ইদানীং সবাই খুব স্বাস্থ্য সচেতন। আর তাই সুপারফুডেরও এখন খুবই রমরমা। অর্থাৎ যেসব খাবার সুস্থ থাকার চাবিকাঠি, সেগুলির মানুষ বেশি করে খাচ্ছেন। এরকমই একটি সুপারফুড হলো চিয়া সিড বা চিয়া বীজ!
আসলে চিয়া বীজের জন্ম সুদূর মেক্সিকোতে। স্থানীয় “Salvia hispanica” নামক “mint” প্রজাতির গাছের বীজ এটি, তাই এর কোনও ভারতীয় নাম নেই, এটি চিয়া বীজ বা চিয়া সিড নামেই প্রচলিত। ছোট, সাদা, ধূসর, বাদামী ও কালো রঙের এই বীজটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এর উপকারিতা অনেক!এক আউন্স (২৮ গ্রাম) চিয়া সিডে আছে;
ফাইবার- ১১ গ্রাম
প্রোটিন- ৪ গ্রাম
ফ্যাট- ৯ গ্রাম (যার ৫ গ্রাম আবার Omega-3s)
ক্যালসিয়াম- RDA (Recommended Dietary Allowance) এর ১৮%
ম্যাঙ্গানিজ- RDA এর ৩০%
ম্যাগনেসিয়াম- RDA এর ৩০%
ফসফরাস- RDA এর ২৭%
সমুচিত পরিমাণে জিঙ্ক, ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন), পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) ও ভিটামিন বি২
এই এত্ত সব পুষ্টিগুণ ঝুলি করে আপনার শরীর রক্ষায় কী কী ভাবে কাজে আসতে পারে চিয়া সিড বা চিয়া বীজ, তারই কিছু উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট সাজিয়ে দিলাম নীচে!
#1. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর (They’re SUPER high in antioxidants.)
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টই কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলবে। আপনার মুখে, চোখে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করবে, ত্বক রাখবে তকতকে আর চুল রাখবে চকচকে। আশঙ্কা কমাবে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগেরও।
#2. প্রায় সবটুকু কার্বই ফাইবার (They’ve got an impressive amount of fiber)
চিয়া বীজে থাকা শর্করার প্রায় সব টুকুই ফাইবার। রোজের ডায়েটে চিয়া বীজের গুণেই আপনার খিদে কম পাবে, পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, পটি হবে নিয়মিত। পরোক্ষ ভাবে তরতরিয়ে ওজন কমবে আপনার!
#3. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস (They’re a rare source of omega-3 fatty acids.)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উপকারেই অবসাদ কমবে, ঘুমের সমস্যা কাটবে, ভালো থাকবে হৃদযন্ত্র! জানতেন কি, মাছ-বাদাম-ফ্ল্যাক্স সিডের সাথে সাথেই চিয়া বীজেও আছে বহুল পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড?
#4. মিলবে উচ্চমানের প্রোটিন (They’ve got protein)
যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের জন্য প্রোটিন ভরা খাবার-দাবার খুঁজে পাওয়া সত্যি কঠিন। চিন্তা নয়, চিয়া বীজ আছে তো! ২ টেবিল.চামচ চিয়া বীজেই ৪ গ্রাম প্রোটিন পাবেন আপনি। ওটসের সাথে মিলিয়ে খান, জমে যাবে জলখাবার!
#5. ক্যালসিয়াম চান? পাবেন সেটাও! (Need calcium? Chia’s got it!)
বিশ্বাস করুন বা না করুন, অধিকাংশ দুগ্ধজাত প্রোডাক্টের চেয়ে অনেক বেশি ক্যালসিয়াম থাকে চিয়া বীজে। যদি দুধ খেতে না পারেন তবে খান চিয়া বীজ। ইয়োগার্টের সাথে মিলিয়ে খেতে পারেন রোজ, শরীর-স্বাস্থ্য থাকবে তন্দুরস্ত!