গর্ভকালে মায়ের হাবভাব, নড়াচড়া সব কিছুরই আঁচ পায় গর্ভস্থ সন্তান। মায়ের অনুভূতির সাথে সাথেই মিলে মিশে যায় তার ভালো থাকা-মন্দ থাকা!…
মা ও ছায়ের সম্পর্ক তৈরি যায় গর্ভাকালীন দিনগুলো থেকেই। মা যেমন ধীরে ধীরে গর্ভস্থ ভ্রূণের নড়াচড়া, ভালো থাকা-মন্দ থাকা টের পেতে শুরু করেন, তেমনই মায়ের হাল-হকিকতও দিব্য আঁচ করে গর্ভস্থ সন্তান। মা কখন উঠছে, বসছে, কখন হাসছে, কখন কাঁদছে, কখনই বা ঝগড়া করছে বাবার সাথে, সবটুকু বুঝতে পারে ছোট্ট প্রাণটি। আপনি হয়তো এত কিছু জানতেন না, জানাতেই তাই এই ভিডিও। দেখে নিন গর্ভকালে যা যা টের পায় আপনার গর্ভস্থ সন্তান।
#1. মায়ের হৃদস্পন্দন
কোলে নিলেই কান্না থামিয়ে দেয় নবজাতক, কেন জানেন?
কারণ, মায়ের হৃদস্পন্দন শুনতে পায় সে। যে ছন্দটা ওর বড় চেনা, গর্ভের সেই দিনগুলো থেকে!
#2. মায়ের ওঠা-বসা
হবু মা শুলে, উঠে দাঁড়ালে কিংবা উবু হয়ে বসলে সবটাই টের পায় হবু সন্তান
#3. বাইরের আওয়াজ
বাবা-মা-আত্মীয়ের গলার স্বরই শুধু নয়, গান এমনকী অন্য সব আওয়াজও অনুভব করে গর্ভস্থ ভ্রূণ।
#4. স্পর্শ
গর্ভকালে, মোটামুটি ২০ সপ্তাহ থেকেই স্পর্শও টের পায় সে। বাইরে থেকে কেউ মায়ের পেটে হাত দিলে দিব্য অনুভব করে ছোট্ট সোনা।
#5.অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজকর্ম
গর্ভস্থ শিশু মায়ের শ্বাস প্রশ্বাস, এমনকী শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজকর্মেরও আঁচ পায় ভালো মতো।
#6. মায়ের নড়াচড়া
মায়ের অল্প নড়াচড়াও এসময়ে উপভোগ করে সে। এক-একটি মুভমেন্ট মাসাজের মতোই আরামের হয় ওর কাছে।
#7. মানসিক চাপ-চিন্তা
মা কোনও কারণে উদ্বিগ্ন হলে শরীর থেকে করটিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার জেরে হৃদস্পন্দন বাড়তে পারে গর্ভস্থ সন্তানের!
#8. হাসিখুশি
মায়ের হাসি-খুশির আঁচও পায় ছোট্ট ভ্রূণ। হবু মা ফুরফুরে মেজাজে থাকলে সেরোটোনিন ও এন্ডোরফিনস হরমোনের ক্ষরণ হয় তার শরীর থেকে। যা সরাসরি পৌঁছে যায় জরায়ুতে! গর্ভস্থ ছানার বাস সেখানেই হওয়ায় মায়ের আনন্দে খিলখিলিয়ে ওঠে সেও!