ছোট্ট ছানাকে কীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন? রইল সহজ গাইডলাইন!

ছোট্ট ছানাকে কীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন? রইল সহজ গাইডলাইন!

বাচ্চাকে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এটা জানা কথা, কিন্তু কীভাবে রাখতে হবে সেটা কি সব্বাই জানেন? বা জানলেও সাহস করে কীভাবে এগোবেন বুঝতে পারেন না। ওইটুকু বাচ্চার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গই যেন পোস্তদানার মতো খুদে। গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগবে এই ভয়ে নতুন বাবা হাত তুলে বসে আছেন। কিন্তু মাকে তো সাহস করে এগিয়ে আসতেই হবে। নতুন মায়েদের বার্তা আসে আমাদের কাছে, তারা বাচ্চাকে কীভাবে নেড়ে-ঘেঁটে পরিষ্কার করবেন বা রোজের হাইজিন মেনে চলবেন; এই ভয়েই অস্থির। আজকের প্রতিবেদন তাই ছোট্ট বাচ্চার দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতা নিয়েই। (Hygiene & Daily Care Checklist for Babies)

কীভাবে সহজেই বাচ্চাকে পরিষ্কার করতে পারবেন, কীভাবে সবটা করলে বাচ্চার আরামও হবে আবার ভবিষ্যতের রোগজ্বালার প্রকোপও কমবে (Useful Tips On Baby Hygiene); ধাপে ধাপে সাজিয়ে দিলাম সবটাই। ডায়াপার বদলানোর সঠিক পদ্ধতিও সাজিয়ে দিলাম ছবিতে। আশা করি, নতুন মায়েদের সাহায্য হবে খুব! (Hygiene & Daily Care Checklist for Babies, Child Hygiene Checklist)

 

#1. বাচ্চার চোখ পরিষ্কার করবেন কীভাবে? (How to Clean Your Baby’s Eyes)

  • একখানি পরিষ্কার এবং নরম পুরনো সুতির কাপড় বা ছোট্ট তুলো নিন।
  • ঈষদুষ্ণ গরম জলে ওই কাপড় বা তুলো ভিজিয়ে অতিরিক্ত জল নিংড়ে ফেলে দিন।
  • এবার দুই চোখের কোণা থেকে শুরু করে বাইরে পর্যন্ত খুব আস্তে করে মুছে দিন। চোখের ভিতরে যেন কাপড় বা তুলো দিয়ে ঘষা না যায়; সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • চোখের কোণে পিচুটি জমে গেলে সেটা খুঁটবেন না, আলতো করে তুলো দিয়েই বার করবেন।
  • দুই চোখের জন্য একটাই কাপড়ের টুকরো বা তুলো ব্যবহার করবেন না। একটা চোখ মোছানো হয়ে গেলে তুলো বদলে ফেলুন। আর কাপড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন অন্য দিক। (Newborn Hygiene Checklist)
  • আপনার আঙুল না নখ কোনও ভাবেই যেন বাচ্চার চোখে না লাগে, সে’দিকে বিশেষ যত্নশীল হোন।

 

#2. ছোট্ট বাচ্চার কান পরিষ্কার করবেন কীভাবে? (How to Clean Your Baby’s Ears)

চোখের মতোই খুব সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে ছোট্ট শিশুর কান।

  • ইয়ার বাডস যতই নরম হোক তা কখনই বাচ্চার কানের ভিতর ঢোকাবেন না। একই কথা তুলো এবং কাপড়ের ক্ষেত্রেও। কানের গর্তে যেন কিচ্ছুটি না ঢোকে।
  • নরম তুলো বা পরিষ্কার নরম কাপড় ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে অতিরিক্ত জল নিংড়ে ফেলে দিয়ে কানের লতির বাইরের অংশ এবং কানের বাইরের চারপাশ ও কানের পিছনদিকের অংশ আলতোহাতে মুছিয়ে দিন (Toddler Hygiene)। তেল বা সাবান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
  • কান পরিষ্কার করার সময়, অতি যত্ন করে মুছলেও যদি বাচ্চা কাঁদে তা হলে ওর কানে ইনফেকশন হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না।

 

#3. ছোট্ট নাকটি পরিষ্কার করবেন কীভাবে? (How to Keep Your Baby’s Nose Unclogged)

শুনতে একটু কঠিন লাগছে জানি, কিন্তু এটাও আপনাকে করতে হবে।

  • একটি একটি করে নাকের ফুটো পরিষ্কার করুন। নাকের মধ্যে জমে থাকা শুকনো মিউকাস বা শ্লেষ্মাই হোক বা প্রতিদিনের ময়লা; নিয়মিত পরিষ্কার না করলে বাচ্চার অসুবিধার কারণ হতে পারে।
  • একটা পাতলা তুলোর টুকরো নিয়ে রোল পাকিয়ে নিন। সামান্য নুন জলে বা স্যালাইন ওয়াটারে সেটা ভিজিয়ে নিন। অতিরিক্ত জল যেন না থাকে!
  • এবার নাকের ফুটোতে আস্তে করে ঢুকিয়ে নিজের সুবিধে ও বাচ্চার সুবিধে মাথায় রেখে আলতো করে পরিষ্কার করুন।
  • নাকের দুটি গর্তের জন্য দুটি আলাদা তুলোর রোল ব্যবহার করুন।
  • কাজটা একটু কঠিন হলেও অসাধ্য নয়। বাচ্চা ঘুমিয়ে গেলে কিন্তু এই কাজটি করতে যাবেন না। ঘুমের মাঝে নাকে তুলো ঢোকালে ওর নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসের ছন্দে ব্যঘাত ঘটতে পারে এবং ও ভয় পেয়ে তিড়কে উঠতে পারে।
  • জেগে থাকা অবস্থায় হয়তো একটু নাক চুলকে নেবে বা আপনার মুখেই ৩/৪ টে হাঁচি দিলো। তবুও জেগে থাকা অবস্থাতেই নাক পরিষ্কার করুন।

 

#4. বাচ্চার মুখ পরিষ্কার করবেন কীভাবে?

স্নান করার সময়ে তো মুখ ধুইয়ে দিচ্ছেনই, বাচ্চা একটু বড় হয়ে গেলে ঘুম থেকে ওঠার পর আর বিকেলেও একটু মুখ মুছিয়ে দিন। নরম কাপড় ভিজিয়েও করতে পারেন আবার ব্যবহার করতে পারেন ভালো মানের বেবি ওয়াইপ্সও। (Newborn Oral Hygiene)

 

#5. বাচ্চার মুখগহ্বর ও দাঁত:

একদম ছোট্ট ছানা, অর্থাৎ যার এখনও দাঁত ওঠেনি তার মুখের ভিতর অর্থাৎ মাড়ি, জিভ পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

  • বাচ্চাকে একহাতে আরাম করে শুইয়ে দিন, যেন আপনি ওকে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছেন বা আদর করছেন। বাচ্চা কোলে শুয়ে দুলুনি খেতে পছন্দ করলে, তাকে কোলে শুইয়ে নিন।
  • এবার একটা পরিষ্কার কাপড় নিয়ে সেটা নিজের তর্জনীতে ভালো করে জড়িয়ে নিন। এবার ওই আঙুলটা ঈষদুষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে বাচ্চার নিচের ঠোঁটে আলতো করে চাপ দিতে থাকুন, যাতে সে মুখটা খোলে (Newborn Oral Hygiene)।
  • বাচ্চা মুখ খুললে, আঙুলে জড়ানো কাপড়টা দিয়ে বাচ্চার জিভের ওপর আলতো করে বৃত্তাকারে মালিশ করুন। জিভের মাঝখানে ও পাশে সব জায়গায় এই ভাবে কাপড়টা দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করে দিন।
  • প্রয়োজন হলে কাপড়টা আবার ওই ঈষদুষ্ণ জলে ডুবিয়ে নিতে পারেন।
  • জিভ পরিষ্কার হয়ে গেলে গালের ভিতরের দিক, মাড়ি এই একইভাবে আলতো হাতে মালিশ করে করে পরিষ্কার করে দিন।
  • আপনার বাড়িতে যদি স্টেরিলাইজড ইয়ার বাডস থাকে, তা হলে এই ইয়ার বাড ঈষদুষ্ণ জলে ডুবিয়ে একইভাবে বাচ্চার জিভ পরিষ্কার করতে পারেন।
  • নিয়মিত একবার, বিশেষ করে খাওয়ার পরে বাচ্চার জিভ অবশ্যই পরিষ্কার করুন।
  • বাচ্চার মুখে দাঁত দেখা দিলেই তাকেও পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। পরিষ্কার কাপড় জলে ভিজিয়ে বা আপনার পরিষ্কার আঙুল দিয়েই ছোট্ট ৩-৪ খানি দাঁত পরিষ্কার করে দিতে পারবেন।
  • বাচ্চার বয়স ১ বছর হয়ে গেলে ইনফ্যান্ট টুথব্রাশ আলতো হাতে বাচ্চার দাঁত ও জিভে ঘসে দিন।
  • বাচ্চার বয়স ২ বছর হয়ে গেলে, সামান্য টুথপেস্ট ব্রাশে লাগিয়ে জিভে আলতো হাতে ঘসে দিন। বাচ্চার দাঁত আগে পরিষ্কার করবেন, তারপর জিভ।
  • খেয়াল রাখবেন, বাচ্চা যেন এই পেস্ট গিলে না ফেলে।
  • ২ বছরের কম বয়সি বাচ্চাকে কখনওই কোনও পেস্ট ব্যবহার করতে দেবেন না।
  • ২ বছর পেরোলে ব্যবহার করতে পারবেন ফ্লোরাইড-যুক্ত টুথপেস্ট।

 

#6. বাচ্চার নখ পরিষ্কার করবেন কীভাবে?

  • স্নানের আগে যখন বাচ্চাকে তেল মালিশ করেন, তখন আপনার ওই তেল মাখা আঙুলগুলো দিয়ে শিশুর নখেও একটু মালিশ করে দিন। অলিভ অয়েল হলে তো কথাই নেই, নখের স্বাস্থ্য চনমনিয়ে উঠবে।
  • অলিভ অয়েল হাতে নিয়ে নখ এবং নখের চারপাশের চামড়া আলতো করে ম্যাসাজ করে দিন। সব আঙুলের নখেই করবেন কিন্তু।
  • একটা এক্সট্রা বেবি টুথব্রাশ কিনে রাখুন। একটা তো আছেই বাচ্চার দাঁত পরিষ্কার করার জন্য, এটা থাকবে নখ পরিষ্কার করতে। স্নানের সময় ঈষদুষ্ণ গরম জলে পরিষ্কার বেবি টুথব্রাশটি ভিজিয়ে নিন, এরপর আলতো করে ১-২ বার বাচ্চার সব আঙুলের নখের কোণে ও নখে বুলিয়ে দিন। এতে নখের কোণে জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে।

 

আরও পড়ুন: ছোট্ট ছানার ত্বকের যত্নে কোনও ত্রুটি হচ্ছে না তো? কীভাবে দেখভাল করবেন, চেকলিস্ট ছকে দিলাম আমরা!

 

#7. বাচ্চার নখ কাটবেন কীভাবে? (How to Trim Your Baby’s Fingernails)

  • একদম ছোট্ট বাচ্চার নখ এতটাই নরম হয় যে, আপনি নখের ধারালো অংশগুলো নিজের আঙুল দিয়েই কেটে দিতে পারবেন। এই কাজটা করতে পারেন, তবে অবশ্যই বাচ্চার নখ কতটা বড় হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। কোনও ভাবেই যেন বাচ্চার আঙুলে বেশি চাপ না পড়ে বা নখ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভেঙে না যায়।
  • বাচ্চা একটু করে বড় হতে থাকলে তার নখের জন্যও অন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বাচ্চার নখ কাটার জন্য বেবি নেল ক্লিপারস বা বাচ্চাদের স্পেশ্যাল নেল কাটার কিনতে পাওয়া যায়; সেটা নিয়ে আসুন। সঙ্গে কিনুন ছোট্ট একটা ফাইলার।
  • ফাইলারের সাহায্যে নখ ট্রিম করে দেওয়া সবথেকে সহজ একটা কাজ। যদি আপনি নিয়মিত বাচ্চার নখ ট্রিম করেন, তা হলে ফাইলার দিয়ে আলতো করে ঘষে দিলেই বাচ্চার নখ ট্রিম করা হয়ে যাবে এবং কোনও ধারালো অংশও থাকবে না।
  • বাচ্চার নখ কাটার সময় শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য তৈরি নেল কাটারই ব্যবহার করুন। আপনারা বড়রা যা দিয়ে নখ কাটেন, কখনই সেটা ব্যবহার করবেন না ভুলেও।
  • অনেক আলো আছে, এরকম জায়গায় বাচ্চার নখ কাটবেন।
  • আপনার যদি চোখে পাওয়ার থাকে বা উত্তেজনা হলে হাত কাঁপে, তা হলে আপনি বাচ্চার নখ কাটবেন না। বাড়ির অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন।
  • স্নানের ঠিক পরপর বাচ্চার নখ নরম থাকে। তখন নখ কেটে ফেলা খুবই সোজা। আবার সবথেকে ভালো, বাচ্চা যখন ঘুমবে তখন তার নখ কাটুন। এতে বাচ্চা ছটফট করার ভয়ও থাকবে না এবং বাচ্চার আঘাত লাগার সম্ভাবনাও থাকবে না। অথচ নখ কাটা হয়ে যাবে সুন্দর।

 

#8. কীভাবে পরিষ্কার করবেন বাচ্চার গোপনাঙ্গ? (Caring for Baby’s Genitals)

  • মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে, একটা পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে নিয়ে সামনের থেকে পিছনের দিকে মুছিয়ে দিন। কখনই পায়ুছিদ্র থেকে শুরু করে সামনের দিকে পরিষ্কার করবেন না। এতে ইনফেকশন হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। স্নান করার সময় তো বটেই, ডায়াপার বদলানোর সময়েও গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে দিন প্রত্যেকবার। (Personal Hygiene for Children)
  • ছেলেদের ক্ষেত্রে, স্নানের সময় জল ঢেলে ভালো করে ধুইয়ে দিন পেনিস ও তার সংলগ্ন জায়গা।

 

#9. বাচ্চার ডায়াপার বদলানো নিয়ে বিশেষ কিছু টিপস (Diaper Changing Tips):

  • বাচ্চাকে দিনের কিছু সময় ডায়াপার ছাড়াই রাখুন। তাতে ওই জায়গায় হাওয়া চলাচল করবে এবং র‍্যাশ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না।
  • ডায়াপার বদলে ভালো করে পরিষ্কার করে দিন বাচ্চার গোপনাঙ্গ। (Change Your Baby’s Diapers Regularly) ডায়াপার গুটিয়ে আনবেন সামনে থেকে পিছন দিকে। এতে নোংরা ছড়ায় কম, আবার ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
  • পরিষ্কার করার পরে শুকনো হয়ে গেলে তারপরেই আবার নতুন ডায়াপার পরাবেন।

 

ডায়াপার বদলানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সাজিয়ে দিলাম ছবিতে:

 

মনে রাখুন কিছু বিশেষ টিপস:

  • স্নান করানোর সময় বাচ্চার বগল, কুঁচকি বা জয়েন্টের জায়গাগুলো ভালো করে দেখে নিন। ওখানে যেন ময়লা না বসে। পরিষ্কার করুন ভালো করে।
  • বাচ্চার হাত, মুখ মাঝে মাঝে ভালো মানের বেবি ওয়াইপ্স দিয়ে মুছিয়ে দিন। বাচ্চা হাত বারবার মুখে দিলেও ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকবে না।
  • আপনার হাতে বড় নখ থাকলে কেটে ফেলুন শিগগির। যত সাবধানী হোন না কেন, নখ বড় থাকলে বাচ্চাকে সাফসুতরো করতে গিয়ে নখের খোঁচা লাগতেই পারে।
  • ভালো মানের বেবি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন বাচ্চার ত্বকের ভালো স্বাস্থ্যের খাতিরে। নতুন কিছু জিনিস মাখানোর পরে এক দু’দিন বিশেষ লক্ষ্য রাখুন। কোনও র‍্যাশ হচ্ছে কি না বুঝে যাবেন।
  • বাচ্চা যে খেলনাগুলো বারবার মুখে দেয়, পরিষ্কার রাখুন সেগুলোও। প্রয়োজনে ওয়াইপ্স দিয়ে মুছে দিন বা জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।
  • ধৈর্য ধরে বাচ্চাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। এড়িয়ে যেতে পারবেন বহু রোগসংক্রমণের রক্তচক্ষু। (Hygiene & Daily Care Checklist for Babies)

 

আরও পড়ুন: কান্নাকাটি ছাড়াই মহানন্দে স্নান করবে ছোট্ট ছানা! বাচ্চাকে স্নান করানোর সহজ কিছু টিপস এখানে!

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব। 

 

null

null