বছর দেড়েকের বাচ্চার রোজের মেনু সাজানোর সহজ-মজার হরেক পদ!

বছর দেড়েকের বাচ্চার রোজের মেনু সাজানোর সহজ-মজার হরেক পদ!

হামা দেওয়া চলছে জোরকদমে, এদিক-ওদিক খামচে উঠে দাঁড়িয়েও পড়েছে কেউ কেউ, আবার কেউ উৎসাহের আতিশয্যে হেঁটে বেড়াচ্ছে সারা বাড়ি। ঠিকই বুঝেছেন, আপনার ছোট্ট কন্যারত্ন/পুত্ররত্নকে নিয়েই কথা বলছি আমরা। (18 Months Old Baby Food Chart Along with Recipes)

দেখতে দেখতে ১৮ মাসের হয়ে পড়েছে আপনার ছোট্ট সোনা। কাজে-কর্মে, চালচলনে বা ভঙ্গিমায় এসেছে বহু পরিবর্তন। ছোট্ট মানুষ বড় হওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তরতরিয়ে। বয়সের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে ওর খাবারের মেনু (Sisur Kahabar) আর মুখের স্বাদও। তৈরি হচ্ছে খাবার নিয়ে নানান বায়নাক্কাও।

৬ মাস থেকে শুরু করেছি, নির্দিষ্ট সময় পরপর ধাপে ধাপে বয়স অনুযায়ী বাচ্চার খাবার ও ফুড চার্ট নিয়ে প্রতিবেদন সাজিয়ে দিচ্ছি আমরা। আজ পালা আপনার ১৮ মাসের সন্তানটির খাবার নিয়ে আলোচনা করার।

বেশ কিছু নতুন খাবার ঢুকবে ওর খাদ্যতালিকায়। বদল আসবে খাবার তৈরির পদ্ধতিতেও। নতুন কী কী খেতে পারবে সোনা? ((Indian Baby Food Chart for 18 Months Baby)) কীভাবে রান্না করলে খাবারের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে ওর, সবকিছু নিয়েই কথায় ও ছবিতে সাজিয়ে দিলাম প্রতিবেদন।
আগে যে সমস্ত রেসিপি দিয়েছি, সেগুলোর সাথে কিছু উপাদান ঢুকিয়ে বা পরিমাণ বাড়িয়ে খাওয়াতে পারেন অবশ্যই, তবে এই খাবারগুলোও খাওয়াতে ভুলবেন না যেন। ১৮ মাসের বাচ্চার জন্য আমিষ-নিরামিষ নানান পদ (Sisur Khabar Recipe), ঝালিয়ে নিন এখনই।

 

১৮ মাসের বাচ্চাকে কী কী খাবার দেওয়া যায়? (Foods for 18 Months Old Baby)

  • সমস্ত রকম ফল, বিশেষ করে সব মরসুমি ফল বাচ্চাকে দিন। মৌসাম্বি লেবুর রস, বেদানার রস, তরমুজের রস নিয়মিত খাওয়ান বাচ্চাকে। তবে কোনও ছোট ফল যেমন গোটা বেদানা, আঙুর, ছোট লিচু বা খেজুর বাচ্চাকে গোটা দেবেন না; গলায় আটকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বীজ ছাড়িয়ে ছোট টুকরোয় কেটে দিন।
  • ডালের মধ্যে মুগ ডাল, মুসুরির ডাল সেদ্ধ বা ডালের জল বাচ্চাকে খাওয়ান।
  • সবজির মধ্যে মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়ো, আলু, গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ব্রকলি, কুমড়ো ইত্যাদি সব সবজি খাবে বাচ্চা।
  • রাগি, বার্লি, সাবু, ওটসের নরম পদ, ভাত, সাবু, আটার পাতলা রুটি রাখুন বাচ্চার রোজের খাদ্যতালিকায়।
  • এবার বাচ্চা খেতে পারবে ডিমের সাদা অংশও। অর্থাৎ গোটা ডিমই খাবে আপনার সোনা। মাছের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দিন পমফ্রেটের সাথে। শিং, মাগুর, কাতলা তো আগে থেকেই খাচ্ছে।
  • মুরগির মাংসের পাতলা স্যুপ তো বাচ্চা খাচ্ছেই, এবার ওকে মাংসের টুকরো দিতেও শুরু করুন নিশ্চিন্তে।
  • বাচ্চার খাবারে নুন, চিনি মেশাতে পারেন এখন থেকে। তবে খুব বেশি মিষ্টি বা চিনি খাওয়ানোর অভ্যেস তৈরি করবেন না।
  • মধু দিতে পারেন বাচ্চাকে ১ বছরের পর থেকেই। তা সেটা কোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে হোক বা টোটকা বানাতে। ইচ্ছে আপনার।
  • ১৮ মাস বয়স হয়ে গেলে বাচ্চা খেতে পারবে গোরুর দুধও। এক্ষেত্রে হোল মিল্কই খাওয়াবেন কারণ এই দুধের ফ্যাট বাড়ন্ত বাচ্চার সার্বিক বিকাশে খুবই প্রয়োজনীয়।

 

১৮ মাসের বাচ্চাকে দিনে কখন সলিড ফুড খাওয়াবেন?
(18 Months Baby Food Chart with Time)

দিনে দু’বার ভারী খাবার খাওয়ান আর ২-৩বার টুকটাক খাবার বা টিফিন। প্রয়োজন অনুসারে দিন বুকের দুধ/ফরমুলা/ বাড়িতে তৈরি সেরেল্যাক/ গোরুর দুধ (Homemade Baby Food Recipes)। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে নীচে একটি ফুড চার্ট দিয়ে দিলাম।

food chart for 18 months old

 

১৮ মাসের বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর কিছু রেসিপি (Homemade Baby Food Recipes for 18 Months Baby)

#1. আলু-ডিমসেদ্ধ, পোস্ত বাটা: এই ধরনের প্রত্যেকটা প্রতিবেদন আমরা খুব সাধারণ, সুস্বাদু অথচ পুষ্টিকর কোনও রেসিপি দিয়ে শুরু করে থাকি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
মাঝে মাঝে দুপুরে বা রাতে বাচ্চার জন্য রাখতেই পারেন এই মেনুটি।

  • আলু এবং ডিম সেদ্ধ করে নিন।
  • প্যানে সরষের তেল গরম করে গোটা জিরে ও অল্প পেঁয়াজ ভেজে নিন। দিয়ে দিন স্বাদমতো নুন।
  • এবার আলু ও ডিম সেদ্ধ, জিরে-পেঁয়াজ ভাজা ও অল্প গোলমরিচ ভালো করে চটকে একসাথে মাখুন।
  • ভাত, ডাল আর এই আলু-ডিম মাখা সাজিয়ে দিন বাচ্চার দুপুরের পাতে। পাশে থাকুক তেল-নুন দিয়ে মাখা নরম পোস্ত বাটা।

ছানা যখন ১৮ মাসের হয়ে গেছে, ও মহানন্দে খেতে পারে ডিমের সাদা। তাই শুধু সেদ্ধ দেবেন কেন, স্বাদ বদলাতে বানিয়ে দিন ডিমের অন্য পদও। ডিমের ঝোল তো প্রায়দিনই করেন বাড়িতে, আমরা একটা অন্য রেসিপি দিলাম->

#2. ছানা-রুটি: এই খাবারটিও আমাদের ঘরে ঘরে বড্ড পরিচিত। পাতলা একখানি রুটি হোক বা রুটির ফুলকার অংশ, ছানা দিয়ে দারুণ খাবে পুঁচকেটি। নিজেরা যেমন গমের আটার রুটি খান, সেই রুটিই খাবে বাচ্চা। শুধু একটু পাতলা আর গুনতিতে কম।

  • ছানা কাটানোর জন্য দুধ গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলেই গ্যাসের আঁচ কমিয়ে দিন।
  • এবার অল্প অল্প পাতিলেবুর রস মিলিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ছানা কাটাতে পাতিলেবু ছাড়াও ভিনিগার বা আগের ছানা কাটানো জলও ব্যবহার করতে পারেন।
    গ্যাস অফ করে দিন।
  • ছানা কেটে গেলে মসলিন কাপড় বা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে সেটা ছেঁকে নিয়ে দু-তিনবার ঠান্ডা জল দিয়ে ছানাটা ধুয়ে নিন।
  • এবার যে কাপড়ে ছানা ছেঁকেছেন, সেটা চেপে বেঁধে ঘণ্টাখানেক ঝুলিয়ে রাখুন। এতে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাবে।
  • চিনি মাখিয়ে বাচ্চাকে ছানা খাওয়ান।
  • ছানাতে অতিরিক্ত স্বাদ আনতে অনেকে এলাচগুঁড়ো, ভ্যানিলা এসেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করেন। আপনার ইচ্ছেমতো আপনিও ছানার মিষ্টি বানিয়ে নিতে পারেন।

গোরুর দুধ দিয়ে ছানা তো বানিয়েই ফেললেন। এবার না হয় দুধ দিয়েই আরেকটি মজাদার রেসিপি থাক সোনার জন্য->

badam milk benefits in Bengali

#3. বাচ্চা স্পেশ্যাল বিরিয়ানি/ মাংসের খিচুড়ি: না না, নাম শুনে ঘাবড়ে যাবেন না। এই রেসিপিটা খেতে এতই সুস্বাদু যে বিরিয়ানি নাম দিয়ে বাচ্চার মন ও পেট দুইই ভরিয়ে দিতে পারেন আপনি।

কী কী লাগবে?

  • পোলাও-এর চাল/ বাসমতী চাল
  • মুগ ডাল ১ কাপ
  • পেঁয়াজ কুচনো
  • আদা ও রসুন বাটা
  • টম্যাটো কুচি
  • জিরে, ধনে, হলুদ গুঁড়ো
  • নুন প্রয়োজনমতো
  • হাড় সহ মুরগির মাংস
  • অল্প তেল (ভেজিটেবল অয়েল বা ঘানির খাঁটি সরষের তেল)
  • খাঁটি ঘি

কীভাবে বানাবেন?

  • মাংস ধুয়ে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে আধঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন।
  • কুকারে অল্প তেল নিয়ে গরম করুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।
  • পেঁয়াজ গুলো ভাজা ভাজা হয়ে এলে ওতে আদা রসুনের পেস্ট দিন।
  • মাংসের টুকরো গুলো দিয়ে দিন।
  • এক চিমটে নুন দিন ও অল্প হলুদগুঁড়ো দিন।
  • জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং টম্যাটো কুচি দিয়ে ঢাকা দিয়ে মাংসটা একটু কষিয়ে নিন।
  • মুরগির মাংস থেকে জল বেরনো শুরু হলে আরও একটু কষে নিন।
  • ধুয়ে রাখা ডাল ও চাল দিয়ে দিন।
  • পরিমাণমতো জল দিয়ে কুকারের ঢাকা বন্ধ করে দিন।
  • চারটে সিটি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • গ্যাস বন্ধ করে দিন।
  • তড়কার জন্য একটা ছোট্ট পাত্রে খাঁটি ঘি গরম করুন। ওতে গোটা জিরে ও একটা শুকনো লঙ্কা ফোড়ন হিসেবে দিন।
  • কুকারের ভাপ খুলে গেলে এই তড়কা মাংসের খিচুড়ির ওপর ঢেলে দিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। (18 Months Old Baby Food Chart Along with Recipes)

 

#4. দই-চিঁড়ে-কলা: নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এই খাবারে উপকরণের বাহার না থাকলেও পুষ্টির কোনও খামতি হবে না। বাচ্চার অতি প্রিয় নরম খাবারের মধ্যে একটি হল এই দই-চিঁড়ে দিয়ে কলা মাখা।

  • পাতলা চিঁড়ে ধুয়ে জলে একটু ভিজিয়ে রেখে দিন।
  • বাড়িতে পাতা দই, অল্প চিনি বা গুড় বা তালের চিনি আর কলা; চিঁড়ের সাথে মিশিয়ে মেখে দিন। ব্যস তৈরি বাচ্চার সহজ খাবার।
  • আপনি চাইলে অন্য যে কোনও ফল দিতে পারেন এর মধ্যে। মেখে দিতে পারেন আমও। তবে বাচ্চা চিবোতে না পারলে বেদানা বা ছোট গোটা ফল দেবেন না। গলায় লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এরকমই একটি মিষ্টি ফল মেলানো রেসিপি হল ফলের কাসটারড। রেসিপি দিলাম ছবিতে->

#5. সুজির উপমা:

কী কী লাগবে?

  • সুজি।
  • পেঁয়াজ ১টা কুচিয়ে কাটা।
  • কাঁচা লঙ্কা ১টা মাঝ বরাবর কাটা।
  • আদা ১ ইঞ্চি।
  • গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, মটরশুঁটি।
  • কারি পাতা ৮-১০ টা।
  • গোটা সরিষা অল্প।
  • নুন, চিনি প্রয়োজনমতো।
  • ভেজিটেবিল অয়েল ১ চা-চামচ।
  • ঘি।

কীভাবে বানাবেন?

  • প্রথমে একটি ননস্টিক প্যানে সুজি ভালো করে রোস্ট করে নিন। সুজি হালকা সোনালি রঙের হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
  • এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে গোটা সরিষা ও কারিপাতা দিন।
  • এবার কুচনো পেঁয়াজ তেলে ছাড়ুন ও সামান্য ভেজে নিন।
  • পেঁয়াজ কিছুটা ভাজা ভাজা হয়ে এলে, গ্রেট করা আদাটা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে এবার কুচিয়ে কেটে রাখা সব সবজি ও লঙ্কা দিয়ে দিন।
  • ২-৩ মিনিট সমস্ত কিছু একটু রান্না করে স্বাদমতো নুন আর চিনি দিয়ে প্যানটা ঢাকা দিয়ে দিন। কোনও ভাবেই জল দিয়ে সবজি সেদ্ধ করবেন না। ঢাকা দিয়ে দিয়েই সেদ্ধ হবে।
  • সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হতে যতটুকু সময় নেবে, তার মধ্যে আপনি অন্য একটা পাত্রে জল গরম করে নিন।
  • সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে এবার সুজি, মটরশুঁটি ও গরম জলটা দিয়ে দিন। সুজির উপমা বানানোর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জলের পরিমাণ। জল বেশি হলে উপমা মণ্ড-র মতো হয়ে যাবে। কিন্তু
  • জলের পরিমাণ ঠিক থাকলে বেশ ঝুরঝুরেই থাকবে। জল দিয়ে সুজি সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আরেকটু রান্না করুন।
  • শেষে একটু ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম খেতে দিন।

ব্রেকফাস্ট হোক বা স্ন্যাক্স, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাবার দিলে বাচ্চার মনও ভালো থাকে আর খাবার নিয়ে বায়নাক্কাও কমে। রাগির এই রেসিপিগুলোও ট্রাই করতে ভুলবেন না সোনার খাতিরে ->

#6. রঙিন ডিম-সবজি: এই খাবারটি খুবই পুষ্টিকর। ব্রেকফাস্টে অনায়াসে দিতে পারেন বাচ্চাকে।
গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, আলু ইত্যাদি সবজি নিয়ে লম্বা লম্বা টুকরোয় কেটে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন।
প্যান গরম করে ওতে মাখন দিয়ে সেদ্ধ সবজিগুলো নাড়াচাড়া করুন। সামান্য নুন দিয়ে দিন।
এবার সবজিগুলো রান্না হয়ে গেলে একটা প্লেটে সবজিগুলো সাজিয়ে দিন।
একটা ডিম সেদ্ধ লম্বা লম্বা করে কেটে সবজির ওপর এদিক ওদিক করে সাজিয়ে দিন।
যদি মনে হয় ডিম হাতে ভেঙে বা গ্রেট করে দেবেন, তাও দিতে পারেন।
প্লেটটা কতটা রঙিন হবে বোধ করি বুঝতে পারছেন। বাচ্চা এমনিই খেয়ে নেবে (18 Maser Bachhar Khabar)।

 

আরও পড়ুন: পুষ্টিগুণে ভরা বার্লি থাক শিশুর পাতে। ঝালিয়ে নিন ৭ রেসিপি

 

সবুজ তরিতরকারি বা সবজির গুরুত্ব যে বাচ্চার সার্বিক বিকাশে কতখানি সহায়ক, সে কি আর আলাদা করে বলতে হয়? বাচ্চার পাতে সবজি রাখুন নানা ভাবে, নানা পদে। তরকারি, খিচুড়ি, বেকড ভেজিস এসব ছাড়াও কিন্তু দারুণ দারুণ স্যুপ বানানো যায় সবজি দিয়ে। মিলিয়ে নিন রেসিপি ->

#7. পম্ফ্রেটের পাঁচমেশালি:

কী কী লাগবে?

  • পম্ফ্রেটের মাঝারি একটি পিস
  • ফুলকপি
  • গাজর
  • মটরশুঁটি
  • পেঁয়াজ
  • আলু
  • টম্যাটো
  • বিনস
  • আদা বাটা
  • নুন
  • হলুদ গুঁড়ো
  • ভেজিটেবিল অয়েল

কীভাবে বানাবেন?

  • প্যানে তেল গরম করে টুকরো করে রাখা ফুলকপি, আলু, গাজর, বিনস ছেড়ে দিন।
  • ঢাকা দিয়ে দিয়ে আধসেদ্ধ করে সবজিগুলো ভেজে নিন।
  • সবজিগুলো তুলে নিয়ে মাছে নুন,হলুদ মাখিয়ে প্যানে ভেজে নিন। খুব কড়া ভাজা হবে না।
  • মাছ ভেজে তুলে নিন।
  • এবার পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হয়ে এলে অল্প আদা বাটা দিয়ে দিন।
  • মশলাটা একটু কষে এলে টম্যাটো কুচি আর মটরশুঁটিগুলো দিয়ে দিন।
  • আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন এবং আগে ভেজে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিন।
  • এবার গরম জল ও স্বাদমতো নুন, চিনি মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন।
  • সেদ্ধ হয়ে গেলে পম্ফ্রেট মাছটা দিয়ে আরও ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
  • ইচ্ছে হলে মাছটা ভাজার পরে কাঁটা আলাদা করে শুধু মাছটাও ঝোলে ফোটাতে পারেন।
  • ভাতের সাথে বা এমনিই বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।

 

বাচ্চার খাবারের পরিমাণ কতটা হবে?

যে কোনও নতুন সবজি, ফল বা খাবার প্রথমে কম পরিমাণ দিয়ে শুরু করুন। বাচ্চার শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াবেন। ডিম-মাছ-মাংস বা গোরুর দুধের ক্ষেত্রেও এক কথা প্রযোজ্য। বাচ্চার শরীর নতুন খাবার কীভাবে নিচ্ছে সেটা দেখে খাওয়ানোর সময় ও পরিমাণ ঠিক করুন (Bachhader Pustikor Khabar)। প্রয়োজনে ওর ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন।

 

 

কী কী বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবেন?

  • বাচ্চাকে একসাথে বা একদিনে ডিম-মাছ-মাংস অনেক রকম খাবার খাওয়াবেন না। নতুন কোনও আমিষ দিলে সেটা কম কম পরিমাণে অন্তত তিনদিন খাওয়ান।এই তিনদিন খাবার হজমে বাচ্চার কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • অনেকে বাচ্চার খাবারে সামান্য তেল ও জিরে/হলুদের মতো মশলা দিয়ে থাকেন। বাচ্চার জন্য সবকিছুই হবে পরিমাণে কম। এক-দুদিন দিয়ে দেখুন, বাচ্চার শরীরে কোনও অস্বস্তি হচ্ছে কি না। (18 Months Old Baby Food Chart Along with Recipes)
  • বাড়িতে তৈরি খাঁটি ঘি বা অরগানিক বাটার ব্যবহার করুন বাচ্চার খাবারে।

 

আরও পড়ুন: হরেক মাছের হরেক রেসিপি। তোমার বাচ্চার সার্বিক পুষ্টিতে বানাতে শুরু করো আজই!

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

 

null

null