কবে থেকে এবং কীভাবে ব্য়বহার করবেন
কীভাবে বানাবেন
বাচ্চাকে কতটা দেবেন
এক বছরের উপরের বাচ্চার জন্য়
ভালো জোয়ান কোনটা
জোয়ানের উপকারিতা
জোয়ান এমনই এক মশলা, আম-বাঙালির ঘরে ঘরে যা মজুত থাকতে বাধ্য়। একাধারে সুস্বাদু, তার উপর উপকারিও। পেটপুরে খাওয়ার পর বদহজম এড়াতে এক চিমটে জোয়ানই যথেষ্ট হয় অনেক সময়। বাড়ির বাচ্চাটিও খেয়েদেয়ে মাঝেমাঝেই চেঁচিয়ে কেঁদে ওঠে। আপনি বুঝতে পারেন, হয়তো গ্য়াস থেকেই এমন করছে ও। তখনই ডাক্তার-বদ্য়ি করার থেকে বাড়িতে মজুত জোয়ানই একটু খাওয়াতে পারেন ওকে। তবে সরাসরি নয়। কীভাবে এবং কখন, বলে দিচ্ছি আমরা।
বাচ্চার আট মাস থেকেই জোয়ান ভেজানো জল দিতে পারেন। শুকনো তাওয়ায় দুই চা-চামচ মতো জোয়ান ভেজে নিন। জোয়ানের গন্ধ ভালো মতো না বেরনো অবধি নাড়াচাড়া করতে থাকুন। আলাদা পাত্রে এক কাপ মতো জল ফুটিয়ে রাখুন। এবার ভাজা জোয়ান ওতে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। তারপরই বাচ্চাকে খেতে দিন। কৌটোয় রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। বাচ্চার রুচির জন্য়,
স্বাদ বাড়াতে মধুও মেশাতে পারেন জোয়ান-জলে।
বাচ্চার খাবারে নিয়মিত জোয়ান-জল থাকলে পেটের নানা সমস্য়া থেকে মুক্তি পাবে ও। জোয়ান-জলে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জোয়ানের জীবাণু আর সংক্রমণ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাচ্চাকে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা করে। বাচ্চার শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্য়া থাকলে জোয়ান জলে তাতেও উপকার হয়। এছাড়া বদহজম দূর করার জন্য় জোয়ানের ব্য়বহার তো সকলেরই জানা। বাচ্চা গ্য়াসের ব্য়থায় কষ্ট পেলে জোয়ান জল খাওয়ান। হজমে সাহায্য়ের পাশাপাশিই এতে ওর খিদে বাড়বে, কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়াও মিটবে।
এক বছরের নীচের বাচ্চার জন্য় দিনে দুই-তিন চা-চামচ দিন। ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান, দুই-তিন টেবিল চা-চামচও দিতে পারেন তখন। তবে সপ্তাহে রোজ নয়, দুই-তিনবার দেওয়াই ভালো। বাচ্চা এক বছরের উপর হলে দিনপ্রতি একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ জোয়ান জল দিন। জোয়ান কেনার আগে দেখে নিন সেটা অরগ্য়ানিক কি না। বাচ্চাকে দেওয়ার জন্য় রাসায়নিক ছাড়া জোয়ান কেনাই ভালো।