জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোই যে সবথেকে ভালো, সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে? শুধু শিশুর জন্য নয়, মায়ের জন্যও সমান জরুরি এই স্তন্যপান করানো। মায়ের ও ছায়ের নির্ভেজাল সম্পর্কের রসায়নও গভীর হয় এই স্তন্যপান থেকেই। (Breast Pumps: a Beginner’s Guide)
এখন যুগ পাল্টেছে। ঘরে এবং বাইরে দাপটের সাথে সামলাচ্ছেন মায়েরা। সংসার-অফিস-বাচ্চা সব সামলে মেয়েরা সত্যি যেন সুপার-উম্যান। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে মাকে আবার যোগ দিতে হবে কর্মক্ষেত্রে। মা মনে মনে হাজার চাইলেও কচি বাচ্চাটিকে নিয়ে অফিসে যেতে পারবেন না বা সারাক্ষণ নিজে খাওয়াতে পারবেন না।
এখানেই মুশকিল আসানে আসে ব্রেস্ট পাম্প। এর সাহায্যে মা নিজের দুধ বের করে বাচ্চার জন্য রেখে যেতে পারেন। হাত দিয়ে এক্সপ্রেস করা যে কত সময় সাপেক্ষ আর কত কষ্টকর সে মায়েরা আন্দাজ করতেই পারছেন। এখানেই আপনাকে সাহায্য করতে পারে ব্রেস্ট পাম্প।
বুকের দুধের পরিমাণ না কমা, ব্রেস্ট ভারী হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিকটু ভাবে অসমান হয়ে যাওয়া বা দুধ জমে বুকে ব্যথা হওয়ার মতো অসুবিধার হাত থেকে বাঁচাতে পারে এই ব্রেস্ট পাম্প। মা বাড়িতে না থাকলেও বাচ্চা মায়ের দুধই খেতে পারে। যেসব বাচ্চারা হাজার চেষ্টাতেও ল্যাচ করতে পারে না, তাদের জন্যও এই ব্রেস্ট পাম্পই একমাত্র সমাধান (Benefits of Pumping)। জেনে নিন আরও উপকারিতা!
#1. বুকের দুধের জোগান বাড়ায়
পাম্প করে বুকের দুধ বের করার মধ্যে দিয়েই বাড়তে পারে ব্রেস্টমিল্কের পরিমাণ। যে মায়েদের দুধ কম তৈরি হয়, ব্রেস্ট পাম্প করে দুধ জমিয়ে রেখে উপকার পেতে পারেন তাঁরা।
#2. মায়ের অনুপস্থিতিতেও মিলবে দুধ
কর্মরতা মায়েরা, যাঁদের দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটাতে হয় বাড়ির বাইরে, তাঁদের জন্য ব্রেস্টপাম্প খুবই উপকারী। মায়ের অনুপস্থিতিতেও বুকের দুধের মিষ্টি স্বাদ পাবে ছোট্ট ছানারা।
#3. সময় ধরে, রুটিন মেনে খানাপিনা
ব্রেস্ট পাম্পের সাহায্যে দুধ খাওয়ানোর সহজ রুটিন তৈরি করে ফেলতে পারেন আপনি। কখন পাম্প করতে হবে, কতটা করতে হবে, কখন খাওয়াতে হবে, সব থাকবে মায়ের নখদর্পণে!
#4. শারীরিক জটিলতায় একমাত্র সহায়
মা বা বাচ্চার যদি কোনও শারীরিক জটিলতা থাকে, যার জেরে সরাসরি ব্রেস্টফিডিং অসম্ভব, সেক্ষেত্রে ব্রেস্ট পাম্পই একমাত্র সহায়! বুকের দুধ পাম্প করে বোতলে ভরে বাচ্চাকে অনায়াসে খাওয়াতে পারেন আপনি।
#5. লাভল্যাপ ব্রেস্ট পাম্প-এর গুণাগুণ: