সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকেই মায়ের চিন্তার যেন আর শেষ নেই। বাচ্চার বাড়- বৃদ্ধি ঠিকঠাক হচ্ছে তো, প্রয়োজনীয় পুষ্টি সে পাচ্ছে তো? এরকম হাজারো চিন্তায় মায়ের রাতের ঘুমই যেন উধাও হয়ে যাচ্ছে। ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাদের যেহেতু বুকের দুধই একমাত্র সুষম খাবার, তাই এই কয়েকমাস হয়তো খাবার বা খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে মাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু যেই বাচ্চা বড় হতে শুরু করে বা তার জিভের স্বাদ বদলানোর নিত্যনতুন খেয়াল শুরু হয়, অনেক মায়েরাই বিব্রত হয়ে পড়েন। কী ধরনের খাবার বাচ্চাকে দিলে তার বাড়ন্ত বয়সের পুষ্টি সম্পূর্ণ হবে বা তার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হবে, এই চিন্তায় গালে হাত পড়ে মায়েদের। এখানে একটা কথা বলি, সুষম খাবারের ধারণাটা ঠিক কী বা কোন খাবারের প্রয়োজন কোথায়, এই ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলো একটু জেনে রাখলে অহেতুক চিন্তা করে বলিরেখা বাড়াতে হবে না আপনাকে।
#1. প্রোটিন (Protein)
প্রোটিনই বাচ্চার শরীরে কোষ গঠনে সহায়তা করে। খাবারের গঠন ভেঙে তাকে এনার্জির রূপ দেয়। সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, সেই সাথে অক্সিজেনও বহন করে। আপনার বাচ্চা রোজ প্রোটিন খাচ্ছে তো?
#2. আয়রন (Iron)
বাচ্চার শরীরে রক্তাল্পতার আশঙ্কা কমাতে আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার অবশ্য রাখুন ওর খাদ্য তালিকায়। বিনস, বাদাম, মেটে, মাছ, নানা খাদ্য শস্য আজ থেকেই দিন ওকে। অ্যানিমিয়া ধারেকাছেও আসবে না।
#3. ভিটামিন- ডি (Vitamin D)
বাচ্চার হাড়ের গঠনে ভিটামিন-ডি’র ভূমিকা অপরিসীম। শুধু টাটকা রোদই না, রোজের খাবারেও ভিটামিন-ডি পেতে পারে আপনার বাচ্চা। মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম নিত্য খাওয়ান ওকে।
#4. ক্য়ালসিয়াম (Calcium)
হাড়ের সাথে দাঁতের গঠন, দুইয়েরই খেয়াল রাখে ক্য়ালসিয়াম। সেই সাথে রক্ত চলাচল ও হৃদযন্ত্রের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। ক্য়ালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাচ্ছে তো আপনার বাচ্চা?
#5. ওমেগা থ্রি (Omega-3s)
বাচ্চার সার্বিক বিকাশে ওমেগা থ্রি’র অবদান অস্বীকার করা অসম্ভব। এর থেকেই প্রয়োজনীয় ডিএইচএ শোষণ করে বাচ্চার বাড়ন্ত শরীর। ওর খাবার তালিকায় তাই রাখুন অবশ্য সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল!