শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প কিছু হতেই পারে না! জন্মের পর অন্তত ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই শিশুর শরীরের চাহিদা মেনে সমস্ত পুষ্টি উপাদানের জোগান দেয়। শক্ত-সবল করে তোলে ওকে, বাড়ায় রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কারণে নবজাতক সন্তানকে বা সন্তান একটু বড় হলে পর আর তাকে বুকের দুধ দিতে পারেন না মা। সে ক্ষেত্রে কোন পথে হাঁটবেন তাঁরা, কীভাবেই বা পূরণ হবে শিশুর শরীরের চাহিদা? বিশদ গাইডলাইন ছকে দিচ্ছি আমরা। দেখে নিন এখনই।
#1. অন্য মায়ের বুকের দুধ (Donated Breast Milk)
ব্রেস্টমিল্কই যেহেতু সবচেয়ে, সবার চেয়ে ভালো আগেই তাই চেষ্টা করুন আপনার সন্তানের জন্য আরেক মায়ের সাহায্য় নেওয়ার। স্বেচ্ছায় অনেকেই বুকের দুধ দান করতে এগিয়ে আসেন। যোগাযোগ করুন তাঁদের সাথে!
#2. ফরমুলা দুধ (Formula Feeding)
যদি তেমন কারও সন্ধান না পান যে স্বেচ্ছায় স্তনদুগ্ধ দান করবেন তবে হাত ধরুন ফরমুলা দুধের। চলতি বাজারে অনেক রকম ফরমুলা দুধ পেয়ে যাবেন। আপনার বাচ্চার ডাক্তারের পরামর্শ মতো বেছে নিন সবচেয়ে ভালোটা!
#3. সয়াবিনের দুধ (Soy Milk Powder)
যে সব বাচ্চার প্রাণিজ প্রোটিনে অ্যালার্জির ধাত থাকে, তাদের ক্ষেত্রে সয়াবিনের দুধ খুবই কার্যকরী। নবজাতক শিশুর শরীরে প্রায় সব পুষ্টি-উপাদানেরই জোগান দেয় সয়াবিন। মিল্ক পাউডার হিসেবে কিনতে পাওয়া যায় দোকানে।
#4. ছাগলের দুধ (১২ মাস+) (Goat Milk)
ছাগলের দুধের গঠন অনেকটাই মায়ের বুকের দুধের মতোই। তবে বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন অবশ্যই। প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকলেও ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি-১২ পরিমাণে কম থাকে এতে!
#5. নারকেলের দুধ (১২ মাস+) (Coconut Milk)
মায়ের দুধে যে ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে, নারকেলের দুধেও সে রকম ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যাতে একাধারে বাড়ে হজমশক্তি ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। দোষ একটাই, সব ধরনের প্রোটিন, ক্য়ালসিয়াম থাকে না নারকেল দুধে।