সঠিক পুষ্টি, মানসিক শান্তি আর একটানা ঘুম। আমরা হয়তো সকলেই জানি এই তিনটে জিনিস বাচ্চাদের বিকাশে কতটা সহায়তা করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঠিক কী কী খাবারে কোনও শিশুর প্রাথমিক বছরগুলিতে তার মস্তিষ্কের এই বিকাশ আরও চটজলদি হয়? দেখে নেওয়া যাক একনজরে।(5 types of food that helps in your baby’s brain development)
#1.ওটমিল (Oatmeal)স্মৃতিশক্তি বাড়ানো এবং সঠিক বুদ্ধির বিকাশে ওটমিলের কোনও জুরিই নেই। সকাল সকাল বাচ্চাকে যদি জলখাবারটা পুষ্টিসমৃদ্ধ দিতে চান, তা হলে ওটমিলই খাওয়ানো অভ্য়েস করুন ওকে। কার্বোহাইড্রেটের মিশ্রণ দিনভর শক্তি জোগায় শরীরে। বাচ্চা থাকে চনমনে। তবে হ্য়াঁ এতে মিষ্টি মেশানোর বিষয়ে সচেতন থাকবেন। কেননা বাজারচলতি বেশিরভাগ ওটমিলেই পরিমাণমতো নুন-চিনি থাকে। আট-দু’বছরের বাচ্চাকে দিনপ্রতি এক বাটি করে ওটমিল দিন। দুই-তিন বছরের জন্য় বরাদ্দ করুন প্রতি দিনে দেড় বাটি।
#2.ডিম (Egg)কথাতেই আছে ‘রোজ খাও আন্ডে’। শুধু খাবেন না, খাওয়াবেনও। বাচ্চার খাবারে ডিমের উপযোগিতার কোনও তুলনা হয় না। অ্য়ালার্জি এড়াতে শুরু শুরুতে, ডিমের সাদা অংশ না দেওয়াই ভালো। বারো মাস অবধি শিশুকে ডিমের কুসুম দিন। কুসুম খুবই পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য়ও। ডিমের কুসুমে কোলেস্টরল থাকে, মস্তিষ্কের বাইরের কোষ গঠনে যা সাহায্য় করে। এরই সঙ্গে ফ্য়াট-সমৃদ্ধ ভিটামিন পাশাপাশি কোলাইন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি-১২ থাকে, যা কি না শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য় করে। আট মাস- দুই বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে দিনে একটা করে ডিম দিন। তার পরে তিন বছর পর্যন্ত দেড়খানাও খাওয়াতে পারেন।
#3 বাদাম (Nuts)পুষ্টিকর ফ্য়াট, প্রোটিন আর ভিটামিনের অন্য়তম উৎস হল বাদাম। সে আপনি চিনে বাদামই খাওয়ান কিংবা কাজু কিংবা অ্য়ামন্ড। বাচ্চার খাবারেই বাদামের পেস্ট মিশিয়ে দিতে পারেন। ব্রেনের কোষ (মেমব্রেন) ক্ষয়ের থেকে রক্ষা করে বাদাম। মার্কিন এক সমীক্ষা বলছে, পুষ্টির খাতিরে ছয় মাসের বাচ্চার খাবারেও বাদাম মেলাতে পারেন আপনি। সাধারণত এক-দুই বছরের বাচ্চার জন্য় আধ-টেবিল চামচ বাদামগুঁড়ো খাবারে মেশান। দুই-তিনের জন্য় গোটা এক টেবিল চামচ দিতে পারেন।
#4. রাজমা (Kidney beans)ব্রেনের কার্যকারিতা এবং বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে রাজমা। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেটের সংমিশ্রণ বাচ্চার জন্য় খুবই উপকারি। বুদ্ধির বিকাশের পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা রয়েছে। এক-দুই বছরের বাচ্চাকে (৬০-৮০ গ্রাম) চার টেবল চামচ করে দিনে একবার খাওয়ান। দুই বছর-তিন বছরের জন্য় (৯০-১০০ গ্রাম) বরাদ্দ করুন ৬ টেবল চামচ দিনে একবার।
#5. দই (Curd)বাচ্চার পুষ্টিতে দইয়ের উপকারিতা সকলেই জানেন। দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন আর পুষ্টিকর ফ্য়াট। বাচ্চার খাবারে এমনই পুষ্টিকর ফ্য়াটের অধিক জোগান মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য় করে। বিশেষত দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম ব্রেনের টিস্যুর বৃদ্ধিতে সাহায্য় করে এবং এর কার্যকারিতা উন্নত করে। ভিটামিন বি-এর উৎস দই ছয় মাস থেকে দুই বছরের বাচ্চার জন্য ছোট কাপে দিনে একবার করে দিন। তিন বছরের উপরে দেড় কাপও দেওয়া যেতে পারে।