খেলায় খেলায় শেখা! জেনে নিন, শিশুর শিক্ষায় খেলা ও খেলনার গুরুত্ব ঠিক কতখানি?

খেলায় খেলায় শেখা! জেনে নিন, শিশুর শিক্ষায় খেলা ও খেলনার গুরুত্ব ঠিক কতখানি?

সবে সোজা হয়ে বসতে শিখেছে গুড়গুড়ে বাচ্চাটি। চারদিকে বালিশের সাপোর্ট দিয়ে, অনেকগুলো খেলনা সাজিয়ে ছোট্টটাকে বসিয়ে দেয় মা। অমনি কী আনন্দ তার! কথা বলা পুতুল, হাততালি দেওয়া বানরছানা, কুতকুতে চোখের ইয়াব্বড় এক টেডি বিয়ার, সুর করে ছুটে চলা রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি, কী নেই খুদেটার খেলনার রাজত্বে? (Benefits of Educational Toys and Play)

মাসি-পিসি-কাকু-দিদা যে যখনই আসে, হাতে করে নতুন নতুন খেলনা আনতে ভোলে না। খেলনার সংখ্যা একটু একটু করে বাড়ে, আর বাচ্চাটির মনে বাড়তে থাকে নেড়ে-ঘেঁটে-ভেঙে (Shishu Shikkha) দেখার কৌতূহল!

সত্যি, যে বাড়িতে বাচ্চা আছে, সেই বাড়িতে খেলনা নেই এমনটা কোনও দিন হতে পারে না। হতে পারে খেলনার রকমসকম, দাম, নাম এবং বিশেষত্ব আলাদা আলাদা, কিন্তু তার পরিচয় একটাই, সে শিশুমনের সবথেকে প্রিয় সঙ্গী।

বলুন তো, আপনার কাছে খেলনার গুরুত্ব কী? খেলনা কি শুধুই একরত্তিগুলোর একচেটিয়া উপহার বা বাচ্চাকে ব্যস্ত রাখার একটা কৌশলমাত্র? নাকি বাচ্চা সামলে রান্নাঘরে কাজ গোটানোর একমাত্র হাতিয়ার?

বিশেষজ্ঞদের দাবি কিন্তু অনেকটাই অন্যরকম। বাচ্চা ভোলানো খেলনাই কিন্তু শিশু-শিক্ষার ভিত তৈরি করে। (Educational Toys for Kids) বাচ্চার মেধা এবং মনন প্রখর করতে সাহায্য করে। বাচ্চার সামগ্রিক বিকাশ এই খেলনা ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না কিছুতেই।

বাচ্চার জন্য খেলনা নেওয়ার আগে, একটু যাচাই করে এবং মাথা খাটিয়ে খেলনা কিনলে, শিশু সত্যিই খেলতে খেলতে জ্ঞান অর্জন করে, বাইরের পরিবেশের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত হয়ে যায় এবং তার বিচারবুদ্ধিরও বিকাশ ঘটে। বাচ্চার শিক্ষায় তাই খেলনা বড্ড গুরুত্বপূর্ণ। (How Do Educational Toys Benefit A Child?) খেলনা নিয়ে খেলতে খেলতে কীভাবে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে শিশুর, কীভাবেই বা তৈরি হয় আগামীর বোধশক্তি, দেখে নিন একনজরে।

 

 

খেলনা নিয়ে খেলার গুরুত্ব
(Educational Benefits of Children’s Toys)

একদম বাচ্চা বয়স থেকেই নানা ধরনের খেলনা শিশুমনে আগ্রহ এবং কৌতূহলের সৃষ্টি করে। নতুন নতুন জিনিস নেড়ে ঘেঁটে দেখার আনন্দই যে আলাদা একটা বাচ্চার কাছে। (Why are Toys Important in Childhood Development?) তাই শুধু সময় কাটানো বা আনন্দ দেওয়া নয়, বাচ্চার প্রথম শিক্ষার পাঠ শুরু করে এই রংবাহারি খেলনারাই। সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করলাম কয়েকটা পয়েন্টের মাধ্যমে।

#1. শিশুর কল্পনাশক্তি বাড়ায়: ছোট্ট ছোট্ট রঙিন ব্লক বা পাজল জাতীয় খেলনা দিয়ে, শিশু মনের মাধুরী মিশিয়ে বাচ্চা কিছু অর্থপূর্ণ বানাতে চেষ্টা করে। যাই বানাক সে, তার মধ্যেই থাকে রং মেলানোর চিন্তা-ভাবনা বা গঠনমূলক কল্পনাশক্তি। নিজের কল্পনা এবং সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে সে তৈরি করে নানা ধরনের আকার, চেষ্টা করে বাড়ি, গাড়ি বা নতুন খেলনা বানানোর। আর এই চেষ্টার মধ্যে দিয়েই বাড়তে থাকে বাচ্চার বোধ-বুদ্ধি ও কল্পনাশক্তি।

 

#2. বাস্তব জীবনের নিয়ম-কানুনে সড়গড় করে তোলে: একটা পুতুলকে খাইয়ে দেওয়া বা তার সাথে কথা বলা, বা ধরুন খেলনা খুন্তি কড়াই নিয়ে রান্না করা। (Types of Educational Toys) এই ধরনের বাস্তববোধ গড়ে ওঠে খেলনা নিয়ে খেলতে খেলতেই। বাচ্চার মা যেভাবে তাকে খাওয়ায় বা সাজায়, রান্না করে, বাজার করে, বাচ্চা সেই কাজগুলো খেলনা পুতুলের ওপর প্রয়োগ করে, তার সাথে কথা বলে আগডুম-বাগডুম। যত্ন-আত্তি বোধ, সাবলীলভাবে বাক্য গঠন বা পুতুলকে জীবনের পাঠ দিতে গিয়ে নিজেই বড্ড বুঝদার হয়ে ওঠে খুদেটা।

 

#3. শিশুকে সামাজিক করে তোলে: বাচ্চা যদি মা-বাবার সাথে বা ভাইবোনের সাথে খেলনা নিয়ে খেলে, তা হলে সে হিংসে শেখে না। নিজের জিনিস ভাগ করে নিতে শেখে সে খেলনা ভাগের মাধ্যমেই। তাতে সে গাড়িই চালাক আর পুতুল নাচাক, সবার সাথে খেললে বাচ্চা সামাজিক ও মিশুকে হয়। মন খুলে আনন্দ করতে শেখে (Toys for Child Development Stages)।

 

#4. বাচ্চার মোটর স্কিল উন্নত হয়: ছোট্ট ছোট্ট হাত, পা আর চোখ একসাথে কাজে লাগিয়ে খেলতে খেলতে উন্নত হয় শিশুর মোটর স্কিল। যেমন ধরুন, বাচ্চা নানা আকারের ব্লক দিয়ে একটা লম্বা টাওয়ার বানাচ্ছে। দুবার, তিনবার সব ভেঙে ভেঙে পড়ে গেল। তারপরে কিন্তু বাচ্চা নিজেই বুঝে নেবে কীভাবে সাজালে আর কার ওপর কাকে চাপালে তার টাওয়ার দাঁড়িয়ে থাকবে। আবার ধরুন, রিমোট ওয়ালা গাড়ি চালাতে গিয়ে ডানদিক, বাঁদিকের হিসেব, কোথায় গেলে গাড়ি ধাক্কা খাবে না বা উল্টে যাবে না; এসবকিছু বুঝে যায় বাচ্চাটি। (Benefits of Toys in Child Development) খেলতে খেলতেই জন্ম নেয় ডিসিশন মেকিং পাওয়ার বা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা। মোটর স্কিল বিকাশের মজার কিছু খেলনার হদিস থাকল সঙ্গের ছবিতে>

toys and child development in Bengali

#5. ধৈর্য এবং আগ্রহ বাড়ায়: একরত্তির মাথায় সারাক্ষণ ঘুরছে দুষ্টুবুদ্ধি। কী ফেলবো, কী ভাঙবো, কী ছড়াবো; এই চলে তার মাথায়। এক্ষেত্রে বাচ্চার ধৈর্য বাড়াতে বা মন শান্ত করতে কাজে আসতে পারে মিউজিক্যাল খেলনা। ছোট্ট একটা পিয়ানো নিয়ে হয়তো টুং-টাং করে সুর বাঁধতে বসবে আপনার ওস্তাদ ছানা।

 

#6. প্রবলেম সল্ভিং স্কিল উন্নত হয়: বাড়ন্ত বাচ্চাদের মধ্যে বা যারা প্রি স্কুলারস তাদের জন্য এই প্রবলেম সল্ভিং খেলনা কিন্তু পারফেক্ট। (Benefits of Educational Toys) এই বয়সের বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক খেলনা বা এডুকেশনাল টয় পাওয়া যায়, যেগুলো পড়াশোনার প্রাথমিক পাঠে ভীষণ সাহায্য করে। আর দুরন্ত বাচ্চার মধ্যে পড়াশোনা নিয়ে আগ্রহ তৈরিতে তো এইসব খেলনার জুড়ি নেই। নাম্বার ম্যাচিং খেলনা, সেপ বিল্ডিং ব্লকস বা নানারকম পাজল, বাড়ন্ত বাচ্চাদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। (Shishu Shikkha) রং মিলিয়ে, ছবি সাজাতে গিয়ে নীরস যোগ-বিয়োগের খেলাও বড্ড মজাদার হয়ে ওঠে।

 

আরও পড়ুন: খেলতে খেলতে বুদ্ধির বিকাশ


খেলনাপাতির রকমসকম
(Toys for Child Development Stages)

আপনার হয়তো মনে হল, বাচ্চার খেলনার আবার রকমসকম কী? বেশ ভালো মানের, রঙচঙে একটা খেলনা হলেই তো হয়! কিন্তু সেটা নয়, বাচ্চার সামগ্রিক বিকাশ যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়, তা হলে একটু যত্নবান হতেই হবে খেলনা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। (Types of Educational Toys) বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কী ধরনের খেলনা আদর্শ এবং তার গুরুত্বই বা কেমন, তারই একটা খসড়া দেওয়ার চেষ্টা করলাম নীচে।

 

#1. পুতুল: মানুষের চেহারার অনুকরণে তৈরি হয় বলে বাচ্চা হয়তো এই পুতুলের মধ্যেই প্রাণ খুঁজতে চেষ্টা করে। তার মাকে তাকে যেভাবে খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায় বা আদর করে, সবকিছুই পুতুলের ওপর ফলাতে চেষ্টা করে পুঁচকিটি।

 

#2. পাজল গেম: এই ধরনের খেলায় শিশুর বুদ্ধি বাড়ে, মোটর স্কিল উন্নত হয়, সৃজনশীলতা বাড়ে, বাড়ে চিন্তাশক্তি। ধৈর্য এবং একাগ্রতা বাড়াতেও সহায়ক এই পাজল জাতীয় গেম। (Educational Toys For Children)

 

#3. সফট টয়: না, তুলো ভরা গোলগাল সফট টয়-এর কথা এখানে বলিনি। যদি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান, তবে বাচ্চার জন্য সফট টয় কিনুন একটু ভাবনা চিন্তা করে।
ছোট্ট বাচ্চারা নানা রকম আওয়াজে সাড়া দিতে চায়। বাচ্চার জন্য কিনতে পারেন কথা বলা বা পশু-পাখির আওয়াজ করা সফট টয়। এতে বাচ্চা নানা ধরনের আওয়াজ শোনে বলে তার কৌতূহল বাড়ে। নানা রকম আকারও চেনাতে পারেন সফট টয় দিয়েই। আবার গোলগাল, মিষ্টি দেখতে খেলনাগুলো থেকেই বাচ্চার মনে জন্ম নেয় কাউকে স্নেহ করা, ভালোবাসার মতো বোধশক্তি (Learning Toys)।

 

#4. অ্যাকটিভিটি টয়: শুধু বসে বসে খেললেই তো হবে না। সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটু আধটু শরীর-চর্চাও ভীষণ প্রয়োজন। ইনডোর হোক বা আউটডোর; বাচ্চাদের জন্য বিশেষ কিছু অ্যাকটিভিটি টয় পাওয়া যায়, যেগুলো বাচ্চাকে শরীরের দিক থেকেও শক্ত সমর্থ করে তোলে।
ওকে এনে দিতে পারেন একটা দম দেওয়া ইঁদুর, যাকে ধরতে গিয়ে হামা দিতে দিতে হেঁটেই ফেলবে একদিন। বা একটু বড় হয়ে গেছে, তবে এনে দিন একটা নরম ফুটবল। ছোট্ট পায়ের পেশী ফুলিয়ে মারুক লাথি ময়দানে। এগুলো উদাহরণ দিলাম, আপনি চাইলে অন্য অনেক ধরনের মজাদার খেলনা আনতে পারেন। (Kids Educational Games & Learning Toys) তবে শিশুর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে খেলনা বাছবেন।

 

#5. কিডস কম্প্যুটার বা ডিজিটাল গেম: না, আপনার মোবাইলটা ধরে দিতে বলিনি বাচ্চার হাতে। মোবাইল বা ডিজিটাল গ্যাজেটের ওপর বাচ্চাদের ভীষণ আকর্ষণ থাকে।
তাই নামীদামি খেলনা কোম্পানিগুলিও বানাতে থাকে ওই মোবাইল বা কম্প্যুটারের রেপ্লিকা। শুধু বাচ্চার কথা মাথায় রেখেই। প্রি স্কুলারদের জন্য এই ধরনের খেলনা আদর্শ। ছবি ম্যাচ করা, অক্ষর সাজানো, রঙ মেলানো, মজার মজার যোগ-বিয়োগের খেলা বা নানা ধরনের মিউজিক তৈরি করা, সবকিছু এক্কেবারে হাতের মুঠোয়। (Educational Games for Kids)
হয়তো ডিজিটাল পিয়ানোতে সুর তুলে জন্ম নিল গানের ওপর ভক্তি বা ফুলের ছবি চিনতে গিয়ে শখ হল গাছ লাগানোর। উদাহরণ হিসেবে দিলেও, এই অভ্যাসগুলি যে কত ভালো, এ আপনি অস্বীকার করতে পারবেন কি?

 

 

বয়স অনুযায়ী খেলনার বাছ-বিচারে আমরা
(Age-by-Age Guide to Toys)

খুব স্বাভাবিক, বয়সভেদে বদলে যাবে বাচ্চার খেলনার ধরন-ধারণ। কিছু টিপস দিলাম আমরা, দোকানে যাওয়ার আগে একটু মিলিয়ে নিন দেখি!

#1. ১-১২ মাস বয়স: একদম ছোট্ট বাচ্চার ক্ষেত্রে যেহেতু আওয়াজ শোনা, কোনও কিছু দেখা বা স্পর্শ এই অনুভূতিগুলিই সবার আগে তৈরি হয়; তাই সেই রকম খেলনাই বেছে নিন আপনার সোনার জন্য। (Choosing Age-Appropriate Toys for Kids) দোলনার ওপরে লাগিয়ে দিতে পারেন টুংটাং আওয়াজ তোলা ঘুরন্ত ঝুমঝুমি, ঝুম ঝুম আওয়াজ তোলা হাতল-ঝুমঝুমি বা নিয়ে আসতে পারেন দম দেওয়া পুতুল। চোখ, কান এই দুই ইন্দ্রিয়ই বেশ সজাগ হতে শুরু করবে কিন্তু। আলো জ্বলা খেলনাও খুব জনপ্রিয় এই বয়সের বাচ্চা-দলের কাছে।
বাচ্চা বসতে শিখলে নিয়ে আসুন রঙিন পাজল, ব্লক বানানো গেম, রিমোট গাড়ি বা চাকা লাগানো কুকুর। যাদের নিয়ে ও হামা দেবে, হাঁটবে এবং বুদ্ধি লাগিয়ে সাজাবে।

 

#2. ১২-২৪ মাস: এখন বাচ্চা একটু বড় হয়ে গেছে। ওর জন্য নিয়ে আসুন খেলনা ঠেলা-গাড়ি, ছোট্ট চারচাকা সাইকেল, টগবগে খেলনা ঘোড়া। মোদ্দা কথা, যেসব খেলনায় বাচ্চার শরীরের ওপর ব্যালান্স বাড়বে এবং পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়বে, সেই ধরনের খেলনাই বাছুন। (Best Toys for Kids by Age) আনতে পারেন নাম্বার লেখা ম্যাট, ম্যাচিং গেম বা বিল্ডিং ব্লকস-এর মতো গেমও।

 

#3. ২ বছর ও তার বেশি: বাচ্চা আর কিছুদিন পরেই স্কুলে যাবে। বাচ্চাকে বুদ্ধিদীপ্ত এবং অ্যাকটিভ করে তুলতে ঘরে আনতে পারেন ছোট্ট ফুটবল, লাগিয়ে দিতে পারেন ছোট্ট বাস্কেটবল হুপ। তিনচাকা সাইকেলও দিব্যি ভালো হবে আপনার খুদের জন্য। (Smart Toys for Every Age)
স্যানড পেপার কিনে আনুন এবং বাচ্চার সাথে মজাদার খেলায় মেতে উঠুন। কিনে দিন রং, পেপার, ছবি আঁকার সরঞ্জাম। নানা রকম ছবির বইকেও বাচ্চার খেলনার আওতায় ফেলাই যায়। এগুলো তো কয়েকটা সাধারণ উদাহরণ রইল, বাজারে নামীদামি কোম্পানির তৈরি অনেক ধরনের উন্নত মানের খেলনা পাওয়া যায়, যা বাড়ন্ত বাচ্চার সার্বিক বিকাশে সহায়ক। খেলনার রাজ্যে অপশন অনেক, তবে আপনাকে বেছে নিতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে।

 

বাচ্চাকে সবসময় নজরে রাখুন। খেলনা বাচ্চার জন্য সুরক্ষিত কি না, সেটা বিচার করেই খেলনা কিনুন। খেলনা ভেঙে বা খেলনার কোনও অংশ বাচ্চার মুখে গিয়ে যাতে বিপদ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকুন। (How Do Educational Toys Benefit A Child?) যে কোনও রাইড জাতীয় খেলনায় বাচ্চাকে চাপালে নিজে পাশে থাকুন।

খেলতে খেলতে জীবনের পাঠ শিখিয়ে দিন বাচ্চাকে। যেমন, বাড়িতে সাইকেল চালানোর সময় মাথায় পরিয়ে দিন ছোট্ট একটা সাইকেল-হেলমেট। ভবিষ্যতে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শিশু সচেতন হয়ে উঠবে এভাবেই। শিশুকে খেলনা কিনে দিন ইচ্ছেমতো, তবে একটু বাছাই করে আর আগু-পিছু ভেবে। কোনও খেলনাতে যেন শিশু বেশি আকৃষ্ট না হয়, খেয়াল রাখুন সেদিকেও। (The Benefits of Educational Toys and Play)

 

আরও পড়ুন: শিশুর বিকাশে মাতৃভাষা

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

 

null

null