সঠিক পুষ্টি, মানসিক শান্তি আর একটানা ঘুম। আমরা হয়তো সকলেই জানি এই তিনটে জিনিস বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশে কতটা সহায়তা করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এরই সাথে প্রয়োজন ওর ইন্দ্রিয়, বুদ্ধিমত্তার যথাযথ বিকাশও। সেই সাথে প্রয়োজন খেলাধূলা, সঠিক বংশগতিও। আপনার শিশুটির যথাযথ জ্ঞানীয় বিকাশে জেনে নিন প্রাথমিক কিছু শর্ত!
#1. ইন্দ্রিয়ের বিকাশ (Sense Organs)
জ্ঞানের বিকাশের প্রশ্নে প্রাথমিক শর্তই হলো বাচ্চার ৫ ইন্দ্রিয়ের যথাযথ বিকাশ। এই ৫ ইন্দ্রিয়ই আশপাশের সমস্ত কিছু সম্পর্কে কচি মনে সঠিক ধ্যান-ধারণা তৈরি করবে, ওকে সজাগ, চৌখুস আর তুখোড় করে তুলবে।
#2. বুদ্ধিমত্তার বিকাশ (Intelligence)
যে বাচ্চারা চটপটে, বুদ্ধিমান হয় তাদের জ্ঞানীয় বিকাশও হয় চটজলদি। আসলে ঠিকঠাক বুদ্ধিমত্তাই যে কোনও মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করে দেয়। বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে তাই সচেষ্ট হোন এখনই!
#3. খেলাধূলা (Play)
খেলতে খেলতেই বহির্জগতের সাথে সংযোগ তৈরি হয় বাচ্চাদের। কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হয়ে যায়। খেলতে চাইলে তাই মানা নয়, বরং উৎসাহ দিন আরও!
#4. বংশগতি (Heredity)
বহির্জগতের সাথে সংযোগ ও যথাযথ বিকাশ তো আছেই। সেই সাথেই বাচ্চার জ্ঞানীয় বিকাশে অনেকটা ভূমিকা নেয় হেরিডিটি! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাই দেখা যায় মেধাবী বাবা-মায়ের ঘরেই বড় হচ্ছে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা!
#5. সঠিক পুষ্টি (Nutritional Needs)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাড়ন্ত বয়সে বাচ্চার শরীরে সঠিক পুষ্টির জোগান। ওকে এমন খাবারই দিন (যেমন, সেরেগ্রো), যা হবে বাচ্চার জন্য অপরিহার্য নানা ভিটামিন (১৫ রকম) ও মিনারেলে (আয়রন-সমেত) পরিপূর্ণ।