২ বছরের বাড়ন্ত ছানার জন্য মাছ-ডিম-মাংস-মিষ্টির হরেক রেসিপির হদিস!

২ বছরের বাড়ন্ত ছানার জন্য মাছ-ডিম-মাংস-মিষ্টির হরেক রেসিপির হদিস!

সেদ্ধ বা ঘ্যাঁট জাতীয় কিছু খাওয়াতে গেলেই ভয়ানক “ওয়াক” উঠে আসছে তার, চেহারা ও বুদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে জিভের তার বেড়েছে তরতরিয়ে। আর নেড়েঘেঁটে কিছু একটা গিলিয়ে দিলেই হলো নাকি! (2 years Old Baby Food Chart Along with Recipes)

২ বছরের ঘরে ঢুকে যাওয়া মানে আপনার বাচ্চাটির ওপর থেকে খাবার নিয়ে অনেক নিয়ম-নিষেধ উঠে গেছে। বাড়িতে বড়রা যা খান, তার প্রায় সবকিছুই খাওয়া শুরু করেছে কুটকুট করে। উপকরণে যেমন এসেছে বৈচিত্র্য, তেমন প্রণালীতেও ঘটেছে হেরফের।

স্বাদ এবং স্বাস্থ্যে ভরপুর কিছু রেসিপি আজ আপনার ২ বছরের বাড়ন্ত সন্তানটির জন্য। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বানিয়ে দিলে কোনও খাবারই আর একঘেয়ে লাগবে না ওর। ও পাবে পুষ্টি, আর আপনি পাবেন শান্তি।

ছাগলের মাংসের পাতলা ঝোল, সবজি মেলানো আড় মাছ, বাচ্চা স্পেশ্যাল কচুরি থেকে শুরু করে আপেলের ওমলেট বা আলুর প্যানকেক ইত্যাদির মতো হরেক রেসিপি সাজিয়ে দিলাম কথায় ও ছবিতে। আপনার ২ বছরের পুত্র/কন্যাটি তো খাবেই গপগপিয়ে, বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরাও সহজে ভাগ দিতে চাইবেন না।

 

২ বছরের বাচ্চাকে কী কী খাবার দেওয়া যায়? (Foods for 24 Months Old Baby)

  • সমস্ত রকম ফল, বিশেষ করে সব মরসুমি ফল বাচ্চাকে দিন। মৌসাম্বি লেবুর রস, বেদানার রস, তরমুজের রস নিয়মিত খাওয়ান বাচ্চাকে।(Shishur Protidiner Khabar) তবে কোনও ছোট ফল যেমন গোটা বেদানা, আঙুর, ছোট লিচু বা খেজুর বাচ্চাকে গোটা দেবেন না; গলায় আটকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বীজ ছাড়িয়ে ছোট টুকরোয় কেটে দিন।
  • ডালের মধ্যে মুগ ডাল, মুসুরির ডাল বাচ্চাকে খাওয়ান।
  • সবজির মধ্যে মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়ো, আলু, গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ব্রকলি, কুমড়ো, পালংশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি সব সবজি খাবে বাচ্চা।
  • ডিম, মাছ ও মুরগির মাংসের নানা পদ নিয়মিত থাকুক ওর খাদ্যতালিকায়। ছাগলের মাংসের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিন এবার।
  • নুন, চিনি, গোরুর দুধ, মধু, আটার রুটি, ভাত, চিঁড়ে ইত্যাদি বাড়ির বড়রা যা খান, একটু একটু করে সব কিছুই খেতে শুরু করবে ছানাটি।

 

২ বছরের বাচ্চাকে দিনে কখন সলিড ফুড খাওয়াবেন?
(2 Years Baby Food Chart with Time)

দিনে দু’বার ভারী খাবার খাওয়ান আর ২-৩বার টুকটাক খাবার বা টিফিন (Three Healthy Meals)। প্রয়োজন অনুসারে দিন তৈরি সেরেল্যাক/ গোরুর দুধ (Homemade Baby Food Recipes)। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে নীচে একটি ফুড চার্ট দিয়ে দিলাম।

 

২ বছরের বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর কিছু রেসিপি (Homemade Baby Food Recipes for 2 Years Baby)

ঝোল, ডাল, খিচুড়ি ইত্যাদি সবকিছুর রেসিপি আমরা আগে বহুবার দিয়েছি এবং এগুলো খুবই সাধারণ। তাই আজ একটু অন্যরকম মজাদার কিছু রেসিপি (Healthy Food Chart) দিয়েই শুরু করলাম প্রতিবেদন। বানিয়ে দেখুন, চেখে দেখুন ও বাচ্চাকে খাইয়ে তৃপ্তি পান।

 

#1. বিটের হালুয়া: প্রথমেই একটা মিষ্টি মিষ্টি খাবার দিয়ে প্রতিবেদন শুরু করলাম আজ। নিজেরাও খেয়ে দেখবেন কিন্তু!

উপকরণ:

  • ১ টি বিট
  • ১ চা- চামচ ঘি
  • ১ চা- চামচ ড্রাই ফ্রুট পাউডার
  • ১ চা- চামচ এলাচ পাউডার
  • ১ কাপ জল
  • ঘরে বানানো খেজুরের রস এক চা- চামচ।

 

প্রণালী:

  • বিট কুচিয়ে কেটে, থেঁতো করে ভর্তার মতো করে নিন।
  • এবার একটা পাত্রে ঘি, ড্রাই ফ্রুট পাউডার আর এলাচ পাউডার দিয়ে নাড়তে থাকুন।
  • ৫ মিনিট পরে বিটটা দিয়ে দিন এবং ১০ মিনিট রান্না করুন।
  • বিটের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
  • এবার হালুয়াতে খেজুরের রসটা মিশিয়ে নিন।
  • মিষ্টি খাবারের পাশে একটা কচুরি থাকলে ক্ষতি কি! রেসিপি তো আমি দিয়েই দিচ্ছি ছবিতে->
  • গাজর পালং শাকের কচুরি

 

#2. রঙিন ওমলেট: খাবার যদি রংচঙে হয়, তা হলে খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে বাচ্চার। সবজি দিয়ে বানিয়ে দিতে পারেন এই রংচঙে ওমলেট।

উপকরণ:

  • ক্যাপসিকাম
  • লাল, হলুদ বেলপেপার
  • গাজর, বিন্স খুব ছোট ছোট করে কাটা
  • ওমলেট বানানোর মতো অল্প পেঁয়াজ কুচি
  • চিজ
  • ভেজিটেবল অয়েল
  • নুন

 

প্রণালী:

  • বাটিতে ডিম, সব কুচনো সবজি, পেঁয়াজ, নুন এবং কিছুটা চিজ ছড়িয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
  • প্যানে তেল গরম করে এপিঠ ওপিঠ পাল্টে ঢাকা দিয়ে ভেজে নিন রঙিন ওমলেট।
  • লম্বা লম্বা করে কেটে বাচ্চাকে খেতে দিন।

 

ডিম দিয়ে বানানো আরও একটি সুস্বাদু রেসিপি দিলাম সঙ্গের ছবিতে->

 

#3. কলার প্যানকেক

উপকরণ:

  • ১টি পাকা কলা
  • ১টি ডিম
  • ১ চা- চামচ মাখন

 

প্রণালী:

  • একটা বাটিতে কলা ভালো করে চটকে মেখে নিন।
  • আলাদা একটা বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে এর সাথে কলাটা মিশিয়ে নিন।
  • প্যানে বাটার দিয়ে দিন এবং প্যান গরম হয়ে গেলে ধোসার আকারে ডিম আর কলার মিশ্রণ দিয়ে দিন।
  • বাদামী হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে দিন।

 

প্যানকেক শুধু কলার হয়, এমনটা ভেবে বসবেন না কিন্তু! আরও কয়েকটি মজাদার প্যানকেকের রেসিপি রইলো সঙ্গের ছবিতে। (2 years Old Baby Food Chart Along with Recipes)

 

আরও পড়ুন : ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’; বছর খানেকের খুদে-স্পেশাল হরেক রেসিপির সম্ভার!

 

#4. সবজি দিয়ে আড় মাছের ঝোল: রুই, কাতলা, মাগুর, শিং বা ভেটকি নিয়ে চর্চা তো আগেই হয়ে গেছে অনেকবার। এবার এই আড় মাছের ঝোলটা বানিয়ে দেখুন তো।

উপকরণ:

  • আড় মাছের মাঝারি একটি পিস
  • ফুলকপি
  • গাজর
  • মটরশুঁটি
  • পেঁয়াজ
  • আলু
  • টম্যাটো
  • বিনস
  • আদা বাটা
  • নুন
  • হলুদ গুঁড়ো
  • ভেজিটেবিল অয়েল

 

প্রণালী:

  • প্যানে তেল গরম করে টুকরো করে রাখা ফুলকপি, আলু, গাজর, বিন্স ছেড়ে দিন।
  • ঢাকা দিয়ে দিয়ে আধসেদ্ধ করে সবজিগুলো ভেজে নিন।
  • সবজিগুলো তুলে নিয়ে আড় মাছে নুন,হলুদ মাখিয়ে প্যানে ভেজে নিন। খুব কড়া ভাজা হবে না (Tomato diye Macher Patla Jhol)।
  • মাছ ভেজে তুলে নিন।
  • এবার পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হয়ে এলে অল্প আদা বাটা দিয়ে দিন।
  • মশলাটা একটু কষে এলে টম্যাটো কুচি আর মটরশুঁটিগুলো দিয়ে দিন।
  • আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন এবং আগে ভেজে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিন।
  • এবার গরম জল ও স্বাদমতো নুন, চিনি মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন।
  • সেদ্ধ হয়ে গেলে আড় মাছটা দিয়ে আরও ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন (Alu Fulkopi die Aar Macher Patla Jhol)।
  • ভাতের সাথে বা এমনিই বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।

 

 

#5. ছাগল মাংসের পাতলা ঝোল: না, ঘন ঘন ছাগলের মাংস বা যে কোনও রেড মিট খাওয়া কারও জন্যই ভালো নয়। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে এটাই কিন্তু বাড়ন্ত বাচ্চাকে পুষ্টি দিতে পারে।

উপকরণ:

  • কুমড়ো,গাজর, বিনস, আলু, পেঁপে ইত্যাদি সবজি (বাচ্চা যা খায়)
  • খোসা ছাড়ানো টম্যাটো কুচি
  • দুই টুকরো ছাগলের মাংস
  • অলিভ অয়েল
  • টক দই
  • অল্প পেঁয়াজ কুচি
  • জিরে ও ধনে গুঁড়ো
  • নুন অল্প

 

প্রণালী:

  • মাংসে একটু টক দই মাখিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা মতো।
  • কুকারে অলিভ অয়েল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।
  • একটু নাড়াচাড়া করে টম্যাটো দিয়ে দিন।
  • এবার সব সবজিগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
  • এবার মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
  • জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও নুন দিয়ে দিন।
  • ঢাকা দিয়ে একটু নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
  • হলুদ দিন।
  • এবার পরিমাণমতো জল দিয়ে কুকারের ঢাকা লাগিয়ে দিয়ে ৪- টি সিটি হওয়া অব্দি অপেক্ষা করুন।
  • ভাপ খুলে গেলে পুরোটা একটা পাত্রে ঢেলে নিন।
  • গরম ভাতের সাথে খাওয়ান।

 

মুরগির ঝোল আর মাছের ঝোলের রেসিপিগুলো আরেকবার দেখবেন নাকি? রেসিপি রইলো ছবিতে->

 

#6. আপেল ওমলেট: হ্যাঁ, শুনতে যেমন মজাদার, খাবারটা নিজেও তাই। খুচখাচ খিদেতে বাচ্চাকে বানিয়ে দিতেই পারেন এইটা।

উপকরণ:

  • ছোট সাইজের ১টা আপেল (গ্রেট করা)
  • ডিম ২টো
  • হলুদগুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো
  • লবণ- স্বাদমতো
  • দুধ- আধ-কাপ
  • সামান্য সাদা তেল
  • মাখন, মধু

 

প্রণালী:

  • প্রথমে একটা পাত্রে হলুদগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, লবণ দিয়ে ডিম ২টো ফেটিয়ে নিন।
  • আরেকটি বড় পাত্রে প্রথম গ্রেট করা আপেল, দুধ মেলান। এতে এবার ডিমের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  • সসপ্যানে তেল/ মাখন দিয়ে পুরো মিশ্রণটা ছড়িয়ে দিন।
  • এপাশ-ওপাশ উল্টে পাল্টে, ভালো করে ভাজতে হবে।
  • ওমলেট হয়ে গেলে ওপরে মধু ছড়িয়ে বাচ্চাকে দিন।

 

#7. লাউয়ের রায়তা: সারাক্ষণ তো আর তরিবৎ করে খাবার খেলে হবে না বাবা! এমন কিছু হাল্কাফুল্কাও খাওয়া দরকার যাতে স্বাদ ও স্বাস্থ্য ((Food Chart and Daily Routine for 2 – 3 Year Old) দুইই বজায় থাকে। ঠান্ডা থাকে পেটও।

উপকরণ:

  • খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কাটা লাউ, ১ কাপ
  • ফেটানো টক দই ১ কাপ
  • একটা পেঁয়াজ কুচিয়ে নেওয়া
  • লঙ্কা খুব মিহি করে কুচোনো(যদি বাচ্চা ঝাল খায় তবেই)
  • আদা কুচি ১ চা চামচ
  • রোস্ট করা চিনাবাদাম ১ টেবিল চামচ
  • তড়কার জন্য লাগবে; গোটা সর্ষে, কারিপাতা, অল্প তেল

 

প্রণালী:

  • একটা পাত্রে জল নিয়ে তাতে লাউ, পেঁয়াজ, আদা, লঙ্কা সব দিয়ে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন।
  • সেদ্ধ হতে যতোটা জল লাগবে, ততোটাই জল নেবেন।
  • ১০ মিনিট সেদ্ধ হতে দিন।মাঝে মাঝে একবার নাড়িয়ে দিতে পারেন।
  • এবার সেদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাস অফ করে দিন।
  • একটা পাত্রে ওই লাউ সেদ্ধটা ঢালুন।এবং ফেটিয়ে রাখা টক দই ও বাদাম ভেঙে ওতে মিশিয়ে দিন।
  • নুন দিন স্বাদমতো।
  • এবার বানিয়ে ফেলুন তড়কা।একটা পাত্রে এক চামচ তেল গরম করে ওতে গোটা সর্ষে দিন।যখন সর্ষে গুলো ছিটকে যেতে শুরু করবে তখন ৫-৬ টা কারিপাতা দিন।
  • সামান্য ভেজে নিন।
  • এবার ওই তড়কাটা পুরোটা লাউ ও দইয়ের মধ্যে মিশিয়ে দিন।
  • সঙ্গে সঙ্গে খেতে দিন।

 

এরকমই আরেকটা হাল্কা অথচ পুষ্টিকর খাবারের সন্ধান দিলাম সঙ্গের ছবিতে->

 

#8. ডিম ভুরজির পরোটা

উপকরণ:

  • ডিম
  • কুচোনো পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ও টম্যাটো
  • অল্প কুচোনো লঙ্কা
  • কুচোনো ধনেপাতা
  • তেল
  • খাঁটি ঘী
  • আটা
  • স্বাদমতো নুন

 

প্রণালী:

  • ডিম খুব ভালো করে ফেটিয়ে রাখুন।
  • একটা প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি ছেড়ে দিন।
  • পেঁয়াজ অল্প ভাজা ভাজা হয়ে এলে ক্যাপসিকাম, লঙ্কা কুচি ও টম্যাটো দিয়ে দিন ও কিছুক্ষণ রান্না করুন।
  • কিছুটা নরম হয়ে এলে ওতে ধনেপাতা দিয়ে একটু নাড়িয়ে নিন।
  • এবার ফেটানো ডিমটা ঢেলে দিন এবং ভালো করে শুকনো শুকনো করে ভেজে নিন। স্বাদমতো নুন দিন।
  • ভুরজিটা হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন।
  • এবার আটা মেখে লেচি বানিয়ে নিন।
  • লেচি গোল করে নিয়ে ওর মধ্যে ডিমের ভুরজি পুর হিসেবে ভরুন এবং পরোটার আকারে বেলে নিন।
  • এবার তাওয়াতে ঘী নিয়ে পরোটা ভেজে নিন।
  • সস বা চাটনি সহযোগে গরম গরম খেতে দিন।

 

রুটি-পরোটা তো আকছার বানাচ্ছেন বাড়িতে। চিল্লা বানিয়ে দেখেছেন? বাচ্চা কেনো, বাড়ির কর্তাটিও আঙুল চাটতে বাধ্য। রেসিপি দেখুন ছবিতে->

 

#9. আপেল-রাইস পুডিং: মিষ্টি খাবার দিয়েই আজ এই প্রতিবেদন শেষ করবো। শেষপাতে মিষ্টি না থাকলে হয় নাকি!

উপকরণ:

  • ভাঙা চাল
  • দুধ (১৮ মাসের পরে দেবেন খাঁটি গোরুর দুধ)
  • খাঁটি গুড়/ মধু

 

প্রণালী:

  • চাল ভালো করে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা।
  • ব্লেন্ডারে একবার চালটা দিয়ে দানা দানা হবে এরকম গুঁড়ো করে নিন।
  • দুধ ভালো করে ফুটে এলে চালটা দিয়ে দিন এবং সেদ্ধ হতে দিন।
  • চাল নরম হয়ে গেলে আপেলের পিউরি মিলিয়ে দিন ওতে।
  • একটু রান্না হতে দিয়ে নামিয়ে নিন।
  • বাচ্চা মিষ্টি খেতে চাইলে একটু খাঁটি গুড় বা মধু মিশিয়ে দিন।

 

মধুরেণ সমাপয়েৎ করাই যখন উদ্দেশ্য, তখন এই রেসিপিটা মিস করে গেলে বড্ড মন খুঁতখুঁত করবে, বাচ্চার মন ও মুখ পাল্টাতে বানিয়ে দিতে পারেন এইটা। কথা দিচ্ছি, দোকানের চকলেট চেয়ে মাথা খারাপ করবে না আপনার দস্যিটি। রেসিপি দেখুন->

বাচ্চার খাবারের পরিমাণ কতটা হবে?

  • যে কোনও নতুন সবজি, ফল বা খাবার প্রথমে কম পরিমাণ দিয়ে শুরু করুন। বাচ্চার শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াবেন। ডিম-মাছ-মাংস বা গোরুর দুধের ক্ষেত্রেও এক কথা প্রযোজ্য।
  • বাচ্চার শরীর নতুন খাবার কীভাবে নিচ্ছে সেটা দেখে খাওয়ানোর সময় ও পরিমাণ ঠিক করুন (Bachhader Pustikor Khabar)। প্রয়োজনে ওর ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন।

 

কী কী বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবেন?

  • বাচ্চাকে একসাথে বা একদিনে ডিম-মাছ-মাংস অনেক রকম খাবার খাওয়াবেন না। নতুন কোনও আমিষ দিলে সেটা কম কম পরিমাণে অন্তত তিনদিন খাওয়ান।এই তিনদিন খাবার হজমে বাচ্চার কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • অনেকে বাচ্চার খাবারে সামান্য তেল ও জিরে/হলুদের মতো মশলা দিয়ে থাকেন। বাচ্চার জন্য সবকিছুই হবে পরিমাণে কম। এক-দুদিন দিয়ে দেখুন, বাচ্চার শরীরে কোনও অস্বস্তি হচ্ছে কি না। (2 years Old Baby Food Chart Along with Recipes)

 

আরও পড়ুন: বছর দেড়েকের বাচ্চার রোজের মেনু সাজানোর সহজ-মজার হরেক পদ!

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

 

null

null