বাচ্চার কান্না থামছেই না? সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এমন ভাবে ঘ্য়ানঘ্য়ান করছে ও? চিন্তা করবেন না, আর কিছুই নয় কলিক পেন বা গ্য়াসের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছে ও। মূলত দুই-তিন সপ্তাহ বয়স থেকে শুরু করে চার-ছয় মাসের বাচ্চাদের এই সমস্য়া হয়। বদহজমই এর কারণ। অনেক সময় মায়ের দুধও হজম করতে পারে না বাচ্চারা, তখনও এমন ব্যথা হতে পারে। কীভাবে বাড়িতেই ওকে ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারবেন, বাতলে দিচ্ছি আমরা।(Natural remedies to relieve your baby from colic and gas pain)
#1.আস্টেপৃষ্টে জড়ানো (Cuddle)মায়ের স্পর্শের চেয়ে আরামদায়ক আর কীই বা হতে পারে বাচ্চার কাছে। বাচ্চা যখন কেঁদেই চলেছে, তখন স্রেফ কোলে তুলে নিন ওকে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরুন বুকের কাছে এবং তাকে আরামদায়ক একটা অনুভূতি দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার স্পর্শে ওর কান্না থামবে, ঘুমানোর চেষ্টা করবে। ব্যথাও ভুলে যাবে কিছু সময়ের জন্য।
#2.উষ্ণ গরম জলে স্নান (warm bath)গ্যাসের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির খুবই প্রচলিত উপায় হল উষ্ণ গরম জলে স্নান। স্নান করানোর সময় আপনার বাচ্চার পেটে হালকা মালিশ দিন, এর সাহায্যে গ্যাস বেরিয়ে যাবে। স্নানের পর ও কিছুটা স্বস্তি পায় ও ব্য়থা থেকে মনও সরে যায়।
#3.গরম ভাপ (Warm compress)একটা তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন, তারপর তোয়ালেটাকে পেটের ওপর জড়িয়ে মালিশ করুন।
#4.তেল মালিশ (Oil massage)তেল মালিশ আপনার বাচ্চার জন্য খুবই উপকারি, রোজের মালিশ ওর হজমেও সাহায্য় করে। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল হাতে নিয়ে ঘষে একটু গরম করে সেটা বাচ্চার পেটের ওপর মালিশ করুন। ব্যথা থেকে রেহাই পাবে ও। হাতের তালুতেও তেল মালিশ করুন ওকে আরামদায়ক অনুভূতি দিতে।
#5. ঢেকুর তোলানো (Bumping)প্রত্য়েকবার খাওয়ানোর পরই বাচ্চাকে ঢেকুর তোলানোর অভ্যেস করুন। এতে ওর হজমশক্তি বাড়বে, কলিক পেন-ও হবে না। খাওয়ানোর পরে আপনার কাঁধে নিয়ে হালকা করে ওর পিঠে চাপ দিতে থাকুন, যতক্ষণ না ঢেকুর উঠছে। প্রতিবার এটা করুন। এতে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যাবে সহজে।
#6.হিঙ (Asafoetida)হজমে সাহায্য় করা ও গ্যাস থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে হিঙ-এর জুরি নেই। এক চিমটে হিঙ নিয়ে সেটা জলের সঙ্গে মিশিয়ে গরম করুন তারপর সেটাকে আপনার বাচ্চার নাভির চারপাশে মালিশ করুন। বাচ্চা যদি সলিড খাবার খেতে শুরু করে দেয়, তা হলে ওর খাবারেও খানিক হিঙের গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে পারেন।