শিশুর রক্তাল্পতা কমাতে ঘরোয়া টোটকা!
ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করছে, তবুও দুর্বল দেখাচ্ছে বাড়ির খুদে সদস্য়টিকে? সবসময়ই ক্লান্ত থাকছে ও, কিংবা বদমেজাজি? খেয়াল করুন, ওর চোখমুখ ফ্য়াকাসে কি না। যদি তাই হয়, তা হলে রক্তাল্পতা বা অ্য়ানিমিয়ার শিকার সে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, শুরুর দিকে ধরা পড়লে রক্তাল্পতা সারিয়ে নেওয়া যায়। সেই সঙ্গে বাচ্চার রক্তাল্পতা এড়াতে আগে থেকেই সচেতন হতে হবে বাবা-মাকে। কীভাবে, পথ ছকে দিচ্ছি আমরা।
বাড়িতেই তৈরি কিছু খাবার ওকে নিয়মিত দিন। এতে রক্তে লোহিত কোষের সংখ্য়া বাড়বে, ফ্য়াকাসে ভাব কেটে যাবে। রক্তাল্পতা দূর করার জন্য়ে সবচেয়ে উপকারি আর সহজ উপায় হলো খেজুর রস। একটি পাত্রে তিন-চার কাপ জল নিন, ওতে তিন-চারটে খেজুর দিয়ে গ্য়াসে বসিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে ৪০-৪৫ মিনিট ফুটতে দিন। খেজুর পুরোপুরি নরম হয়ে গেলে ঘরের তাপমাত্রায় এনে সেটিকে ঠান্ডা করে নিন। এবার একটা পরিষ্কার কাপড় নিন, খেজুরের রস আর ছিবড়ে আলাদা করতে সাহায্য় করবে এটি। মিশ্রণটিকে এই কাপড়ের থলেতে ঢেলে ফেলুন। যতক্ষণ না পুরো রস বেরিয়ে আসছে নিংড়াতে থাকুন।
এবার এই খেজুরের রস তলা ভারী কোনও পাত্রে ঢেলে নিন। গ্য়াস জ্বালিয়ে ক্রমাগত নাড়া দিতে থাকুন, নীচের অংশ যাতে ধরে না যায়। মিশ্রণটি যতক্ষণ না মধুর মতো থকথকে হচ্ছে, ততক্ষণ ফুটতে দিন। থকথকে খেজুর রস বাচ্চার খেতেও ভালো লাগবে, আর এটা উপকারিও।
আরও একটি সহজ উপায় হলো পালং শাকের স্য়ুপ। এটা তৈরি করতে কোনও খাটনিও নেই। একটি পাত্রে খালি জল ভরে পালং শাকের পাতা দিয়ে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে পালং শাক-ভেজা সেই জলই বাচ্চাকে খেতে দিন। কষাটে স্বাদের জন্য যদি ও খেতে না চায় তো তাতে আরও একটু জল মিশিয়ে দিন। এরই সঙ্গে শরীরে ক্য়ালসিয়াম আর আয়রনের পরিমাণ সমান ভাবে বাড়াতে বাদামের দুধ, নারকেলের দুধও দিতে পারেন ওকে।
পাশাপাশি খাওয়ার পর প্রত্য়েকবারই একটু করে গুড় খাওয়ান ওকে। এতে রক্তাল্পতার প্রবণতা কমবে। আরও একটা উপায় আছে। আমাদের দিদা-ঠাকুমারা যা সবসময় বলতেন, সেটাও একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সবসময় লোহার পাত্রেই দুধ গরম করুন, ফল পাবেন।
খেজুর রস (Date syrup)
পালং শাকের স্য়ুপ (Spinach soup)
গুড় (Jaggery)
দুধ (Milk)