যথেষ্ট পুষ্টিকর ও নানা রোগ প্রতিরোধে আবশ্যক। শিশুর জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই শাল দুধ শেষ হয় এবং স্বাভাবিক দুধ আসতে থাকে।
#2.এনার্জি ভরা দুধ(Milk with more fat content):
জন্মের দু’সপ্তাহ পর থেকেই এই দুধ পায় শিশুরা। এ সময় মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে শিশুর খিদেও। এ-দুধেই থাকে বাড়তি পরিমাণ ফ্যাট আর ল্যাকটোজ। শিশুকে দিনভর চনমনে রাখার রহস্য লুকিয়ে থাকে এতেই!
#3.দুধই যখন ওষুধ(Body temperature):
শিশু যখন দুধ খায়, ওর মুখের লালা নিপল মারফৎ মায়ের শরীরে যায়। স্তনের গ্রন্থিই তখন জানান দিয়ে দেয়, আপনার শিশু সুস্থ না অসুস্থ। রোগ বুঝে মায়ের দুধ এরপর নিজের ধরন পাল্টে নেয়, আর সুস্থ করে তোলে কোলের শিশুকে!
#4.ঘুমের দুধ (Helps baby sleep better):
সকালে যেমন দুধ তৈরি হয় মায়ের বুকে, রাতের দুধের ধরন কিন্তু তার চেয়ে এক্কেবারে আলাদা! সন্ধের পর থেকে বুকে যে দুধ আসে তাতে ঘুম পাড়ানি উপাদানও থাকে। শিশুর চোখে ঘুম আনার জন্য যার জুরি মেলা ভার!
#5.পুষ্টিগুণে ভরা দুধ (Mature milk):
ফ্যাটে ভরা দুধ যখন শেষের দিকে, তখনই এ-দুধের আগমন শুরু। অন্তত ২০০ রকম পুষ্টিকর উপাদান থাকে এই দুধে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট, মিনারেল- কী নেই তাতে! এসব উপাদান শিশুর শরীর সহজে গ্রহণও করে নেয়।
#6.রং পাল্টানো দুধ(Changes in colour):
পুষ্টিগুণে ভরা দুধ সময় সময় রং-ও পাল্টায়। প্রথমে সাদাটে তো পরে হলদে! কখনও নীল, সবজে আবার গোলাপিও। দুধের রংই বাতলে দেয় যে এর উপাদানের পরিবর্তন হচ্ছে। তবে লালচে দুধ স্বাভাবিক নয়। নিপল ফেটে অমন হতে পারে!