জোয়ান কেন জরুরি

কবে থেকে এবং কীভাবে ব্য়বহার করবেন

  • আট মাস বয়স থেকেই বাচ্চার খাবারে জোয়ান মেলাতে পারেন
  • জোয়ান ভেজানো জল দিয়ে প্রথমে শুরু করুন

 

কীভাবে বানাবেন

  • শুকনো তাওয়ায় দুই চা-চামচ জোয়ান ভেজে নিন
  • এক কাপ মতো জল ফুটিয়ে রাখুন
  • এবার ভাজা জোয়ান জলে মিশিয়ে নিন,
  • ব্য়বহার করার আগে ছেঁকে নেবেন অবশ্য়ই
  • স্বাদের জন্য় মধু মেশাতে পারেন

 

বাচ্চাকে কতটা দেবেন

  • এক বছরের নীচের বাচ্চার জন্য়
  • শুরুতে খুব বেশি হলে দুই-তিন চা-চামচ দিনপ্রতি দিতে পারেন
  • ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান দুই-তিন টেবিল-চামচ
  • সপ্তাহে দুই-তিনবার দেওয়াই ভালো

 

এক বছরের উপরের বাচ্চার জন্য়

  • দিনপ্রতি একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ দিন

ভালো জোয়ান কোনটা

  • সবসময় রাসায়নিক ছাড়া, অরগ্য়ানিক জোয়ানই কিনুন

জোয়ানের উপকারিতা

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি-কাশি থেকে রেহাই মেলে
  • বাচ্চার শ্বাসকষ্ট থাকলে খুবই কাজে দেয়
  • হজমে সাহায্য় করে। গ্য়াসের ব্য়থা দূর করে
  • খিদে বাড়ায়
  • বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়া মেটায়

 

জোয়ান কেন জরুরি – Health Benefits of Ajwain for Kids in Bengali

জোয়ান এমনই এক মশলা, আম-বাঙালির ঘরে ঘরে যা মজুত থাকতে বাধ্য়। একাধারে সুস্বাদু, তার উপর উপকারিও। পেটপুরে খাওয়ার পর বদহজম এড়াতে এক চিমটে জোয়ানই যথেষ্ট হয় অনেক সময়। বাড়ির বাচ্চাটিও খেয়েদেয়ে মাঝেমাঝেই চেঁচিয়ে কেঁদে ওঠে। আপনি বুঝতে পারেন, হয়তো গ্য়াস থেকেই এমন করছে ও। তখনই ডাক্তার-বদ্য়ি করার থেকে বাড়িতে মজুত জোয়ানই একটু খাওয়াতে পারেন ওকে। তবে সরাসরি নয়। কীভাবে এবং কখন, বলে দিচ্ছি আমরা।

বাচ্চার আট মাস থেকেই জোয়ান ভেজানো জল দিতে পারেন। শুকনো তাওয়ায় দুই চা-চামচ মতো জোয়ান ভেজে নিন। জোয়ানের গন্ধ ভালো মতো না বেরনো অবধি নাড়াচাড়া করতে থাকুন। আলাদা পাত্রে এক কাপ মতো জল ফুটিয়ে রাখুন। এবার ভাজা জোয়ান ওতে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। তারপরই বাচ্চাকে খেতে দিন। কৌটোয় রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। বাচ্চার রুচির জন্য়,

স্বাদ বাড়াতে মধুও মেশাতে পারেন জোয়ান-জলে।
বাচ্চার খাবারে নিয়মিত জোয়ান-জল থাকলে পেটের নানা সমস্য়া থেকে মুক্তি পাবে ও। জোয়ান-জলে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জোয়ানের জীবাণু আর সংক্রমণ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাচ্চাকে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা করে। বাচ্চার শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্য়া থাকলে জোয়ান জলে তাতেও উপকার হয়। এছাড়া বদহজম দূর করার জন্য় জোয়ানের ব্য়বহার তো সকলেরই জানা। বাচ্চা গ্য়াসের ব্য়থায় কষ্ট পেলে জোয়ান জল খাওয়ান। হজমে সাহায্য়ের পাশাপাশিই এতে ওর খিদে বাড়বে, কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়াও মিটবে।

এক বছরের নীচের বাচ্চার জন্য় দিনে দুই-তিন চা-চামচ দিন। ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান, দুই-তিন টেবিল চা-চামচও দিতে পারেন তখন। তবে সপ্তাহে রোজ নয়, দুই-তিনবার দেওয়াই ভালো। বাচ্চা এক বছরের উপর হলে দিনপ্রতি একটি কাপের চার ভাগের এক ভাগ জোয়ান জল দিন। জোয়ান কেনার আগে দেখে নিন সেটা অরগ্য়ানিক কি না। বাচ্চাকে দেওয়ার জন্য় রাসায়নিক ছাড়া জোয়ান কেনাই ভালো।