স্কুল থেকে ফিরে, নাকেমুখে কিছু একটা গুঁজেই সোজ্জা দৌড়। বন্ধুদের সাথে হুটোপাটি সেরে বিকেল গড়িয়ে সেই সন্ধের মুখে বাড়ি ফেরা। মুখ-চোখের কালি-ঝুলি ধুয়ে মাথায় এবার পড়তে বসার তাড়া। আঁচল ধরে খানিক আহ্লাদ আর তারই সাথে আদুরে বায়না, ‘খিদে পেয়েছে মা (Easy Snack Recipes for Kids)!’
খিদে তো পেয়েছে মানা গেল। কিন্তু খিদে মেটানোর জন্য আপনি যেটা বানাবেন, বা বানিয়ে রাখবেন আদৌ কি সেটা মুখে রুচবে তার?
আমি, আপনি- আমরা প্রায় সক্কলেই এমনই সব সমস্যার মুখোমুখি হই রোজ। ধন্যি মেয়ে/দস্যি ছেলের বায়না মেটানোর পথ খুঁজে খুঁজেই কালি ফেলি চোখের কোণে। কোনও পথই যখন কাজে আসে না, কেনা খাবারের হাত ধরি তখন (Bacchader Nasta Recipe)!
ভুলটা তো এখানেই করি আমরা! বাচ্চার আবদার মেটাতে গিয়ে তার ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের অজান্তেই। ভাবছেন নিশ্চয়, কেনা খাবার যদি লিস্টি থেকে বাদই দেন, বাচ্চাকে তবে নিত্য নতুন খাওয়াবেনটা কী (Healthy Recipes for Kids)!
আপনার সমস্যারই ৯টি সুস্বাদু সমাধান রইল এখানে। জলখাবারে চমক আনার পথটা আশা করি বেশ খানিকটা মসৃণ হয়ে যাবে আজ থেকেই। ভাববেন না যেন, আপনাকে অহেতুক খাটানোর ফন্দি আঁটছি আমরা! এখানে এমনই সব খাবারের হদিস থাকবে, যেগুলোর উপকরণ হরবকত মজুত থাকে আপনার রান্নাঘরেই। সেগুলো খানিক এদিক-ওদিক করলেই পেয়ে যাবেন নতুন জলখাবারের স্বাদ (Easy Nasta Recipe)!
মুখরোচক ও চটজলদি জলখাবারের কিছু রেসিপি (Easy Snack Ideas and Recipes for Kids)
#1. ওটমিলের স্যান্ডউইচ:
সকালে হোক বা বিকেলে, বাচ্চার খাবার তালিকায় অবশ্য রাখুন ওটস। একদম ছোট বাচ্চার জন্য ওটসের খিচুড়, স্মুদি এসব তো রয়েছেই। এখানে যে রেসিপি রইল, সেটি তুলনায় একটু বড়দের। মোটামুটি বছর তিনেকের বাচ্চার শরীর বুঝে এটি তৈরি করা হয়েছে (Easy Snack Recipes)।
কী কী লাগবে:
- চার-পাঁচটা পাউরুটি
- এক কাপ ওটমিল (জল ভিজিয়ে রেখে জল ঝড়িয়ে নিন)
- এক টেবিল-চামচ ধনেপাতা কুচি
- সামান্য পুদিনা পাতা
- ৪টি সেদ্ধ করা আলু
- ১-২টো টমেটো কুচি
- ১টা গাজর- খোসা ছাড়িয়ে কুচি করা
- ২ টো ছোটো পেঁয়াজ কুচি
- আধ-কাপ মটরশুঁটি
- এক চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- ঘী- পরিমাণমতো, পরিবর্তে সাদা তেলও দিতে পারেন।
- স্বাদমতো লবণ
কীভাবে বানাবেন:
- প্রথমে একটি কড়াইয়ে ঘী বা তেল গরম করে নিন।
- তারপর পেঁয়াজ, টমেটো ও গাজর কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ভেজে নিন।
- এবার এতে সেদ্ধ করা আলু মিশিয়ে তাতে মটরশুঁটি, গরমমশলা গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো, ওটমিল ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ৪-৫ মিনিট রান্না করুন।
- ভালোভাবে রান্না হয়ে এলে এবার পুদিনা পাতা ও ধনেপাতা ছড়িয়ে মিশ্রণটি একটি আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন।
- এবার পাউরুটি হালকা টোস্ট করে নিন। এবার একটি পাউরুটির মধ্যে পুরটি রেখে আর একটি পাউরুটি উপরে দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিন।
#2. চিকেন বক্স
আপনার বাচ্চাটি বুঝি দোকানের কেনা চিকেন প্যাটি খেতে ভালোবাসে ভারি? ওর শরীর-স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই অভ্যাস ছাড়ান আজই। আর ওর মনের কথা ভেবে শিখে নিন ঘরোয়া প্যাটির সহজ রেসিপি। বাচ্চার কাছে বিষয়টিকে নতুন ভাবে পরিবেশনের জন্য আমরা রাখলাম নতুন নাম, ‘চিকেন বক্স’!
কী কী লাগবে:
- ২০০ গ্রাম বোনলেস চিকেন (টুকরো করা)
- একটা বড় মাপের পেঁয়াজ কুচি
- আধ টেবিল-চামচ আদা-রসুন বাটা
- অল্প কাঁচালঙ্কা কুচি
- এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো
- আধ চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- আধ চা-চামচ গরমমশলা
- এক টেবিল-চামচ ধনেপাতা কুচি
- তিনটে ডিম
- আধ কাপ ময়দা
- প্রয়োজনমতো লবণ এবং সাদাতেল
কীভাবে বানাবেন:
- সসপ্যানে অল্প তেল গরম করে মাংস, হলুদ গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং নুন দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
- ভাজা মাংসগুলোকে একটা পাত্রে তুলে রাখুন। সসপ্যানে অল্প তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাডুন।
- হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা এবং ধনেপাতা কুচি দিন। মাংস মিশিয়ে কষিয়ে নিন।
- একটা পাত্রে সামান্য নুন মিশিয়ে ময়দা গুলে নিন। ননস্টিক প্যানে সামান্য তেল গরম করে
- গোলা রুটি বানান। তাতে চিকেনের পুর ভরে ভাঁজ করে বক্সের আকারে গড়ুন। ডিম ফেটিয়ে নিয়ে
- তাতে বক্সগুলো ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন। সসের সঙ্গে গরম গরম খেতে দিন বাচ্চাকে (Bachhader Nasta Recipe)।
#3. ব্রেড কাটলেট
বাচ্চার বিকেলের টিফিন হোক বা স্কুলের টিফিন — মুচমুচে স্ন্যাক্সের জন্য এবার ভরসা করতে পারেন এই পাউরুটির উপরই। পাউরুটি তো সবসময় বাড়িতে প্রায় থাকেই। সহজ উপায়ে মজাদার ‘ব্রেড কাটলেট’ বানিয়ে এবার চমকে দিন আপনার ছানাকে। দেখে নিন উপায়।
কী কী লাগবে:
- পাউরুটি (ছোট আকারের)- ১০ থেকে ১২টি
- সেদ্ধ করে রাখা আলু- ২৫০ গ্রাম
- গোলমরিচ গুঁড়ো- আধ চামচ
- নুন, চিনি- স্বাদমতো
- বেসন- আধ কাপ
- কর্নফ্লাওয়ার- ২ চামচ
- চিলি ফ্লেক্স- স্বাদ অনুযায়ী
- ধনে গুঁড়ো- ১ চামচ
কীভাবে বানাবেন:
- পাউরুটিগুলোর ধার আগেই কেটে বাদ দিয়ে রাখুন। পাউকুটির গায়ে অল্প জল ছিটিয়ে তাদের নরম করে বেলে ফেলুন।
- পাতলা রুটির মতো হয়ে এ বার সেদ্ধ আলুতে নুন মিশিয়ে পরিমাণমতো বাকি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- বাচ্চা ঝাল না খেলে বাদ দিন চিলি ফ্লেক্স।
- আলু মেখে পাতলা করে বেলে রাখা দু’টি পাউরুটির মধ্যে ভরে একে হাতের চাপে কাটলেটের আকারে মুড়ে ফেলুন।
- ধারগুলোয় কর্নফ্লাওয়ারের ব্যাটার লাগিয়ে নিন, তাতে ধার জুড়তে সুবিধা হবে।
- এবার এই কাটলেট বেসনে ডুবিয়ে নিয়ে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে নিন।
- ডুবো তেলে লাল করে ভেজে নিলেই তৈরি ব্রেড কাটলেট।
#4. চিজ ফ্রেঞ্চ টোস্ট
ফ্রেঞ্চ টোস্ট বেশ মুখরোচক স্ন্যাকস। আমরা বাঙালিরা এই ফ্রে়ঞ্চ টোস্টেও ইদানীং নিয়ে এসেছি মশলাপাতির ছোঁয়া! বিকেলের জলখাবারে বাচ্চাকে রোজ একই রকম ফ্রেঞ্চ টোস্ট কেন দেবেন? আজ শিখে নিন চিজ দিয়ে খুব সহজে বাঙালি-স্টাইল ফ্রেঞ্চ টোস্ট বানানোর রেসিপি (Healthy Snacks for Kids)।
কী কী লাগবে:
- ডিম- ২টো
- ১টা পেঁয়াজ কুচি
- ধনেপাতা কুচি- ২ টেবিল-চামচ
- নুন- স্বাদ মতো
- পাউরুটি- ৪ স্লাইস
- চিজ- ২ স্লাইস
- কাসুন্দি- ২ টেবিল-চামচ
- টোম্যাটো, চিলি সস- ২ টেবিল-চামচ
- সাদাতেল- পরিমাণমতো
কীভাবে বানাবেন:
- ডিম, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন দিয়ে ফেটিয়ে নিন।
- পাউরুটির দুটো স্লাইসে কাসুন্দি লাগান।
- দুটো পাউরুটির উপর দুটো স্লাইস চিজ রাখুন।
- বাকি দুটো পাউরুটিতে টোম্যাটো-চিলি সস লাগান।
- চিজ-এর উপর চাপা দিয়ে স্যান্ডউইচের মতো বাজে নিননিয়ে নিন। প্যানে তেল দিন।
- ডিমের গোলায় স্যান্ডউইচ ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিন।
- কোনাকুনি ত্রিভূজাকারে কেটে নিলেই তৈরি চিজ ফ্রেঞ্চ টোস্ট!
#5. আপেল ওমলেট
আপেল-ওমলেট, নাম শুনেই বুঝছেন খাবারটা কতটা মজার আর কতটা পুষ্টিকর? একটাই খাবারে আপেলের মতো গুণ-ধারী ফলও গেল আপনার বাচ্চার শরীরে, আবার ডিমের পুষ্টিও পেল ও ! বিশ্বাস করুন, এটা খেতেও দারুণ! বাচ্চার সাথে সাথে কত্তা-গিন্নি মিলে খেতে পারেন আপনারাও!
কী কী লাগবে:
- ছোট সাইজের ১টা আপেল (গ্রেট করা)
- ডিম ২টো
- হলুদগুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো
- লবণ- স্বাদমতো
- দুধ- আধ-কাপ
- সামান্য সাদা তেল
- মাখন, মধু
কীভাবে বানাবেন:
- প্রথমে একটা পাত্রে হলুদগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, লবণ দিয়ে ডিম ২টো ফেটিয়ে নিন।
- আরেকটি বড় পাত্রে প্রথম গ্রেট করা আপেল, দুধ মেলান। এতে এবার ডিমের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- সসপ্যানে তেল/ মাখন দিয়ে পুরো মিশ্রণটা ছড়িয়ে দিন।
- এপাশ-ওপাশ উল্টে পাল্টে, ভালো করে ভাজতে হবে।
- ওমলেট হয়ে গেলে ওপরে মধু ছড়িয়ে বাচ্চাকে দিন।
আরও পড়ুনঃ প্যাকেটজাত আর নয়, ১-৩ বছরের খুদের জন্য বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন পুষ্টিকর, সুস্বাদু মুসলি!
#6. মাছের চপ
একে তো বাঙালির মাছ অন্ত প্রাণ। তায় আবার বাংলার বুকে হরেক মাছের সম্ভার। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানারকম পদ হয়েই যায়। আপনার বাড়ন্ত বাচ্চাটিকেও এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত করবেন না। আজ রইল মুখরোচক মাছের চপের রেসিপি। বাচ্চার বিকেলের খাবার হিসেবে জমে যাবে জাস্ট (Bengali Nasta Recipe)!
কী কী লাগবে:
- মাছ- ৬ টুকরো
- সাদা তেল- ১ কাপ
- পেঁয়াজ- ২টি
- কাঁচা লঙ্কা- অল্প
- আদা- ১ টুকরো (এক ইঞ্চি মাপের)
- রসুন- ৩ কোয়া
- লবণ- স্বাদমতো
- হলুদ- এক চিমটে
- ধনে পাতা কুচি- এক মুঠো
- ধনে গুঁড়ো- আধ চা-চামচ
- ভাজা জিরেগুঁড়ো- ১ চা-চামচ
- গরমমশলা গুঁড়ো- ১ চা-চামচ
- লঙ্কা গুঁড়ো- আধ চা-চামচ
- ডিম- ২টো
- ময়দা- আধ কাপ
- ব্রেড ক্রাম্ব- প্রয়োজনমতো
কীভাবে বানাবেন:
- প্রথমে গরম ফুটন্ত জলে নুন ও হলুদ মাখা মাছের টুকরোগুলো এক বার সামান্য ভাপিয়ে নিন।
- জল থেকে তুলে মাছের কাঁটা বেছে রাখুন। হাতে করে মাছের টুকরো সামান্য চটকে নিন।
- সেই মাছে একে একে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, ধনেগুঁড়ো, ভাজা জিরেগুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, ধনে পাতা কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি ভালো করে মেশান।
- ওই মিশ্রণে ময়দা দিন। ভালো করে এক সঙ্গে সব মেখে এবার চপের আকারে গড়ুন। আলতো হাতে মাছের চপগুলো সামান্য চেপে দিন।
- একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব এবং অন্য পাত্রে নুন ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ডিম ফেটিয়ে রাখুন।
- এবার কড়াইয়ে তেল গরম করুন। তার পর মাছের চপগুলো প্রথমে ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ও পরে ব্রেড ক্রাম্বে মাখিয়ে নিন।
- গরম তেলে মাছের চপগুলো ছেড়ে দিন। ছাঁকা তেলে লালচে সোনালি করে ভেজে তুলে নিন (Bikeler Tiffin)। স্যালাড ও সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
- কাসুন্দি দিয়েও দিতে পারেন বাচ্চাকে। মন্দ লাগবে না!
#7. সুজি-আলু রোল
এগ রোলের প্রতি বড্ড প্রীতি আপনার বাচ্চার? সেটা হয়তো মাঝেসাঝে বানিয়েও দেন আপনি! কি, তাই তো? বাচ্চার সেই রোল-প্রীতি মাথায় রেখেই আজ তবে হয়ে যাক নতুন কোনও রোল। যেটা বানাতে সহজ, পুষ্টিকর আবার দারুণ সুস্বাদুও ! শুধু জলখাবারে কেন, এই রোল বাচ্চা খেতে পারে ওর ডিনারেও (Bachhader Nasta)।
কী কী লাগবে:
- সেদ্ধ আলু- ২টো
- ময়দা- দেড় কাপ
- সুজি- দেড় কাপ
- ১টা বড় পেঁয়াজ- কুচি করে ভেজে রাখা
- লবণ- স্বাদমতো
- সাদাতেল- ভাজার জন্য
- টোম্যাটো সস।
কীভাবে বানাবেন:
- সেদ্ধ করা আলু প্রথমে আন্দাজমতো লবণ আর ভাজা পেঁয়াজ মিলিয়ে চটকে নিন।
- সুজি-ময়দা মাখতে হবে এবার। আন্দাজমতো জল, লবণ দিন। ঘন নয়, আবার পাতলাও নয়, ধোসার মতো মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
- প্যানে তেল ছড়িয়ে হাতায় করে মিশ্রণ দিন। হাতার পিছনের দিকটা দিয়ে ভালো করে ছড়িয়ে দিন।
- এপাশ-ওপাশ ভাজা হয়ে গেলে প্লেটে নামিয়ে নিন।
- মাঝে আলুর পুর দিয়ে রোল বানিয়ে ফেলুন!
- সস বা চাটনি দিয়ে বাচ্চাকে দিন। চেটেপুটে খাবে।
#8. পনীর চটপট
বাচ্চার বছর খানেক বয়স থেকেই পুষ্টিগুণে ভরা, প্রোটিন-সমৃদ্ধ পনীর রাখতে পারেন তার পাতে।
কী কী লাগবে:
- পনীর- ২৫০ গ্রাম
- পাউরুটি- ৫টা স্লাইস
- পেঁয়াজ ১টা- কুচনো
- গোটা জিরে- ফোড়ন দিতে
- জিড়েগুঁড়ো- অল্প
- আদা কুচি- ১ ইঞ্চি মাপের
- লবণ, চিনি- আন্দাজমতো
- সাদাতেল- পরিমাণমতো
কীভাবে বানাবেন:
- কড়াইতে তেল গরম করে গোটা জিরে ফোড়ন দিন।
- এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, জিড়েগুঁড়ো, লবণ-চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন।
- তেল ছাড়লে পনীরের টুকরোগুলো ছেড়ে দিন।
- অল্প নেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
- ঘরের তাপমাত্রায় চলে এলে মিশ্রণটি হাতে চটকে নিন।
- পাউরুটিগুলোর ধার কেটে আগে থেকে জলে ভিজিয়ে রাখুন।
- পনীরের মিশ্রণের সাথে পাউরুটিও মেখে নিন।
- কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিন।
- পনীর-পাউরুটির মিশ্রণ থেকে গোল গোল চপের মতো বানিয়ে নিন।
- ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।
#9. ধোকলা
ধোকলা মানেই কেনা নয়, বানাতে পারেন বাড়িতেও। এর উপকরণও মজুত থাকে আপনার রান্নাঘরেই। একটুখানি সময় দিলেই তৈরি হয়ে যাবে তুলতুলে, সুস্বাদু এই টিফিন। আজ বিকেলেই তাই বাচ্চাকে বানিয়ে দিন ধোকলা। মাইক্রোওভেন থাকলে ৫ মিনিটেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পদ (Tiffin Recipe)।
কী কী লাগবে:
- বেসন- ১ কাপ
- সুজি- ১/৪ কাপ
- কাঁচা লঙ্কা- ৪-৫টি
- পাতিলেবু- ১টি
- নুন— স্বাদমতো
- চিনি- ৪ চা-চামচ
- ফ্রুট সল্ট বা ইনো- ২ চা-চামচ
- তেল- ২ চা-চামচ
- সরষে— ২ চা-চামচ
- কারি পাতা- ১০-১২টি
- ধনেপাতা- আধ কাপ
- নারকেল- আধ মালা
কীভাবে বানাবেন:
- একটি কাঁচা লঙ্কা বেটে নিন।
- ৩/৪ কাপ জলে বেসন, সুজি, লঙ্কা বাটা, ২ চা-চামচ চিনি, স্বাদমতো নুন মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- তাতে ফ্রুট সল্ট বা ইনো মিশিয়ে মিনিট পাঁচেক রাখুন।
- ইতিমধ্যে বেকিং ডিশ সামান্য তেল বা মাখন দিয়ে গ্রিজ করে নিন।
- সেই পাত্রে ধোকলার মিশ্রণ ঢেলে মাইক্রোওয়েভে সাড়ে তিন থেকে চার মিনিট বেক করে নামিয়ে নিন।
- গ্যাসে ননস্টিক পাত্র বসিয়ে তাতে তেল গরম করে সরষে, কাঁচা লঙ্কা আর কারিপাতা ফোড়ন দিন।
- এবার তাতে নুন, চিনি আর এক কাপ জল দিয়ে ফুটতে দিন।
- চিনি জলের সঙ্গে মিশে গেলে ধোকলার উপরে ঢেলে দিন।
- উপর থেকে নারকেল কোরা ছড়িয়ে চৌকো চৌকো করে কেটে পরিবেশন করুন!
আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছানার জন্য সহজ-স্বাস্থ্যকর ১০ ধারার খিচুড়ির রেসিপি!
একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।
null
null