প্রকৃতি প্রত্যেক ঋতুতেই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর সবজি-ফলমূলের সম্ভার নিয়ে আসে। শীতকালও তার ব্য়তিক্রম নয়। তাজা মরসুমি শাকসবজি বা ফলের সম্ভার এসময়ে থাকে অনেকটা বেশি। এই শীতকালেই অনেক বেশি এনার্জির প্রয়োজন হয় আপনার বাচ্চার। আবার অন্য ঋতুর তুলনায় নানাধরনের শারীরিক সমস্যা বা এলার্জিতেও বেশি ভুগতে পারে তারা।
প্রিয় মায়েরা, চিন্তার কোনও কারণ নেই। এখানে কিছু বিশেষ খাবার এবং রেসিপি নিয়ে আলোচনা করা হল, যা শীতকালে বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী। আপনার বাড়ির কাছের সুপারমার্কেটেই সমস্ত উপাদান পেয়ে যাবেন, আর আপনার বাচ্চাও একটা স্বাস্থ্য-ঝলমলে শীত কাটাতে পারবে।
কেন খাওয়াবেন (Why garlic): অ্যালিসিন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে, রসুনের থেকে খুব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেনট পাওয়া যায়, যা শরীরকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে; বিশেষত সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): বাড়ন্ত বাচ্চারা কাঁচা রসুন খেতে চায় না, কিন্তু রসুন দিয়ে সস বা ব্রেড বানিয়ে দিলে তারা সেটা সহজেই খেয়ে নেয়।
উপকরণ(Ingredients):
প্রণালী (Method):
কেন খাওয়াবেন (Why carrots): গাজর বিটা-ক্যারোটিনের অন্যতম উৎস। গাজর শুধু দৃষ্টিশক্তি ভালো করে তাই নয়, শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যাও বাড়ায়। এই শ্বেত রক্তকণিকা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): দেশি ঘি মেশানো মিষ্টি গাজরের হালুয়া খুবই মুখরোচক একটি খাবার। এছাড়াও বাচ্চাদের আপনি গাজরের স্যুপও দিতে পারেন।
উপকরণ (Ingredients):
প্রণালী (Method):
লক্ষণীয়: ১ বছরের বেশি বয়সি বাচ্চাকেই এভাবে বানিয়ে দেবেন।
কেন খাওয়াবেন (Why Dates): বাচ্চাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। মিষ্টি এবং সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি খেজুরের অনেক পুষ্টিগুণও আছে। খেজুর ভিটামিন এবং মিনারেলস যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। শীতকালে খেজুর শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): বাচ্চাদের খেজুর এমনিও খেতে দিতে পারেন বা স্মুদির সাথেও দিতে পারেন। লাড্ডুতে খেজুর দিন বা খেজুর সিরাপ বানিয়ে সেটা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করুন; বাচ্চারা আনন্দের সাথে খাবে।
উপকরণ (Ingredients):
প্রণালী (Method):
কেন খাওয়াবেন (Why oranges): কমলালেবু ভিটামিন সি এবং ফাইবারে ভরপুর। বাচ্চারা এটা খেতেও খুব পছন্দ করে। মরসুমি ফল হওয়ার কারণে কমলালেবু অ্যান্টিঅক্সিডেনটে পূর্ণ হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): আপনি যে কোনও জায়গায় কমলালেবু নিয়ে যেতে পারেন এবং বাচ্চা যখনই চায় তাকে খাওয়াতে পারেন। সকালবেলা কমলালেবুর রস খাওয়া খুবই উপকারী।
উপকরণ (Ingredients):
প্রণালী (Method):
কেন খাওয়াবেন (Why sweet potatoes): মিষ্টি আলু ভিটামিন এ এবং পটাসিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ। বাচ্চাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-এর পরিবর্তে মিষ্টি আলু দেওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): মিষ্টি আলুর ভর্তা ম্যাকারনি বা মিষ্টি পুডিং তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন। মিষ্টি আলু বেক করেও আপনি বাচ্চাকে দিতে পারেন।
উপকরণ (Ingredients):
প্রণালী (Method):
কেন খাওয়াবেন ( Why pomegranate): অ্যান্টিঅক্সিডেনটের অন্যতম উৎস এই বেদানা। বেদানার রস খেলে বাচ্চাদের কৃমি হওয়াও কমে যায়।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): বেদানার রস নিজেই এতো মিষ্টি হয়, যে বাচ্চারা কেন, কেউই এটা খাবো না বলতে পারে না। আপনি বাচ্চার জন্য বেদানা আর শসা দিয়ে সালসাও বানিয়ে নিতে পারেন।
উপকরণ (Ingredients):
প্রণালী (Method):
কেন খাওয়াবেন (Why amla): ভিটামিন সি-তে ভরপুর, আমলা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেনটের জোগান দেয়। এর ফলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe) তাজা আমলার রস করে সামান্য নুন ও মশলা মিশিয়ে সুস্বাদু অথচ পুষ্টিকর পানীয় বানানো যায়।
উপকরণ (Ingredients):
প্রণালী (Method):
কেন খাওয়াবেন (Why Beetroot): অ্যান্টিঅক্সিডেনট, ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম এবং ফোলেটস প্রচুর পরিমাণে থাকে এই বিটে। বাচ্চা মিষ্টি খেতে চাইলে, চিনি না দিয়ে বাচ্চাকে বিট খেতে দিন।
প্রস্তাবিত রেসিপি (Suggested Recipe): বিট দিয়ে স্যালাড বানান, জ্যুস বা রাইতা বানান। বাচ্চারা বিটের রাইতার রং খুব পছন্দ করে এবং খেতেও আগ্রহ দেখায়।
উপকরণঃ (Ingredients)-
প্রণালী: (Method)
শীতকালে বিশেষ কোন খাবার আপনি বাড়িতে বানাতে ভালবাসেন? এই রেসিপিগুলোর একটাও কি বানিয়ে দেখেছেন? কেমন লাগলো আপনার বাচ্চার? নীচে আমাদের জানান ।
একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।
null
null