গ্রীষ্ম যতই বেদনাদায়ক হোক, ফলাহারের জন্য এর কোনও তুলনা নেই। গরমে ঘেমে গলদঘর্ম হয়ে তাই সামনে নানা ফলে সাজানো থালা দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। সে আম-লিচুই হোক, কিংবা সদ্য গাছ-ভাঙা পেল্লায় কাঁঠাল! নাম শুনেই নাক সিঁটকালেন বুঝি? জানতাম, এমনটাই হবে। আরে আরে, কাঁঠালের গন্ধে পালাবেন না যেন! পালিয়ে কিন্তু ক্ষতি করবেন নিজেরই! যে ফলটাকে শুধুমাত্র গন্ধের জন্য এতকাল দূরে রাখলেন, সেই আপনার ও আপনার পরিবারের কতটা উপকার করতে পারে জানেন কি? না জানলে, একবাট্টি চোখ বুলিয়ে নিন কাঁঠালের গুণাবলীতে। হলফ করে বলতে পারি, আম-লিচু নিয়ে আপনার যে বিলাসিতা, সেটা এবার কাটবেই কাটবে। কাঁঠালের স্বাদে মজে গ্রীষ্মের দুপুরও তারিয়ে উপভোগ করবেন আপনি!
#1. শক্তি জোগায়, হজমশক্তি বাড়ায়
(Improves energy level & digestion power):
খেতে মিষ্টি, কিন্তু কাঁঠাল খেয়ে ডায়াবিটিস বেড়ে যাওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। বরং শরীরে শক্তি জোগাতে এর জুড়ি মেলা ভার। কাঁঠাল ফাইবার-সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
#2. সুস্থ রাখে চোখ-ত্বক
(protects eyes, helps in slowing down the aging process):
কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন। চোখ ভাল রাখতে ভিটামিন-এ যে অপরিহার্য, তা কে না জানে। তা বাদে কাঁঠালে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। বলিরেখাও কমে।
#3. রক্তাল্পতা, কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়
(prevents anemia, colon cancer):
কাঁঠালে আয়রন থাকে যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের কাঠাল খাওয়া উচিত। এই ফল নিয়মিত খেলে পাইলস এবং কোলন ক্যানসারের আশঙ্কাও কমে অনেকখানি।
#4. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
(boosts immune system):
উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল। এতে ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনকী টিউমারের বিরুদ্ধেও শরীরে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
#5. হাড় শক্ত রাখে, হার্টের যত্ন নেয়
(promotes bone health, supports cardiovascular system):
কাঁঠালে ক্যালশিয়াম থাকে যা হাড় শক্ত রাখে। তা ছাড়া এই ফলে রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টও ভাল থাকে।