এনার্জি আর পুষ্টি উপাদানে ঠাসা খেজুরই বাচ্চার সলিড শুরু দিনগুলোয় আদর্শ খাবার হয়ে উঠতে পারে। আয়রন, ক্য়ালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংকের মতো মিনারেলের গুণ আছে এতে। তা বাদে আছে ভিটামিন-এ, বি6, ভিটামিন-কে’র মতো আরও কত ভিটামিন! ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের তালিকাতেও খেজুর রাখতে পারেন আপনি। (Amazing Health Benefits of Dates for Babies)
এ ধরনের গুণাগুণই বাচ্চার বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় শরীরে যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করে। বাচ্চাকে খেজুর খাওয়ালে কী কী উপকার পেতে পারেন, চেকলিস্ট ছকে দিলাম আমরা!
#1. মস্তিষ্কের বিকাশ (Brain Development):
মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে পটাশিয়াম, আর এই পটাশিয়ামেরই অনেকটা মিলতে পারে খেজুর থেকে। খেজুরই বাচ্চার মস্তিষ্ক ও জ্ঞানীয় বিকাশ নিশ্চিত করবে।
#2. শক্তপোক্ত দাঁত (Stronger Teeth):
ছোট্ট বাচ্চার দাঁত ওটার সময় ওকে পাকা খেজুর দিন, দাঁত গজানোয় সাহায্য হবে অনেকটা। খেজুরই মাড়ি করবে সবল, দাঁত করবে শক্তপোক্ত, দাঁত গজাবেও দ্রুত।
#3. সারবে জ্বর-কমবে পক্স (Nourishing During Fevers and Smallpox):
জ্বর বা পক্সের মতো রোগ হলে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে খেজুর। কেন না খেজুরেই আছে নানা পুষ্টি উপাদানের গুণ। দুধের সাথে খেজুর মিলিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান, উপকার পাবেন!
#4. আমাশয়ের ঘরোয়া প্রতিকার (Remedy for Dysentery):
বৃহদন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার উৎপাতে আমাশয়ের মতো রোগ হতে পারে ছোট্ট সোনার। এর প্রতিকারও করতে পারে খেজুর।
#5. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই (Relief from Constipation):
খেজুরে থাকা ফাইবারেই নিয়মিত পটি হবে বাচ্চার। শরীর আর্দ্র থাকবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমবে।
#6. রক্তে বাড়বে হিমোগ্লোবিন (Improves Haemoglobin Levels in Blood):
খেজুরে আছে অনেক আয়রন। এরই প্রভাবে বাচ্চার রক্তে হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়বে। চুল থাকবে চকচকে আর তকতকে থাকবে ত্বক।