দৃশ্য ১ – সবাই বলে, গিন্নির হাতের রান্নার স্বাদটাই নাকি আলাদা। কবজি ডুবিয়ে সবাই খাচ্ছে, ফ্যালফ্যাল করে কেবল চেয়ে আছে বাড়ির পুঁচকেটা। ছোট্ট বলে কি কোনও সাধ থাকতে নেই ওর? নাই বা থাকুক দাঁত, মায়ের হাতের রান্না খেতে ওরও তো ইচ্ছে করে নাকি!
কিন্তু এমন কী বানাবেন, যেটা ও খেতে পারবে, আর ওর জন্যে উপকারীও? চিন্তার কিছু নেই, বাচ্চার স্বাদমতো ঘরেই বানিয়ে ফেলুন সেরেল্যাক। মায়ের উষ্ণতাও পেল ছানা, আবার পুষ্টিও গেল শরীরে। (Homemade Cerelac Recipe)
দৃশ্য ২- বাজার থেকে কিনে আনা সেরেল্যাকটা হয়তো ফুরিয়ে গিয়েছে হঠাৎ। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘরোয়া সেরেল্যাক খানিক মজুত করে রাখতে পারেন। এতে আপনার বাচ্চাকে হঠাৎ খিদেয় কষ্ট পেতে হবে না, নিশ্চিন্ত থাকবেন আপনিও। তা বাদে শিশুর খাবার হিসেবে বাজার চলতি সেরেল্যাকগুলো বেশ ব্যয়বহুলও। এছাড়াও এর উপাদানগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিয়েও অনেক মা-বাবা চিন্তায় থাকেন।
আজ তাই দেখে নিন স্বাস্থ্যসম্মত উপায় বাড়িতেই কীভাবে সেরেল্যাক বানিয়ে নেওয়া যায়। ঘরে তৈরি এই খাবারটি আপনার শিশুর জন্য খুবই উপকারী। এটি শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই সেরেল্যাক বানানোর সময় উপাদানগুলো আপনার শিশুর শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী কমবেশি করে নিতে পারেন। সাধারণত ছয়-সাত মাস বয়স থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি সেরেল্যাক, খিচুড়ি, সুজি এসব দেওয়া হয় শিশুদের। এর ভিতর সবচেয়ে পুষ্টিকর সেরেল্যাকই। বাড়িতে বানানোর গোপন রহস্য ফাঁস করছি আমরা, কথায় ও ছবিতে ! (Homemade Cerelac Recipe)
নামটা শুনেই মালুম হচ্ছে আকাশ-কুসুম কিছুই নয়, এ হলো কোলের পুঁচকের জন্য ঘরে তৈরি পুষ্টিকর, সুস্বাদু খাবার! হলফ করে বলতে পারি, স্বাদটা এতটাই আকর্ষণীয় যে মাঝে মাঝে চেখে দেখতে ইচ্ছে হতে পারে আপনারও। বাচ্চা ছয় মাস পূরণ করলেই এ খাবার আপনি দিতে পারেন ওকে।
মজার বিষয় হল নরম, থকথকে খাবারটায় নিজের মতো উপাদান মেশাতে পারেন আপনি। কখনও ফল কখনও বা অন্য কিছু! ফলের ভিতর আসতে পারে কলা, আপেল, সবেদা আরও কত কী! আর এই স্বাদ বাড়ানোর স্বাধীনতাই মন জয় করবে আপনার শিশুর। খানিক মিষ্টি করতে চাইলে গুড়ও মেশাতে পারেন। তবে এড়িয়ে চলুন চিনি। পাল্টে পাল্টে এভাবে সেরেল্যাক বানান যদি, খাবার নিয়ে কখনই বোর হবে না একরত্তি! দেখে নিন ছয় মাসের বাচ্চার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতির সেরেল্যাক রেসিপি।
উপকরণ (Ingredients)
ঘরেই তৈরি করুন শিশুর জন্য সেরেলাক (Easy And Healthy Homemade Cerelac Recipe for Baby)
তৈরির নিয়ম (How to Prepare)
এয়ারটাইট কৌটোয় (বাতাস ঢুকবে না) সংরক্ষণ করে একমাস অবধি ব্যবহার করতে পারেন এই পুষ্টিকর ঘরোয়া সেরেল্যাক।
আরও পড়ুন: সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর কিছু রেসিপি, আপনার বাচ্চার জন্য
ওপরের পদ্ধতিতে যদি সেরেল্যাক তৈরি করেন, তা হলে সেটা একমাস অবধি ব্যবহার করতে পারেন সঠিক পাত্রে সংরক্ষণ করলে। মানছি, এই সেরেল্যাক বানাতে একটু সময় লাগে, কিন্তু ছানার খাতিরে মাসে একবার এইটুকু সময় বের করে নেওয়া যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মতও বটে! এছাড়াও, ধরুন আপনি বাইরের ভালো মানের কেনা সেরেল্যাকই বাচ্চাকে খাওয়ান, হঠাৎ দেখলেন তা ফুরিয়ে গেছে বা এমন কোনও জায়গায় আছেন সেখানে সেরেল্যাক কিনতে পারছেন না। এরকম অবস্থায় কি খুদে না খেয়ে থাকবে?
কখনও নয়! চটজলদি কীভাবে সেরেল্যাক বানিয়ে নিতে পারবেন তার হদিস দিয়ে দিচ্ছি ছবিতে। এই সেরেল্যাকগুলো তৈরিতে বেশি উপকরণের কচকচি নেই, বানানো সময়সাপেক্ষও নয়। হঠাৎ প্রয়োজনে কীভাবে বানাবেন সুস্বাদু সেরেল্যাক ,তার পাঁচটি পদ্ধতি দিয়ে দিলাম ছবিতে ->
আরও পড়ুন: বাচ্চার জন্য সুস্বাদু, নরম সাতটি খাবারের রেসিপি
একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।
null
null