সবাই বলে, গিন্নির হাতের রান্নার স্বাদটাই নাকি আলাদা। কবজি ডুবিয়ে সবাই খাচ্ছে, ফ্য়ালফ্য়াল করে কেবল চেয়ে আছে বাড়ির পুঁচকেটা। ছোট বলে কি কোনও সাধ থাকতে নেই ওর? নাই বা থাকুক দাঁত, মায়ের হাতের রান্না খেতে ওরও তো ইচ্ছে করে নাকি! কিন্তু এমন কী বানাবেন, যেটা ও খেতে পারবে, আর ওর জন্য়ে উপকারি? চিন্তার কিছু নেই, বাচ্চার স্বাদমতো ঘরেই বানিয়ে ফেলুন সেরিল্য়াক। মায়ের উষ্ণতাও পেল ও আবার পুষ্টিও গেল শরীরে।
অথবা বাজার থেকে কেনা সেরিল্য়াক হয়তো ফুরিয়ে গিয়েছে হঠাৎ। বাড়িতেই তৈরি সেরিল্য়াক খানিক মজুত করে রাখতে পারেন। এতে বাচ্চাকে খিদেয় কষ্ট পেতে হবে না, নিশ্চিন্ত থাকবেন আপনিও। কীভাবে বানাবেন, বলে দিচ্ছি আমরা।
বাড়িতেই সেরিল্য়াক বানাতে আপনার লাগবে দেড় কাপ মতো চাল, এক কাপ কালো বিউলির ডাল, এক কাপ গোটা মুগ (তরকার ডাল), শুকনো তাওয়ায় ভাজা এক কাপ ছোলা, এক কাপ মুগ ডাল, এক কাপ মুসুর ডাল, এক কাপ ডালিয়ার আটা, আধ কাপ মতো সাবুদানা, আধ কাপ মটর ডাল, আধ কাপ ভুট্টা দানা। উপকরণ শুনেই বুঝতে পারছেন, হোমমেড এই সেরিল্য়াকের পুষ্টিগুণ কত।
বানানোও খুব সহজ। সমস্ত উপকরণ আলাদা করে একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত দশ মিনিট। কচলে ধুয়ে ওগুলো এবার শুকিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ এবার আলাদা আলাদা করে শুকনো তাওয়ায় ভাজতে হবে। চাল ততক্ষণ ভাজুন, যতক্ষণ না মুড়ির মতো হচ্ছে। ডাল-ডালিয়া এবার ভেজে নিন, বাদামি রঙা হলে তবেই নামান। সাবুদানা, ছোলার ডাল, মটর ডাল বেশ কড়া করেই ভাজতে হবে। একই ভাবে অ্য়ামন্ড, কাজুবাদাম, ভুট্টা খটখটে করে ভেজে নিন। ঠান্ডা হওয়ার জন্য় কিছু সময় অপেক্ষা করুন এবার। সমস্ত উপকরণ তৈরি হয়ে গেলে একসঙ্গে মিক্সিতে ঘুরিয়ে গুঁড়ো করে নিন।
এবার পালা বাচ্চাকে খাওয়ানোর। এটাও খুবই সহজ। পরিমাণমতো জলে দুই টেবিল-চামচ হোমমেড সেরিল্য়াক মিশিয়ে নিন। ভালো ভাবে মেশাবেন, যাতে দানা দানা না হয়ে থাকে। এবার পাত্রটি ঢিমে আঁচে গ্য়াসে বসান। সেরিল্য়াক তৈরি হতে দশ মিনিট সময় দিন। বাচ্চার জন্য় স্বাদের দিক থেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে খাওয়ানোর আগে টাটকা, মরসুমি ফল মিশিয়ে দিন। সেটাও অবশ্য়ই পেস্ট বানিয়ে। মায়ের হাতের সেরিল্য়াক খেয়ে বাচ্চাও খুশ, আপনিও খুশ!
উপকরণ (Ingredients)
পদ্ধতি (Instructions)
বাচ্চাকে দেবেন কীভাবে