খাবার নিয়ে আমাদের মনের মধ্যে চলে নানা সংশয়। কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কোনটা ক্ষতিকর; ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ থাকলে কী খাওয়া যাবে, কোনটা বয়কট করতে হবে; এমন সব চিন্তাতেই ডায়েট থেকে অর্ধেক খাবার নিজেরা নিজেরাই বাদ দিয়ে দিই আমরা।
যারা ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত, তাঁদের বলছি আপনারা নিঃসংকোচে খেতে পারেন পিনাট বাটার। এমনকী একে আপনারা ঢুকিয়ে নিতে পারেন আপনাদের রোজের খাবার তালিকাতেও।
এটা বাচ্চাদের যেমন পছন্দ, তেমনি বড়রাও বেশ ভালোবেসেই খান। যদি পিনাট বাটারের আসল পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবাই অবগত হয়, তা হলে সকলেরই রোজের খাবার তালিকায় ঢুকে পড়তে পারবে এই খাবার।
তাই চলুন পিনাট বাটার খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
#1. মজবুত করে হাড়গোড় (Strong Bones)
আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস পিনাট বাটার বা চিনাবাদামের মাখন। এরই গুণে রক্তে অক্সিজেনের সঞ্চালন বাড়ে, যার থেকেই শক্তসবল হয় হাড়গোড়।
#2. শক্ত সবল পেশী (Healthy Muscles)
কচিকাঁচাদের সুস্থ-সবল রাখে পিনাট বাটার। বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় বাচ্চার পেশীর গঠন ও পেশী মজবুত করতে সাহায্য করে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম।
#3. ফাইবার সমৃদ্ধ (Rich in Fibre)
জানতেন কি, ১ টেবিল চামচ পিনাট বাটার থেকেই মিলতে পারে ১ গ্রাম ফাইবার? এই ফাইবার বা আঁশই আট-আশির হজম-প্রক্রিয়া সুস্থ-স্বাভাবিক রাখে।
#4. প্রোটিনের আদর্শ উৎস (Great Source of Protein)
নতুন কোষ, হরমোন ও এনজাইমের গঠন-মেরামতিতে পিনাট বাটারের জুড়ি মেলা ভার। ১০০ গ্রাম পিনাট বাটার থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন পেতে পারে বাড়ন্ত বাচ্চা।
#5. পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস (Good Source of Potassium)
শরীরে তরলের ভারসাম্য় বজায় রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। বাড়-বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, মস্তিষ্ক ও শরীরে স্নায়ু কোষের কাজর্কম সচল-স্বাভাবিক রাখে।