মায়ের দুধের যত গুণ!

মায়ের দুধের যত গুণ!

শিশুর জন্য তার মায়ের দুধ অমৃতের মতো। পৃথিবীর আলো দেখার পর প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সবথেকে ভালো। বুকের দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শিশুর ঘ্রাণশক্তি বাড়ায় ও স্বাদ বিচারের ক্ষমতাও তৈরি করে। মায়ের খাদ্যাভ্যাসে রদবদলের সাথে সাথে বুকের দুধের স্বাদের পরিবর্তন ঘটে, তাই শিশু একটু একটু করে নানারকম স্বাদের সাথে পরিচিত হতে পারে। মায়ের সাথে শিশুর সম্পর্ক নিবিড় করে এই স্তন্যপান করানো। মায়ের দেহের সংস্পর্শে এসে, মায়ের আদর ও নিজের পুষ্টি দুইই গ্রহণ করে শিশু, আর নিজের পরম নির্ভরতার জায়গাটি খুঁজে পায়। দেখে নিন, মায়ের দুধের যত গুণ!(5 Benefits of breastmilk in Bengali)

মায়ের দুধের যত গুণ!

#1.শালদুধ (Colostrum): শিশু জন্মের কিছুক্ষণ পর মায়ের যে দুধ আসে তাকেই শালদুধ বলা হয়। এর পরিমাণ কম। কিন্তু শিশুর দেহে পুষ্টি ও নানা রোগ প্রতিরোধের জন্য কার্যকর ওষুধ। তাই কোনও অবস্থাতেই এই দুধ বাদ দেওয়া উচিত নয়। শিশু জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই শাল দুধ শেষ হয় এবং স্বাভাবিক দুধ আসতে শুরু করে।

মায়ের দুধের যত গুণ!

#2.ডিএইচএ সমৃদ্ধ (Contains DHA): মায়ের দুধে আছে ডিএইচএ। ওমেগা থ্রি ফ্যাট এসিডের এক প্রকারভেদ! শিশুর বিকাশে ডিএইচ-এর ভূমিকা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও আর ওর ছোট ছোট চোখ জোড়ার জন্য ডিএইচএ- অপরিহার্য। বাচ্চার জন্মের পর থেকে অন্তত ছয় মাস বুকের দুধ দিন ওকে।

মায়ের দুধের যত গুণ!

#3. পুষ্টিগুণ (Full of nutrients): মায়ের দুধে প্রায় সব ধরনের ভিটামিনই থাকে। আর এই ভিটামিন খুব সহজেই শিশুর শরীর গ্রহণ করে নেয়। এ ছাড়াও মায়ের দুধে আছে শিশুর বিকাশে সবচেয়ে জরুরি উপাদান, প্রোটিন। বুকের দুধের ক্যালসিয়াম ও জিংক শিশুর মজবুত হাড় গঠন করতেও সাহায্য করে।

মায়ের দুধের যত গুণ!

#4. হজমশক্তি বৃদ্ধি (Helps in digestion):মায়ের দুধ শিশুর হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। শিশু এই খাবার খুব সহজেই হজম করতে পারে। মায়ের দুধে থাকা সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল শিশুর দেহে সহজেই প্রবেশ করে। তা বাদে মায়ের দুধে মাত্র ১৬ শতাংশ ফ্যাট থাকে। নবজাতকের জন্য তাই এর বিকল্প কিছু হতেই পারে না।

মায়ের দুধের যত গুণ!

#5.রোগ প্রতিরোধ (Increases immunity):মায়ের দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকে। যে কারণে যারা পর্যাপ্ত মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি শক্তি অন্যদের চেয়ে গড়ে ১০ শতাংশ বেশি হয়! এ ছাড়াও এর উপাদান কিডনির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের দ্রুত বিকাশ ঘটায় ও ক্যান্সার প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।