অক্ষরজ্ঞানই আমাদের লেখা আর পড়ার ভিত্তি হিসেবে প্রধান কাজটি করে থাকে। শিশুরা মোটমুটি দুই বছর বয়স থেকে অক্ষর চেনার, শেখার পথে প্রথম পা-টা ফেলে। কারও তার আগে হতে পারে, কারও খানিক পরে। দেখা যায় অনেক শিশু খুব জলদি আয়ত্ব করে নিচ্ছে। আবার কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় বারবার শেখালে তবেই সে রপ্ত করতে পারছে। এই নিয়ে ঘাবড়ানোর কিন্তু কিচ্ছুটি নেই!আপনার সাহায্য়েই আজ আপনার বাচ্চার বর্ণমালা শেখার কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। যাতে তার বর্ণমালা শেখার পথচলা হবে আরও বেশি সহজ আর আনন্দের।
প্রাক-প্রাথমিক বা কিন্টারগার্ডেন স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুর যে বিষয়গুলি জেনে রাখা প্রয়োজন সেগুলি হলো-
#1. গান বা ছড়া কেটে (Sing Songs)
মজায় মজায় বর্ণ শেখার অন্যতম উপায় হলো গানের মাধ্যমে শিক্ষণ প্রক্রিয়া। বর্ণমালা নিয়ে বাঁধা গান বা ছড়াটি বাচ্চাকে শোনাতে থাকুন আপনি। এভাবে একটা সময়ে বাচ্চা নিজেই সেটা রপ্ত করে নেবে!
#2. বর্ণমালার বইয়ের মাধ্যমে (Read Alphabet Books)
চেষ্টা করুন বাচ্চার বইগুলো তার সামনে বার বার পড়তে। এতে সে আপনার মুখে অক্ষরের পুনরাবৃত্তি শুনে তা আয়ত্ব করতে পারবে খুব সহজেই। কারণ শিশুর একটি সাধারণ প্রবৃত্তি হলো অনুকরণ।
#3.বর্ণ লেখা শিখি ছন্দে ছন্দে (Alphabet Printables)
শিশুর বর্ণ লেখার দক্ষতা অর্জনে ছন্দেরই প্রয়োগ করতে হবে আমাদের। ছন্দ আর নির্দেশনার মাধ্যমে কীভাবে বর্ণ লেখা শুরু করা যায়, তারই খুঁটিনাটি দেওয়া বই খোঁজাখুঁজি করলেই পেয়ে যাবেন বাজারে!
সর্বোপরি শিশুর সরল মনে চাপ পড়ে, এমন কোনও প্রক্রিয়াই যেন আমরা অবলম্বন না করি সেদিকে নজর রাখতে হবে।
#4. বর্ণ ধাঁধা (Alphabet Puzzles)
এখানে বর্ণগুলো শক্ত কাগজ বা কাঠে বানানো হতে হবে আর তার গায়ে আঁকা থাকবে সেই অক্ষরের একটি ছবি! যাতে করে বর্ণ শেখার সাথে সাথে আপনার সন্তানের শব্দভান্ডারও বৃদ্ধি পায়।
#5. স্যান্ডপেপারস-এর সাহায্যে (Sandpaper Letters)
এক্ষেত্রে একই সাথে তিনটি জিনিস শিখতে পারে আপনার শিশু- অক্ষরের আকার, লেখার নিয়ম এবং উচ্চারণের নিয়ম! স্যান্ডপেপার আর কিছুই নয়, কাগজে বা কাঠের ফ্রেমে নকশা করা অক্ষর!