“বর্ষার দিনে যদি খেতে পাই খিচুড়ি,
তবে আর দরকার নেই কোনও কিছুরি।”
বছর ৫০ আগে সুমহান এই পদ্য মিলিয়ে গিয়েছিলেন প্রাণের কবি অন্নদাশঙ্কর রায়! ভাবতে দারুণ লাগে, সতত পরিবর্তনশীল এই জীবনে কিছু অনুভূতি থেকে গিয়েছে আজও একই রকম।
রিমঝিম বৃষ্টির দিনগুলো আজও যেন অসম্পূর্ণ তাকে ছাড়া! আষাঢ়-গগনে মেঘ জমলো মানেই শুরু হলো তার ভরা মরসুম। কেউ তাকে ডাকেন, ‘কিশোরী অন্ন’। কেউ বা বলেন, ‘যুগল’। শুকনো লঙ্কা ফোড়নে, ঝালঝাল স্বাদে, কখনও তারই নাম আবার ‘জগাইমাধাই’। তবে নামে আর কী-ই বা আসে-যায়! আসলে তো সেই চালেডালের অমৃত- বাঙালির অতি প্রিয়, ধোঁয়া ওঠা, ঘী ছড়ানো গরমাগরম খিচুড়ি! (10 Easiest And Healthiest Khichdi Recipes For Babies in Bangla. Shishur jonyo khichurir recipe.10 Easiest And Healthiest Khichdi Recipes For Babies in Bengali.)
জানেন কি, শুধু আমার-আপনার মনই নয়, এই খিচুড়িই মন-পেট ভরিয়ে দিতে পারে আপনার বাড়ির ছোট্ট ছানারও! সাধের খিচুড়িই হয়ে উঠতে পারে সলিড খাবার শুরুর সময় ওর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ খাবার। নামের বাহার যেমন আছে, তেমনই বাহার আছে রেসিপিরও! ছোট্ট ছানার একঘেয়েমি কাটাতে পাল্টে পাল্টে সেই রেসিপিগুলোই বানিয়ে দিন ওকে। চেটেপুটে খাবে ছানা, গুনগুনিয়ে উঠবে ‘খিচুড়ি বিনা জিয়া যায় না…’
ছয় মাসের ছানাপোনার জন্য এই রেসিপিটাই সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে উপকারী। সবজি-টবজি শুরুর আগে সাদামাটা এই খিচুড়িই খাইয়ে দেখুন ওকে। বানাতে সহজ আবার হজমেও সহজ!
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
এইখানে ইচ্ছেমতো পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর, ভিটামিন-সমৃদ্ধ সবজি মেলাতে পারেন আপনি। ধীরে ধীরে এই খিচুড়ির হাত ধরেই জিরে, তেজপাতার মতো মশলার সাথে পরিচয় করাতে পারেন একরত্তির।
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
আপনার কুচোটা ৮ মাসের গণ্ডি পেরোলে এই রেসিপিটা ট্রাই করতেই পারেন। পালং শাকের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এর থেকেই ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন-এ, সেলেনিয়ামের মতো উপাদান পাবে শিশুর শরীর।
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
চটপট, সুস্বাদু খিচুড়ি যদি বানাতে চান, এই রেসিপিটা তবে আপনারই জন্য। ডালিয়া অর্থাৎ ভাঙা গম সবচেয়ে ভালো যায় মুগ ডালের সাথে। বানিয়ে দেখুন তো পুঁচেকটার ভালো লাগল কি না!
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
বাঙালি ঘরে ঘরে এই খিচুড়িই বোধহয় সবচেয়ে বেশি রাঁধা হয়। ১০ মাসের শিশুর জন্যও এটা খুবই উপকারী। দেখে নিন রেসিপি!
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
মাঝেসাঝে, স্বাদের বদল করতে টমেটো খিচুড়ি বানিয়ে দিন বাচ্চাকে। হয় মুগ ডাল কিংবা তুরের ডাল ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য়।
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
হলফ করে বলতে পারি, এই রেসিপিতে আপনার ছানার মন গলবেই গলবে। কেননা, অধিকাংশ বাচ্চার মতোই আলু খেতে বড্ড ভালোবাসে আপনার বাচ্চাও। আলু-তড়কা খিচুড়ি বানাতে যেমন সহজ, তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
এই খিচুড়িতে একই সঙ্গে সব ডালের উপকারী গুণগুলো পেয়ে যাবে আপনার শিশু। সাদামাটা খিচুড়ির যে রেসিপিটা প্রথমে বললাম, এটা বানানোর নিয়মও একই। তফাৎ শুধু, একটা নয় হরেক ডালের ব্যবহার হবে এখানে!
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
স্বাস্থ্যকর ফাইবার আর শর্করার গুণে সমৃদ্ধ ওটস। এর থেকেই সারাদিনের প্রয়োজনীয় এনার্জি পেয়ে যাবে ছোট্ট শিশু। রেসিপিটা হাতিঘোড়া এমন কিছুই নয়, চালের বদলে ওটস দিন খালি। অন্য সবজির সাথে সেদ্ধ করা, চটকে নেওয়া মিষ্টি আলুও মেলাতে পারেন আপনি। স্বাদ বাড়বে বই কমবে না!
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
বাচ্চার যদি পেট খারাপ হয়, তবে দই-খিচুড়িই ওর জন্য সবচেয়ে ভালো! শুধুই যে স্বাস্থ্যকর তা নয়, খেতেও বেশ ভালোই লাগে দই দেওয়া খিচুড়ি।
উপকরণ (Ingredients):
পদ্ধতি (Method):
ঝটপট রেসিপিগুলো পড়া সারা তো? এবার তবে বানিয়ে ফেলুন দিকি। ছানা চেটেপুটে খেলো, নাকি মুখ বেঁকিয়ে রাগ দেখালো, জানাতে ভুলবেন না যেন!
একজন মা হয়ে অন্য মায়েদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চান? মায়েদের কমিউনিটির একজন অংশীদার হয়ে যান। এখানে ক্লিক করুন, আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।
null
null