‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’; বছর খানেকের খুদে-স্পেশাল হরেক রেসিপির সম্ভার!

‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’; বছর খানেকের খুদে-স্পেশাল হরেক রেসিপির সম্ভার!

টুকটুক করে আপনার পুঁচকে/ পুঁচকি পা ফেলে দিল ১০ মাসে। শুয়ে শুয়ে হাত-পা ছোঁড়ার দিন তো কবেই চলে গেছে, এখন সারা বাড়ি হামা দিয়ে মাতিয়ে দিচ্ছে সে। এদিক ওদিক আঁকড়ে ধরে নিজের দুই পায়ে ভর দিয়ে হাঁটি-হাঁটি করার ইচ্ছেও তার নেহাত কম নয়। (10-12 Months Old Baby Food Chart Along with Recipes)

হুড়মুড় করে বড় হয়ে যাচ্ছে আপনার সোনা। আর বাড়ন্ত বয়সের সার্বিক পুষ্টি যাতে ও পায়, তাই নিয়ে ভেবে অস্থির হচ্ছেন আপনি। আমরা থাকতে আপনার চিন্তা করা একেবারে সাজে না মা!
বাচ্চা ৬ মাস হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে কীভাবে কি খাওয়াবেন বা কখন খাওয়াবেন, এইসব কিছু নিয়ে বয়স ধরে প্রতিবেদন সাজিয়ে দেওয়া শুরু করেছি আমরা।

আর সেই কথা রেখেই আজকের প্রতিবেদন ১০-১২ মাসের বাচ্চাদের জন্য। (Bachar Khabar Talika) ৮ মাস বয়স থেকে সেদ্ধ ডিমের কুসুম, ৯ মাস থেকে কাতলা মাছ আর মুরগির মাংসের স্টক খাওয়া শুরু করে দিয়েছে ছোট্ট ছানা।

এবার ওর পাতে ঢুকবে শিং, মাগুর ইত্যাদি জিওল মাছের পদ। মাংসের স্টকের সাথে আসবে ছোট্ট মাংসের টুকরোও। ডিমের সাদা ওর পাতে দেবেন ১২ মাস হয়ে যাওয়ার পরেই। তাই আপাতত চলুক ডিমের কুসুম। (10-11-12 months Baby Food Chart)

তবে, একটা কথা এবার মনে রাখুন। ছোট্ট সোনাকে এবার নিজের হাতে খেতে শেখাতে হবে। খাবারের ওপর আগ্রহ জন্মাবে এভাবেই। আপনি বাচ্চাকে যেমন খাওয়াচ্ছেন খাওয়ান, একটা সময় বাচ্চার হাতে ধরিয়ে দিন কিছু নরম খাবার। সবসময় চটকে দিলে কিন্তু পরে আর চিবিয়ে খেতেই চাইবে না ছানা!

 

১০-১২ মাসের বাচ্চাকে কী কী খাবার দেওয়া যায়? (Foods for 10-12 Months Old Baby)

  • ফলের মধ্যে আপেল, আম, কলা, নাশপাতি, অ্যাভকাডো, পিচ ফল, পেঁপে, খেজুর, স্ট্রবেরী , বেদানা, কিউই ও আঙুরের সাথে এবার আসতে পারে কমলালেবুর। নরম ফল এমনভাবে কেটে দিন যাতে ও হাতে ধরে মুখের কাছে নিয়ে যেতে পারে। অন্তত চাটতেও পারে।
  • ডালের মধ্যে মুগ ডাল, মুসুরির ডাল সেদ্ধ বা ডালের জল বাচ্চাকে খাওয়ান।
  • সবজির মধ্যে মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়ো, আলু, গাজর, মটরশুঁটির মতো সবজি ভর্তা বানিয়ে বা স্যুপের মধ্যে চটকে বাচ্চাকে তো দিতেনই, এবার সঙ্গে থাকবে ফুলকপি, ব্রকলি, কুমড়োর মতো সবজিও (Meal Plan for 10-12 Months Old Baby)।
  • রাগি, বার্লি, সাবু, ওটসের নরম পদ, ভাত, সাবু, আটার পাতলা রুটি রাখুন বাচ্চার রোজের খাদ্যতালিকায়।
  • বাচ্চার পাতে আমিষ বা প্রাণিজ প্রোটিন ঢুকে গেছে সেই ৮ মাসেই। এবার ওর পরিচয় হবে শিং, মাগুর ইত্যাদি জিওল মাছের সাথে। ১২ মাস হয়ে গেলে দিতে পারেন ভেটকিও।

 

১০-১২ মাসের বাচ্চাকে দিনে কখন সলিড ফুড খাওয়াবেন?

(10-12 Month Baby Food Chart with Time) দিনে ৩বার সলিড খাবার খেতে পারে বাচ্চা। মাঝে প্রয়োজন অনুসারে দিন বুকের দুধ/ফরমুলা। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে নীচে একটি ফুড চার্ট দিয়ে দিলাম।

 

10-12 months diet chart in Bengali

১০-১২ মাসের বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর কিছু রেসিপি (Homemade Baby Food Recipes for 10-12 Months)

#1. ভাত-ডাল-ডিমসেদ্ধ: এই খাবারটা শুধু বাচ্চা কেন, আমাদের বড়দের কাছেও বড্ড প্রিয়। বাচ্চা যেহেতু ৮ মাস থেকেই ডিমের কুসুম খেতে শুরু করেছে, তাই প্রত্যেকদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ওকে ডিম খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

  • মুগ ডাল সেদ্ধ করে জলটা তুলে নিন। নিজেরা যে ভাত খান, সেই ভাতই একটু বেশি করে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ করে নিন একখানা আলু এবং ডিম। এবার ভাত, ডালের জল, সেদ্ধ ডিমের কুসুম এবং সেদ্ধ আলু একটা বাটিতে ভালো করে মেখে নিন। ওতে মিলিয়ে দিন বাড়িতে তৈরি খাঁটি ঘি/মাখন এবং সামান্য নুন। দুপুরে বা রাতে বাচ্চাকে খাওয়ান (Bacchader Pustikor Khabar)।
  • ব্রেকফাস্টের পরেই হোক বা দুপুরে খাবার কিছু পরে, বাচ্চার জন্য যে কোনও একটা টিফিন কিন্তু জরুরি। নিয়মিত একটা ফল দেওয়ার কথা আমরা বারবারই বলে থাকি। এতদিন বাচ্চা ফলের পিউরি বা ভর্তা খাচ্ছিল, এবার কিছু নরম ফল লম্বা লম্বা করে কেটে ওর হাতে ধরিয়ে দিন। জানেন কীভাবে বাচ্চাকে ফিংগার ফুড দেবেন? রেসিপি দেখে নিন এখানে-> বাচ্চাকে নিজে হাতে খাওয়া শেখাতেই প্রয়োজন ফিংগার ফুডের। রইল রেসিপি!

 

ভারী খাবারের মাঝে বাচ্চাকে কি টুকটাক খেতে দেওয়া যায় (Diet Chart For 10-12 Months Baby‎), তার কয়েকটা রেসিপি আজ দিলাম ছবিতে। আজ আর শুধু একটা ফলের পিউরি নয়, থাকল কিছু অন্যরকম।

#2. রুটি মাখা: এই রুটি মাখাও কিন্তু আমাদের ঠাকুমা-দিদিমার আমল থেকে চলে আসছে। বাচ্চার বয়স ৮ মাস হয়ে গেলে তাকে রুটির ওপরের পাতলা ফুলকো অংশটি ছিঁড়ে জল/দুধ দিয়ে মেখে খাওয়ানো যায়।
১০ মাস পূর্ণ করলেই বাচ্চাকে দিতে শুরু করুন পাতলা রুটি। একটা ছোট্ট পাতলা আটার রুটি বানিয়ে সেটা গরম জলে ভিজিয়ে দিন। রুটি নরম হয়ে গেলে সেটা হাতে চটকে নিন। ওতে মিশিয়ে দিন কিছুটা ফরমুলা (Sisur Khabar Recipe)। দেখবেন বাচ্চা খাবে সানন্দে।

রুটি দিয়ে আরেকটা মজাদার রেসিপি বলে দিলাম ছবিতে, ফিংগার ফুড হিসেবে দিব্যি কাজে লাগবে কিন্তু!

#3. আটার হালুয়া:

কী কী লাগবে:

  • ২ চামচ আটা
  • আধ চামচ ঘি
  • দুই কাপ গরম জল
  • ফরমুলা অথবা বুকের দুধ

কীভাবে বানাবেন:

  • প্যানে ঘি গরম করে আটা রোস্ট করে নিন।
  • খেয়াল রাখুন যাতে দলা না পাকায়, পুড়ে না যায়।
  • জল মিশিয়ে এবার থকথকে করে নিন।
  • আঁচ থেকে সরিয়ে ঠান্ডা করে দুধ মেশান।
  • স্বাদ বাড়াতে কলার পিউরি বা আপেল সস মেলান।

আরও দুটো মিষ্টি রেসিপি দিলাম ছবিতে, দেখুন তো বাচ্চার কেমন লাগে?

 

আরও পড়ুন: ছোট্ট ছানার জন্য সহজ-স্বাস্থ্যকর ১০ ধারার খিচুড়ির রেসিপি!

 

#4. দই-ভাত: আবার একটা সহজ অথচ পুষ্টিকর রেসিপি বলে দিই আপনাদের। বাচ্চারা খেতেও ভালবাসে আবার পেট ভরাতেও দারুণ। ব্যাপারটা কিছুই না। দই দিয়ে ভাত মাখা খেয়েছেন তো? সেটাই বাচ্চার মতো করে বানানো।
ভাত নরম করে চটকে মেখে নিন। বাড়িতে পাতা দই ও তালের চিনি বা খাঁটি গুড় মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান (10-12Month Baby Food Recipes।

 

#5. মুগ ডালের হালুয়া:

কী কী লাগবে?

  • মুগ ডাল
  • বাড়িতে তৈরি খাঁটি ঘি
  • খাঁটি গুড়
  • এলাচ গুঁড়ো
  • তেজপাতা
  • ড্রাই ফ্রুট পাউডার
  • জল প্রয়োজনমতো
  • ফরমুলা ইচ্ছে অনুসারে

কীভাবে বানাবেন?

  • মুগডাল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে সেদ্ধ করে তুলে রাখুন।
  • একটা প্যানে ঘি গরম করে নিন।
  • ওতে তেজপাতা দিন এবং সেদ্ধ মুগডাল দিয়ে দিন।
  • ভালো করে নাড়াচাড়া করে কিছুটা গুড় দিয়ে দিন।
  • এবার সামান্য জল দিয়ে ফুটতে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যাতে দলা পাকিয়ে না যায়।
  • ভালো মতো মিশে রান্না হয়ে গেলে ওতে এলাচ গুঁড়ো এবং ড্রাই ফ্রুট পাউডার মিলিয়ে নামিয়ে নিন।

 

#6. সাবুর খিচুড়ি: ডাল, চাল,সবজি এমনকি মাছ, ডিমের খিচুড়িও আগের প্রতিবেদনে বলে দিয়েছি, এবার একটা অন্যরকম খিচুড়ি ট্রাই করুন। ৮-১২ মাসের বাচ্চার জন্য খুব পুষ্টিকর ও উপাদেয় খাবার এই খিচুড়ি!

কী কী লাগবে?

  • সাবুদানা (জলে ভিজিয়ে রেখে দিন ৪-৫ ঘণ্টা)
  • মুগ ডাল
  • গোটা জিরে
  • গাজর, মটরশুঁটি,আলু বা আপনি যা সবজি দিতে চান
  • রক সল্ট সামান্য
  • হলুদ গুঁড়ো
  • খাঁটি ঘি

কীভাবে বানাবেন?

  • প্যান গরম করে খাঁটি ঘি দিন।
  • গোটা জিরে ফোড়ন দিন।
  • এবার ভেজানো মুগের ডাল দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে বাকি সবজিগুলো দিয়ে দিন।
  • হলুদগুঁড়ো ও সামান্য রক সল্ট দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন।
  • জল দিয়ে ঢাকা দিন।
  • মুগডাল অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে গেলে ওতে এবার সাবুদানা মিশিয়ে দিন ও ঢাকা দিয়ে দিন।
  • ডাল, সাবুদানা, সবজি সবকিছু ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন (Bacha Der Khabar)।

 

#7. সবজি দিয়ে শিং/মাগুর মাছের ঝোল

কী কী লাগবে?

  • শিঙ্গি/শিং মাছ বা মাগুর মাছ
  • কাঁচকলা
  • আলু
  • পেঁপে
  • আদা বাটা
  • জিরে গুঁড়ো
  • হলুদ গুঁড়ো
  • অল্প নুন
  • একটা লংকা
  • অল্প সরষের তেল

কীভাবে বানাবেন?

  • শিং/মাগুর মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরোয় কেটে নিয়ে নুন মাখিয়ে দিন।
  • এবার কড়াইতে অল্প সরষের তেল গরম করে মাছগুলো সাঁতলে তুলে নিন। জিওল মাছ খুব বেশি ভাজা হবে না (Shing Macher Jhol Recipe)।
  • এবার তেলে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে, আলু, কাঁচকলা এবং পেঁপে টুকরো দিয়ে দিন।
  • এবার ওতে অল্প নুন এবং হলুদ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
  • এবার অল্প পরিমাণে আদা বাটা এবং জিরে গুঁড়ো দিন।
  • এক মিনিট মতো রান্না করুন। বাচ্চা ঝাল পছন্দ করলে একটা কাঁচা লঙ্কা চিরে দিন (Macher Jhol with Vegetables)।
  • এবার কড়াইতে জল দিয়ে মাছগুলো ছেড়ে দিন।
  • ঢাকা দিয়ে ১০ মিনিট মতো সেদ্ধ হতে দিন।
  • ভাতের সাথে বাচ্চাকে খাওয়ান।

 

১২ মাসের হয়ে গেলে ভেটকি মাছের সাথেও বাচ্চার আলাপ করিয়ে দিন। সাধারণ আলু- ভেটকির ঝোল হোক বা স্বাদ বদলানো দই-ভেটকি; বাচ্চা খাবে ঠোঁট চেটে। আলু ভেটকির ঝোল তো খুবই সাধারণ, তাই নীচের ছবিতে দই মেলানো ভেটকির রেসিপি রইল->

Fish curry for baby

#8. মুরগি আর আলুর পাতলা স্যুপ:

কী কী লাগবে?

  • আলুর টুকরো
  • মুরগির মাংসের ছোট ছোট টুকরো
  • পেঁয়াজ কুচনো
  • রসুনের কোয়া ২টি
  • মাখন
  • জল
  • অল্প নুন
  • গোলমরিচ গুঁড়ো

কীভাবে বানাবেন?

  • প্যানে মাখন গরম করে গলিয়ে নিন।
  • কুচনো পেঁয়াজগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
  • রসুনের কোয়াগুলো কুচিয়ে দিয়ে দিন ও কাঁচা ভাব চলে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
  • এবার আলুর টুকরোগুলো দিন। ঢাকা দিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
  • এবার ছোট করে কাটা মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে সাদা সাদা হয়ে গেলে ওতে নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিন।
  • একটু নাড়াচাড়া করে সামান্য জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন
  • মাংস ও আলু পুরো সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
  • চামচের পিছনটা দিয়ে মাখা-মাখা করে নিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান।

সাধারণ মুরগির মাংসের ঝোল বানানোর রেসিপিও আবার রইল ছবিতে (Chicken Recipe for Babies)!

Chicken curry for baby

#9. মাছ-সবজির ভর্তা:

কী কী লাগবে?

  • বোনলেস মাছের টুকরো
  • পেঁয়াজকলি বা স্প্রিং অনিওন কুচনো
  • ক্যাপ্সিকাম, গাজর, আলু, পেঁপে কুচনো
  • খোসা ও বীজ ছাড়ানো টম্যাটোর পিউরি অল্প
  • অলিভ অয়েল
  • নুন অল্প
  • হলুদ গুঁড়ো
  • ধনে গুঁড়ো
  • জল প্রয়োজনমতো

কীভাবে বানাবেন?

  • প্যানে তেল গরম করে নিন।
  • এতে স্প্রিং অনিওন, গাজর, পেঁপে, আলু, ক্যাপ্সিকাম সব কুচনো সবজি দিয়ে দিন।
  • কিছুক্ষণ রান্না করে বোনলেস মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
  • হলুদ, ধনে গুঁড়ো ও নুন দিন। একটু রান্না করুন।
  • টম্যাটো পিউরিটা দিন ও ভালো করে মিশিয়ে দিন।
  • এবার পরিমাণমতো জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
  • সবকিছু সবজি, মাছ ভালো করে সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

 

বাচ্চার খাবারের পরিমাণ কতটা হবে? (How Much Baby Food Should a 8-9 Months Old Eat? )

যে কোনও নতুন সবজি, ফল বা খাবার প্রথমে ৩-৪ চা-চামচ পরিমাণ দিয়ে শুরু করুন। বাচ্চার শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াবেন। ৮ মাসে শুরু হোক বা ১০ মাসে, সেদ্ধ ডিমের কুসুম প্রথমে দিন অর্ধেকটা বা মাছ দিন ছোট্ট এক টুকরো (Introducing Solids to Your 10 month old Baby)। অভ্যেস হয়ে গেলে একটা সেদ্ধ কুসুম বা মাছের মাঝারি টুকরো দিতেই পারেন বাচ্চাকে।

 

কী কী বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবেন?

  • বাচ্চাকে একসাথে বা একদিনে ডিম-মাছ-মাংস অনেক রকম খাবার খাওয়াবেন না। নতুন কোনও আমিষ দিলে সেটা কম কম পরিমাণে অন্তত তিনদিন খাওয়ান (Homemade Baby Foods)। এই তিনদিন খাবার হজমে বাচ্চার কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • অনেকে বাচ্চার খাবারে সামান্য তেল ও জিরে/হলুদের মতো মশলা দিয়ে থাকেন। বাচ্চার জন্য সবকিছুই হবে পরিমাণে কম। এক-দুদিন দিয়ে দেখুন, বাচ্চার শরীরে কোনও অস্বস্তি হচ্ছে কি না।
    চিনি ব্যবহার করবেন না। ভালো মানের তালের চিনি অনেকেই ব্যবহার করেন, কিন্তু সবথেকে ভালো হয় খাঁটি গুড় ব্যবহার করলে। নুনের ক্ষেত্রে বলবো এক চিমটে করে রক সল্ট ব্যবহার করতে।
  • বাড়িতে তৈরি খাঁটি ঘি বা অরগানিক বাটার ব্যবহার করুন বাচ্চার খাবারে।
  • বাচ্চার বয়স যেহেতু এখনও ১ বছর হয়নি (Baby Food Chart from 10 to 12 Months), তাই খুব বেশি বৈচিত্র্য আনা যাবে না ওর খাবারে। তবে ৮-৯ মাসের বাচ্চা যা খেতে পারে, ১০-১২ মাসের বাচ্চাকে চোখ বন্ধ করে সেটা দিতে পারেন। বাড়বে শুধু পরিমাণ বা খাবার সময়! (10-12 Months Old Baby Food Chart Along with Recipes)

 

আরও পড়ুন: ছোট্ট হলেও পুঁচকে জিভের পরিচর্যা প্রয়োজন। জেনে নিন স্বাদেন্দ্রিয় সাফ-সুতরো রাখতে কী করণীয়!

 

একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার  হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

null

null